Recent post

মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২১

How to Show pop up Facebook like button in my website

To show notification to new browser your website use bellow code to your website .

<script src='http://ajax.googleapis.com/ajax/libs/jquery/1.7.2/jquery.min.js' type='text/javascript'></script>

<style type="text/css">

#fbox-background{display:none;background:rgba(0,0,0,0.8);width:100%;height:100%;position:fixed;top:0;left:0;z-index:99999}#fbox-close{width:100%;height:100%}#fbox-display{background:#eaeaea;border:5px solid #828282;width:340px;height:230px;position:absolute;top:32%;left:37%;-webkit-border-radius:5px;-moz-border-radius:5px;border-radius:5px}#fbox-button{float:right;cursor:pointer;position:absolute;right:0;top:0}#fbox-button:before{content:"CLOSE";padding:5px 8px;background:#828282;color:#eaeaea;font-weight:700;font-size:10px;font-family:Tahoma}#fbox-link,#fbox-link a.visited,#fbox-link a,#fbox-link a:hover{color:#aaa;font-size:9px;text-decoration:none;text-align:center;padding:5px}

</style>

<script type='text/javascript'>

//<![CDATA[

jQuery.cookie=function(a,b,c){if(arguments.length>1&&"[object Object]"!==String(b)){if(c=jQuery.extend({},c),null!==b&&void 0!==b||(c.expires=-1),"number"==typeof c.expires){var d=c.expires,e=c.expires=new Date;e.setDate(e.getDate()+d)}return b=String(b),document.cookie=[encodeURIComponent(a),"=",c.raw?b:encodeURIComponent(b),c.expires?"; expires="+c.expires.toUTCString():"",c.path?"; path="+c.path:"",c.domain?"; domain="+c.domain:"",c.secure?"; secure":""].join("")}c=b||{};var f,g=c.raw?function(a){return a}:decodeURIComponent;return(f=new RegExp("(?:^|; )"+encodeURIComponent(a)+"=([^;]*)").exec(document.cookie))?g(f[1]):null};

//]]>

</script>

<script type='text/javascript'>

jQuery(document).ready(function($){

if($.cookie('popup_facebook_box') != 'yes'){

$('#fbox-background').delay(5000).fadeIn('medium');

$('#fbox-button, #fbox-close').click(function(){

$('#fbox-background').stop().fadeOut('medium');

});

}

$.cookie('popup_facebook_box', 'yes', { path: '/', expires: 7 });

});

</script>

<div id='fbox-background'>

<div id='fbox-close'>

</div>

<div id='fbox-display'>

<div id='fbox-button'>

</div>

<iframe allowtransparency='true' frameborder='0' scrolling='no' src='//www.facebook.com/plugins/likebox.php?

href=https://www.facebook.com/thedaily71&width=339&height=255&colorscheme=light&show_faces=true&show_border=false&stream=false&header=false'

style='border: none; overflow: hidden; background: #fff; width: 339px; height: 200px;'></iframe>

<div id="fbox-link">Powered by <a style="padding-left: 0px;" href="https://thedaily71.blogspot.com" rel="nofollow">Thedaily71</a></div>

</div></div>

সোমবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২১

how insert more than one line into one cell on your Excel worksheet.

When you have a lot of text in your Excel cells it can be a good idea to show it on more than one line. But how? 

Every time you enter text into a cell it longs to be on one line however long it is.
Here is how you can insert more than one line into one cell on your Excel worksheet.

Enter more than one line in a single Excel cell

5 steps to better looking data

Say you have a column with full names in your table and want to get the first and last ones on different lines. With these simple steps you can control exactly where the line breaks will be.

  1. Click on the cell where you need to enter multiple lines of text.
  2. Type the first line.
  3. Press Alt + Enter to add another line to the cell.
    Tip.Keep pressing Alt + Enter until the cursor is where you would like to type your next line of text.
  4. Type the next line of text you would like in the cell.
  5. Press Enter to finish up.

