*ধনী হবার সহজ উপায় (Ways to get rich)
এগিয়ে যান প্রতিদিন সাফল্য অর্জনে বিকল্প নেই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার। কিন্তু সাফল্যে পৌঁছানোর নেই সংক্ষিপ্ত পথ- পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ধীর পায়ে এগিয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। এজন্য চূড়ান্ত লক্ষ্যটিকে ভাগ করে নিন দিন হিসেবে। প্রতিদিনচেষ্টা করুন অন্তত একটি লক্ষ্য পূরণের। দিন শেষে সাফল্য-ব্যর্থতার হিসেব কষে ঠিক করুন পরবর্তী দিনের পরিকল্পনা। এ পদ্ধতিতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চাপ কমবে, বাড়বে সাফল্যের সম্ভাবনা।
*বলুন কম, শুনুন বেশি !
শুনতে নয়, বলতে ব্যাকুল সবাই। এমন প্রবণতা পরিহার করুন। অন্যরা কী বলছে, বলতে চাইছে তা শুনুন। কান পেতে নয়, মন দিয়ে! শুনলে অবগত হতে পারবেন অন্যের প্রত্যাশা সম্পর্কে। পরিকল্পনা বাঁধতে সুবিধা হবে তাতে। ধরুন, একটি ব্যবসা শুরু করলেন। এ বিষয়ে অন্যদের মতামত, পরামর্শ যদি মনোযোগ দিয়ে শোনেন, তাহলে ব্যবসা নিয়ে লোকের প্রত্যাশার জায়গাটি সম্পর্কে পাবেন ধারণা। এতে সুবিধা হবে।
*সাফল্য পেতে স্বাস্থ্যের যত্ন নিন
সাফল্যের চাবিকাঠি পরিশ্রম। পরিশ্রম করতে শরীরিক সামর্থ্য, সুস্থতা অত্যাবশ্যকীয়। সুস্থ থাকতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন, গ্রহণ করুন স্বাস্থ্যকর খাবার। দৈনিক শরীরচর্চার অভ্যাস আপনাকে করে তুলবে নিয়মানুবর্তি। শারীরিক সুস্থতা আপনাকে প্রফুল্ল করবে। প্রত্যয় জোগাবে সাবলীলভাবে কঠোর পরিশ্রম করতে।
*রক্ষা করুন যোগাযোগ
কে কবে কী করেছে একা! সাফল্যের প্রতিটি গল্পে পার্শ্ব চরিত্রে যারা থাকেন তাদের অবদানও কম নয়। লক্ষ্যপূরণের পথে পাশে রাখুন বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীদের। নিয়মিত পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।
গুরত্বপূর্ণ কিন্তু অপরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে নিজ উদ্যোগে পরিচিত হোন।তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে চেষ্টা করুন সাধ্যমতো সহায়তার চেষ্টা করুন। ভবিষ্যতে আপনার প্রয়োজনেও পাশে পাবেন তাদের।
*পড়তে হবে প্রতিদিন
কেবল ছাত্রজীবনে নয়, পড়াশোনার অভ্যাস থাকা জরুরী জীবনের পুরোটা সময় জুড়ে। ব্যবসায়ী হোন বা চাকরিজীবী- দিনে অন্তত আধ ঘণ্টা পড়াশোনা করার সময় বের করুন। পড়ার বিষয় হতে পারে আপনার কর্মসংশ্লিষ্ট ব্যাপার কিংবা দেশ-বিদেশের সংবাদ। বর্তমান ঘটনাপ্রবাহ ও সর্বশেষ তথ্য অবগত থাকলে কাজ করতে এবং সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে
*বাড়িয়ে তুলুন দক্ষতা
চিন্তাভাবনায় ইতিবাচক হলে শুধু কাজকর্মে নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিরাজ করবে শান্তিময়তা। মসৃণ হবে আপনার সাফল্যের পথ। নেতিবাচক ভাবনা ও হীনমন্যতাকে ঝেড়ে ফেলার অভ্যাস তৈরি করুন। এর মাধ্যমে যেকোন পরিস্থিতি ও প্রয়োজন সামাল দেয়ার এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে পারবেন।
*সঞ্চয়ী হোন
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অর্থব্যয়ে কৌশলীদের সফল ও ধনী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আয় বুঝে ব্যয়ের সঙ্গতি তো থাকতেই হবে, থাকা চাই চাই সঞ্চয়ী মনোভাবও। হিসেব কষে অকারণ ব্যয়ের খাত কমিয়ে সঞ্চয় বাড়াতে পারলে দিন শেষে আপনারই লাভ। হটাত প্রয়োজনে কাজে লাগবে সঞ্চিত অর্থ। আর তাছাড়া হাতে কিছু নিজস্ব অর্থ জমা থাকলে ঝুঁকি নেয়ার সাহসও বাড়বে।
*সমমনাদের সঙ্গে থাকুন
আদর্শ বা চেতনাগত অবস্থান থেকে যাদের সঙ্গে নিজের ভাবনার মিল খুঁজে পান, সময় কাটান তাদের সঙ্গে। সময় কাটান তাদের সঙ্গে। এতে ভাবনা বিনিময়ে স্বস্তি তো পাবেনই, সঙ্গে সাফল্যের পথ পাড়ি দেয়ার বিভিন্ন কৌশল, কায়দা এবং গ্রহণযোগ্য পরামর্শও পাবেন সহজে।
জীবন চলার সময় এসব চোট খাট বিষয় মাথাই নিয়ে চললে কিছুটা হলেও সুখ পাওয়া যায়।