মহাকাশে বড় আকারের স্টেশন তৈরির লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে চীন। এর অংশ হিসেবে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে টিয়ানগং-১ নামের একটি বিশাল মডিউল মহাকাশে উৎক্ষেপণ করে চীন। সে মডিউলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। এখন তা পৃথিবীতে ভেঙে পড়ছে।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, চীনের অকেজো মহাকাশ পরীক্ষাগার তিয়ানগং-১ চলতি সপ্তাহান্তে পৃথিবীতে ভেঙে পড়তে পারে। এটির দৈর্ঘ্য ১০ মিটার এবং ওজন ৮ টন। মডিউলটির সঙ্গে চীনের সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে এর পতনের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।
তবে বিশেষজ্ঞরা এটি ভেঙে পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে নিষেধ করেছেন।
কারণ এটি জনবসতিপূর্ণ কোনো এলাকায় পড়বে না।
বিবিসি নিউজকে যুক্তরাজ্যের মহাকাশ সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী রিচার্ড ক্রোথার বলেন, বিশাল ওজনের টিয়ানগং-১ মডিউলটি পৃথিবীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়লেও তা থেকে ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি কম। কারণ এটি পৃথিবীতে প্রবেশের আগেই পুড়ে যাবে।
বিবিসি নিউজকে যুক্তরাজ্যের মহাকাশ সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী রিচার্ড ক্রোথার বলেন, বিশাল ওজনের টিয়ানগং-১ মডিউলটি পৃথিবীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়লেও তা থেকে ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি কম। কারণ এটি পৃথিবীতে প্রবেশের আগেই পুড়ে যাবে।
এর টুকরো অংশ সমুদ্রে পড়তে পারে। এটি কবে ও কখন পৃথিবীতে পড়বে, সঠিক সময় পরে জানা যাবে।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৩০ মার্চ থেকে ২ এপ্রিলের মধ্যে যেকোনো সময় টিয়ানগং-১ পৃথিবীতে পড়তে পারে। বিষাক্ত রাসায়নিকযুক্ত ওই স্পেস স্টেশনটি বা কৃত্রিম উপগ্রহটি পৃথিবীতে প্রবেশের আগে আগুনের গোলায় পরিণত হতে পারে।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৩০ মার্চ থেকে ২ এপ্রিলের মধ্যে যেকোনো সময় টিয়ানগং-১ পৃথিবীতে পড়তে পারে। বিষাক্ত রাসায়নিকযুক্ত ওই স্পেস স্টেশনটি বা কৃত্রিম উপগ্রহটি পৃথিবীতে প্রবেশের আগে আগুনের গোলায় পরিণত হতে পারে।
এ কৃত্রিম উপগ্রহটিকে পর্যবেক্ষণ করতে গবেষকেরা উন্নত রাডার ও শক্তিশালী টেলিস্কোপ প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন।
২০১৬ সালে এর নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর থেকে এটি ধীরে ধীরে পৃথিবীর দিকে ফিরে আসতে শুরু করে।