So just don't forget the Alt + Enter shortcut to get a line break at a specific point in a cell regardless of the cells width.


ইলুমিনাতি কি ? কারা ইলুমিনাতি

 ইলুমিনাতি কি ? কারা ইলুমিনাতি 

ইলুমিনাতি হল একটি মানব রচিত ইহুদী ভিক্তিক এক প্রকার ধর্মীয় গুপ্ত সংগঠন।
 তবে এখানে তারা ধর্মটিকে শুধু অস্ত্র হিসেবেই ব্যাবহার করে। অর্থাৎ যারা এটি তৈরি করেছে। 
তাদের মূল উদ্দেশ্য হল ক্ষমতা দখল ও অর্থ আত্মসাৎ। 
যে এটি আবিষ্কার করেছে এবং এর সাথে জড়িত প্রধান সদস্যদের বই পড়লেই ধারণাটি স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। http://goo.gl/L3BLLP

এরা মূলত ‘বাপহমেট’ নামক শয়তানকে পূজা করে। 
তাদের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুস্বারে তারা কাউকে ভয় পেতে মানা করে। অর্থাৎ কোন কিছুতে কোন বাধা নেই সেটা যদি অজাচারও হয়। 
তারা চাই এসবই হউক। কারণ এতে সভ্যতা খুব দ্রুত ধ্বংস হবে। 
যার ফলে তারা মানুষকে বশে আনবে। 
আর তাই তারা চেষ্টা করে বেশি করে যৌনতার প্রতি আকর্ষিত করতে। 
তারা মানুষকে বশে আনার জন্য এমন ভাবে প্রচার করে যাতে মানুষ খুব সহজেই কাবু হয়ে যায়। 
বলতে গেলে শয়তান বা ফেরাউনের মাস্টার প্ল্যানিং-এর মত। http://goo.gl/rfg5CI

শয়তানের প্রথম দিকে হাওয়া (আঃ) বলে, আপনাকে তো এ ফলটি খেতে নিষেধ করেছে, কিন্তু দেখতে তো নিষেধ করেননি। 
আসুন একটু দেখুন। 
এর পর ধীরে ধীরে গন্ধ নেয়ার জন্য উৎসাহিত করে। 
তারপর ছুঁয়ার প্রতি আকর্ষিত এবং সর্ব শেষে খাওয়ানো। 
শয়তান কিন্তু সরাসরি তাকে খেতে বলেনি। 
শয়তান তার প্লান বাস্তবায়ন করেছে ধীরে ধীরে সূক্ষ্ম প্লানের মাধ্যমে। http://goo.gl/rfg5CI

ফেরাউনের কাছে ক্ষমতা যাওয়ার পর সে ইচ্ছে করে খোদা বলে পরিচিত হওয়ার। 
সে তার বিজ্ঞ বন্ধুর কাছ থেকে এ বিষয় পরামর্শ চাইলে তিনি বলেন, সমাজের জ্ঞান চর্চা বন্ধ করে দিতে। ফেরাউনও করল তাই। 
তাই কয়েক বছর পর সেই জাতি মূর্খ জাতিতে পরিণত হয়। 
ফলে সেই মূর্খ সমাজকে ফেরাউনের বশে আনতে বেগ পেতে হয়নি।http://goo.gl/vQaQmu

আমি শয়তানের এবং ফেরাউনের প্ল্যানিং উল্লেখ করলাম উপমা হিসেবে, যাতে ইলুমিনাতি-র প্লান সম্পর্কেও একটি ধারণা পাওয়া যায়। এবার আসি ইলুমিনাতির কিছু প্ল্যানিং-এর ব্যাপার নিয়ে।http://goo.gl/vQaQmu

তাদের প্রধান প্রচার প্ল্যানিং হল গুপ্ত বার্তার মাধ্যমে হিপনোতাইজ করা। এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে আমার পূর্ববর্তী পোস্ট দেখতে পারেন। একটি পেরেক যেমন ধীরে ধীরে আঘাত করতে করতে দেয়ালে গেঁথে যায়। ঠিক হিডেন মেসেজ বা গুপ্ত বার্তা প্রদানের মাধ্যমে তারা এভাবে ইলুমিনাতির প্রতি মানুষকে আহ্বান করে। আর মানুষ অনেক সময় নিজের অজান্তেই এর ফাঁদে জড়িয়ে পরে। এরা বিশেষ অঙ্গভঙ্গি, বার্তা এবং চিহ্নের মাধ্যমে বেশি প্রচার করে। কার্টুন বা এনিমেশন, মুভি, গান, বই, সঙ্গীত এমনকি সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন বিনোদনমূলক চ্যানেলকেও তারা ব্যাবহার করে।

এদের প্রধান উদ্দেশ্য হল ‘ওয়ান অর্ডার ওয়ার্ল্ড’ অর্থাৎ শুধুমাত্র তাদের সিদ্ধান্তেই যেন পৃথিবী চলে। আর এটি বাস্তবায়ন করার জন্য তারা ইতিমধ্যে অনেক রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। ধারণা করা হয়, অনেক প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় এসেছেন ইলুমিনাতির সহায়তাই। 
আর ইলুমিনাতি তাদের পুতুলের মত ব্যাবহার করে।
 এও ধারণা করা হয়, অনেক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও কর্মকাণ্ডের পিছনে এর হাত রয়েছে।

খুব সংক্ষেপেই মাত্র অল্প কিছু বললাম ইলুমিনাতির ব্যাপারে। তাদের প্লান, ইতিহাস, কর্মকাণ্ড অনেক বড় বিষয় যা অল্প-কথার মধ্যেই বোঝানো খুব কষ্টকর। আপনারা এ ব্যাপারে সার্চ করলেই আশাকরি আরো অনেক কিছুই জানতে পারবেন।

আজকের দুনিয়াতে গনতন্ত্র , কমিউনিজম , নাস্তিক্যবাদ , পুঁজিবাদ , সমাজতন্ত্র , ধর্মনিরপেক্ষতা  এই সব তন্ত্র ইহুদী ভিক্তিক এক প্রকার ধর্মীয় গুপ্ত সংগঠন Illuminati  দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে । 

Noted : বাংলাদেশে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান ইলুমিনাতি সংগঠনের হয়ে কাজ করছে তার মধ্যে বাংলাদেশের প্রাইভেট টিভি চ্যানেল Channel I একটি । তাদের একচোখা logo টির র সাথে  ইহুদী ভিক্তিক Illuminati logo একচোখা  logo সাথে অনেকটা মিল আছে ।  

লক্ষ্য করে দেখবেন , ইহুদী ভিক্তিক  Illuminati এই সংগঠনটি বাংলাদেশের প্রাইভেট টিভি চ্যানেল Channel I দিয়ে সুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দেওয়া , মুসলিম বিদ্ধেষী সিনেমা নাটক তৈরী করা , সমকামিতা প্রচার করা, কট্টর নারীবাদী প্রচার করে মেয়েদেরকে পরিবার বিমুখ করা , ধর্মীয় বিদ্ধেষ ছড়ানো , ইসলাম বিদ্ধেষী নাস্তিকদের পৃষ্ঠপোষক করা ,  বাংলাদেশে বেংলিশদের পৃষ্ঠপোষক করা এবং বাংলাদেশে একচোখা হলুদ সংবাদ পরিবেশন করা ।


Source :

1.লেডি গাগা, জাস্টিন বিবার, বারাক ওবামাকে সফল করেছে গোপন সংগঠন 'ইলুমিনাতি'!------ http://www.kalerkantho.com/online/miscellaneous/2014/05/25/88553

2. ইলুমিনাতি (ILLUMINATI) ও তাদের এজেন্ডা এবং নতুন বিশ্বব্যবস্থা (The New World Order)।------https://goo.gl/PNf9sr

3.ILLUMINATI---------http://goo.gl/vQaQmu

4.Illuminati Satanism---------- http://goo.gl/rfg5CI

সোমবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২১

গরুকে বিয়ে করেছেন ৭৪ বছরের খিম


আমি একটি গরুকে বিয়ে করেছি। যে আমাকে চুমো দিয়েছে। আমাকে অনুসরণ করে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে এসেছে। 
ঠিক যেমনটি আমার স্বামী করতো।
মনে হচ্ছে তার আত্মাই যেনো গরুটির মধ্যে আছে- কথাগুলো বলছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ার ক্রাতি প্রদেশের বাসিন্দা খিম হাং।



ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য সানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭৪ বছরের খিম হাং এর স্বামী মারা গেছে গত বছর। এর মধ্যেই একটি বাছুর তার মুখের কাছে মুখ এনে আদর করেছিল। 
যদিও তার দাবি, আদর নয় তাকে চুম্বন করেছিল গরুটি। 
তারপর থেকেই খিমের মনে হচ্ছে, এই গরুটিই তার মৃত স্বামী। 
এমন মনে হওয়ার পর গরুটিকে বিয়েও করেছেন ৭৪ বছরের খিম। 
গ্রামবাসীদের অনেকেই জানিয়েছেন তারা উপস্থিত ছিলেন খিমের সঙ্গে গরুর বিয়েতে।

জানা যায়, গরুটিকে বিয়ে করে নিজের একতলা ঘরেই রেখেছেন খিম।
 নিয়মিত গোসল করানো, খেতে দেওয়ার পাশাপাশি স্বামী হিসাবেই তিনি প্রাণীটির যত্ন নিচ্ছেন। 
এমনকি আরাম করে ঘুমের জন্য নরম বালিশ-বিছানার ব্যবস্থাও করেছেন।


বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২১

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী দেশে পাকিস্তান ক্রিকেট দল লজ্জায় আমরা হেঁট , সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন



স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপনের সময় দেশে পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে নিয়ে আসায় জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাংসদ মোতাহার হোসেন। 
এ ঘটনাকে লজ্জাজনক হিসেবে আখ্যা দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে মোতাহার হোসেন এ কথা বলেন। সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপনের সময় যাঁরা এই খেলার আয়োজন করেছেন, তাঁদের ‘বেহুদা লোক’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন বলেন, ‘আমাদের মধ্যেও কিছু বেহুদা লোক আছে। 
আমি তাঁদের বেহুদাই বলব। 
স্বাধীনতার ৫০ বছর উদ্‌যাপিত হচ্ছে, আর আজকে পাকিস্তান দলকে এনেছে এখানে ক্রিকেট খেলাতে। লজ্জায় আমরা হেঁট হয়ে যাই। 
এগুলো আমাদের দেখতে হবে।’

এ সময় সাংসদদের অনেকে উচ্চ স্বরে হেসে ওঠেন। 
মোতাহার বলেন, যাঁরা এদেশের বিরুদ্ধে কথা বলেন, এদেশ মানেন না, 
তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। 
এঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 
এই দেশে থাকতে গেলে এদেশের আইনকানুন, মুক্তিযুদ্ধ মেনেই থাকতে হবে। 
এর বাইরে কোনো কথা নেই।

বুধবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২১

আমি কখনোও বলবোনা তোমাকে ভালবাসি

তোমাকে ভালবাসি – রেদোয়ান মাসুদ


আমি কখনোও বলবোনা
তোমাকে ভালবাসি
হৃদয় ডাকছে তোমার কাছে আসি
শুধু আমার চোখের দিকে একবার তাকিয়ে দেখ
চোখ কি বলে?

তখনই বুঝবে তুমি
কতটা ভালবাসি তোমায় আমি।

আমি কখনোও বলবোনা
তোমাকে ভালবাসি
কাছে এসো একবার
তোমায় দেখি।

শুধু কান দিয়ে নিরবে আমার কথা শুনো
শ্রুতি কেমন, কন্ঠ কি বলে ?
তখনই বুঝবে তুমি
কতটা ভালবাসি তোমায় আমি।

বিনা অনুমতিতে কল দেওয়া কিংবা অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে অডিও-ভিডিও কল পেলে কেমন বোধ করেন?



বর্তমানে মোবাইলফোন ছাড়া একমুহূর্তও চলে না কারও। 
যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম এখন এই মোবাইলফোন। 
আর এ কারণে যখনই প্রয়োজন, তখনই মানুষ মোবাইলফোন থেকে কল দেয়। 
এছাড়া ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ইমু, টেলিগ্রামেও কলের ব্যবহার বেড়েছে।
 কিন্তু সব কলই কি প্রয়োজনে দেয় মানুষ? না। 
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কাজের চেয়ে বেশি কল আসে অকাজের। 
এমনকি উত্ত্যক্ত করার উদ্দেশ্যেও লোকে হামেশাই কল দেয়। এছাড়া অনেক সময় প্রয়োজনীয় কলের ক্ষেত্রেও বিরতিহীন কল দিয়ে যায় কেউ কেউ। 
একবারের কলের পর দ্বিতীয়বারের কলের মাঝখানে কোনো সময় নেয় না। এই ধরনের কলে অনেকেই বিরক্ত হন।



ভুক্তভোগী ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাকে কল দেওয়া হচ্ছে, তিনি কাজে ব্যস্ত থাকতে পারেন, ড্রাইভিং করতে পারেন, কোনো গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে থাকতে পারেন, যে সময়ে কল রিসিভ করা কোনোভাবেই সম্ভব হয় না। 
কেবল নিজের প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিতে অন্যকে ক্রমাগত কল দেওয়াও একধরনের মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এছাড়া স্রেফ অন্যকে উত্ত্যক্ত করার জন্য কিংবা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য কেউ কেউ অহেতুক বিরতিহীন কল দেয়। এই কল দেওয়ার ক্ষেত্রে আবার কেউ কেউ রাতদিন কোনো কিছুই মেনে চলেন না। 
যেকোনো সময়ই কল দিয়ে বসেন। তাও একবার দুবার নয়, বারবার কল দিয়েই যান।
 বিষয়টিকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবরা অসৌজন্যমূলক আচরণ হিসেবে দেখছেন।



বিরক্তিকর কলের ব্যাপারে গৃহিণী ফারাহ দিবা বলেন, ‘যদি খুব প্রয়োজনীয় কল না হয়, তাহলে তো অবশ্যই বিরক্তিকর। 
আর একইসঙ্গে ওয়েটিং অবস্থায় বিরতিহীন কল আসতে থাকলে, ওই মুহূর্তের যার সঙ্গে কথা হচ্ছিল, তার সঙ্গে কথায় মনোযোগ রক্ষা করা সম্ভব হয় না। 
এক্ষেত্রে প্রায় বিপাকে পড়তে হয়। 
 কখনো কখনো ফোনকল বা ম্যাসেঞ্জারে বা হোয়াটসঅ্যাপে একসঙ্গে কল চলে আসে।’


এই গৃহিণী আরও বলেন, ‘অনেক সময় কারও কল রিসিভ করতে না পারলে পরবর্তী সময়ে আমি ব্যাক করি। 
কারণ কমিউনিকেশন হচ্ছে মানুষের সঙ্গে রিলেশনের একটা বড় অধ্যায়।
সেদিন আমার বাসায় গেস্ট এসেছিলেন, আমি কথা বলছিলাম। 
ওই সময় আমার একটি গুরুত্বপূর্ণ কল এলে আমি ফোনে কথা বলতে থাকি। 
ঠিক এই সময়েই হোয়াটসঅ্যাপেও কল চলে এলো। মনে হলো হোয়াটসঅ্যাপের কলটিতে পরে অ্যাটেন্ড করলেও চলবে। আমি গেস্টদের বিদায় দিয়ে পরে হোয়াটসঅ্যাপে কল ব্যাক করি।’




অযাচিত-কল
বিনা অনুমতিতে কিংবা আগে থেকে যোগাযোগ নেই এমন ব্যক্তি হঠাৎ ম্যাসেঞ্জার- হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইবার-টেলিগ্রাম-ইমোতে অডিও বা ভিডিও কল আসাকে খুবই বিরক্তিকর বলে মনে করেন ফারাহ দিবা।
 তিনি বলেন, ‘আমি প্রথমত অপরিচিত লোকের ফোন সেভাবে অ্যাটেন্ডই করি না। অনেকের বেশ ফ্ল্যার্টিং মুডে কথা বলার প্রবণতা থাকে। এটা আমি একেবারেই সহ্য করতে পারি না। 
আজ ৪৫ বছর বয়স এখন তো প্রশ্নই আসে না। 
কিন্তু ইয়াং ছিলাম তখনো করতাম না। এটা আমার ভালো লাগে না।
আর ভিডিও কল তো অবশ্যই না। 
পরিচিতদের সঙ্গেই ভিডিও কলে আমি কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না। সেক্ষেত্রে অপরিচিত কেউ হলেতো সেটা অসৌজন্যমূলক।’




একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসান ইবনে কামাল বলেন, ‘কাজে ব্যস্ত থাকার সময় বিরতিহীন কল আসতে থাকলে মনোযোগ বিঘ্নিত হয়। এটি আসলেই অনেক বিরক্তিকর।’ বিনা অনুমতিতে কেউ কল করলে কিংবা আগে থেকে যোগাযোগ নেই এমন ব্যক্তিকে হঠাৎ অডিও বা ভিডিও কলকে মোটেও ভালোভাবে দেখি না। পারমিশন ছাড়া ভিডিও কল, সেটা যত ক্লোজ পারসনই হোক, ভালো দেখায় না। 
আমি হয়তো বা যেকোনো একটা কাজে ব্যস্ত থাকতে পারি। কলার আমার কাছে মেসেজ করে জেনে নিতে পারেন, আমি আগ্রহী কি না। আমি আগ্রহী হলে তিনি কল করতে পারেন। অনুমতি ছাড়া বিষয়টি একদমই পছন্দ করি না।




বিরতিহীন ভয়েস কলের ব্যাপারে গণমাধ্যম কর্মী ইন্দিরা দেবনাথ বলেন, ‘এটা ডিফার করে কে আমাকে কল করছে। 
এখন আমার বাসা থেকে যদি কল করে কিংবা কাছের কেউ বা বোন, মা; তাহলে আমি চেষ্টা করি কলটা অ্যাটেন্ড করতে। আমি জানি, তারা অপ্রয়োজনীয়ভাবে বারবার কল করবেন না। এছাড়া খুব বেশি মানুষ সাধারণত আমাকে বারবার কল করে না।’




ড্রাইভিংয়ের-সময়-ফোনকল
‘বিনা অনুমতিতে কিংবা অপরিচিত লোকের অডিও-ভিডিও কল পেলে কেমন বোধ করেন?’ এই প্রশ্নের জবাবে ইন্দিরা বলেন, ‘আমার খুব মেজাজ খারাপ হয়।
 এই বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একবার লিখেছিলামও। 
সেখানে বলেছিলাম, আমাকে ম্যাসেঞ্জারে কল দিতে হলে অবশ্যই আগে মেসেজ করে অনুমতি নিয়ে নেবেন।
 আসলে মোবাইল নম্বরটা তো সিলেক্টিভ পিপলের কাছে থাকে। সেক্ষেত্রে কল দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু ম্যাসেঞ্জারে আমরা অনেক মানুষের সঙ্গে যুক্ত থাকি। 
তাই সেখানে সবাই তো অল্প পরিচয়ে আমাকে কল করার অধিকার রাখেন না। কল করাটা খুব বিরক্তিকর।’




ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশলান ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের হেড আফতাব হোসাইন বলেন, ‘ম্যানার হচ্ছে একবার বা সর্বোচ্চ দুই বার কল দেওয়া। 
এরপরও যদি কেউ কল না ধরেন,তাহলে ধরে নিতে হবে তিনি ব্যস্ত আছেন। 
তিনিই আমাকে কলব্যাক করবেন। সবচেয়ে ভালো হয় দ্বিতীয় বার কল না দিয়ে একটি মেসেজ পাঠিয়ে রাখা। কেউ যদি বারবার কল দিতে থাকে, তখন ভীষণ বিরক্ত হই। 
হয়তো আমি একটা মিটিংয়ে আছি, আমার কাছে বারবার কল আসছে, বিষয়টি বিরক্তিকর।’ কল রিসিভ করতে না পারলে ব্যাক করার প্রসঙ্গে এই শিক্ষক বলেন, ‘আমি যদি মিসডকল দেখি, ব্যাক করি।’



বিনা অনুমতিতে কল করা বা অপরিচিত ব্যক্তি কাছ থেকে বিরতিহীন অডিও-ভিডিও কল আসা প্রসেঙ্গ আফতাব হোসাইন বলেন,‘এটা ভীষণই ব্যাড ম্যানার। খুব বাজে একটা অভ্যাস। 
পারমিশন ছাড়া আমরা কখনোই সোশ্যালমিডিয়ায় ভিডিও বা অডিও কল দিতে পারি না। 
আমাদের আসলে সোশ্যাল মিডিয়া লিটারেসিটা ভীষণ প্রয়োজন। এটা যে একটা অন্যায় হয়ে যাচ্ছে মনের অজান্তে, এটা জানি না। 
এই জায়গাটাও কিন্তু আমাদের দরকার, সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা টেক্সট করতে পারি, কল দেওয়ার আগে অনুমতি নিতে পারি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অপ্রয়োজনীয় কল অ্যাটেন্ড করি না।’




এই ধরনের অভ্যাস প্রসঙ্গে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মেখলা সরকার বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায়, এক রকম ব্যাপার কাজ করে, বারবার কল করার বিষয়ে কলার মনে করে, কোনো কারণে কলটা মিস হয়ে গেছে বা কলটা নোটিস করেনি। 
যেহেতু প্রয়োজনটা তার, সেহেতু তিনি বারবার নোটিফাই করার চেষ্টা করেন। এ ধরনের একটা মানসিক ব্যাপার থাকে। 
তারা মনে করেন, বারবার কল দিলে হয়তো অন্যপাশের ব্যক্তিকে পাওয়া যাবে। 
আবার অনেকের মাঝে একটু উদ্বেগের প্রবণতাও থাকে। যারা একটু বেশি উদ্বেগে ভোগেন, তাদের মাঝে দেখা যায়, যখন ফোনটা তিনি করলেন, তখন মনে হলো যে ফোনটা তার করতেই হবে। 
যে পর্যন্ত ফোনটা না করতে পারেন বা একসেস করতে না পারেন; সে পর্যন্ত তার মাঝে অস্থিরতা কাজ করে। এই অস্থিরতা বা এনজাইটি থেকেই তিনি বারবার কল দিতে থাকেন। 
এই এনজাইটির কারণেই আরেকজন ব্যক্তি বিরক্ত হচ্ছেন কি না বা গ্রাহক কোন অবস্থায় আছেন বা বিজি আছেন কি না, সেটা কলার বুঝতে পারেন না। 
বিশেষ করে যারা অল্পতেই স্ট্রেসআউট হন বা যাদের উদ্বেগজনিত সমস্যা আছে, তারা অনেক সময় বুঝতে পারেন না, তারা কাউকে বিরক্ত করছেন কি না।




অযাচিত-কলে-বিরক্ত
বিনা অনুমতিতে কল দেওয়া কিংবা অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে ম্যাসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইবার-টেলিগ্রাম-ইমোতে কল দেওয়ার বিষয়ে ডা. মেখলা সরকার বলেন, ‘এটা খারাপ মানসিকতা। 
আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কল করার বিষয়টির প্রচলন খুব বেশিদিন হয়নি। 
এক থেকে দুই বছরের মধ্যে যখন মোবাইল ডাটা ব্যবহারের বিষয়টি এসেছে, তখন থেকে অল্প টাকায় কল করার বিষয়টি চলে এসেছে। 
এটা যেহেতু খুব বেশিদিন ধরে শুরু হয়নি, তাই এর যে একটা নর্মস থাকে, এটা বেশিরভাগ মানুষই বুঝতে পারে না। অন্য আরেকজনকে ভিডিও কল করলে যে তিনি বিব্রত হতে পারেন বা বিরক্ত হতে পারেন কিংবা তিনি চান কি না, এসব বিষয় বোঝার মানসিকতা অনেক সময়ই অনেকের হয়ে ওঠে না। আর অনেকের মাঝে এ রকম প্রবণতা থাকে, আমার প্রয়োজন আমি কল করবো, আমার যেটা সুবিধা সেটাকেই প্রাধান্য দেই৷ এই ধরনের আচরণের কারণে অন্য কারও যে প্রাইভেসি ক্ষুণ্ন হতে পারে, সেই কাণ্ডজ্ঞানের অভাব আছে আমাদের দেশে।




আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী দিলরুবা শারমিন বলেন, ‘প্রথম বিষয় হচ্ছে, আমাদের দেশে সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা সরাসরি কলের বিষয়ে কোনো আইন নেই। 
তবে সামাজিক ব্যাপারটা তো আইনেরও ঊর্ধ্বে। আমি একজন আইনজীবী আমার কাছে কল আসতেই পারে। তবে, আমাদের দেশের মেয়েরা মোবাইল নিয়ে খুবই বিড়ম্বনায় থাকে। 
মোবাইল রিচার্জ করতে গেলেও তারা নানা রকম শ্রীহীন কল পেয়ে থাকেন, একইসঙ্গে আত্মীয় স্বজন তো যেকোনো সময় সময়জ্ঞান নেই, সময়ে-অসময়ে পরিস্থিতি বিবেচনা না করেই কল দিয়ে থাকেন। আননোন নম্বর থেকেও হ্যারেসমেন্টের বিষয়টা তো রয়েছেই। 
আননোন নম্বর থেকে কল আসার বিষয়টি মেয়েদের কাছে রীতিমতো আতঙ্ক। তবে, আমাদের দেশে এই বিষয়ে কোনো আইন নেই।’




দিলরুবা শারমিন আরও বলেন, ‘মানুষতো চটে যায় শেষ পর্যন্ত। 
আমার বয়স ৫৩। আমি একজন প্র্যাকটিশনার লইয়ার। আমি যখন একটা মানুষকে কল কেটে দিয়ে মেসেজ করি আমি ব্যস্ত আছি বা কোর্টে আছি, আপনি আমাকে একটু পরে ফোন দেন। 
তারা বোধহয় মেসেজগুলো খুলেও দেখেন না। 
কন্টিনিয়াসলি কল দিতেই থাকে। ধরার পর তারা রীতিমতো ঝাড়ি দিয়ে বসেন। 
বুঝতে চেষ্টা করেন না, আমি রাস্তা পার হচ্ছি, না গাড়িতে উঠছি, না কি গাড়ি থেকে নামছি, কোর্টে আছি নাকি গোসলে আছি নাকি রান্না করছি। 
আর আননোন নম্বর থেকে কল এলে তারা নিজেদের পরিচয় একেবারেই দিতে চান না; উল্টো তারাই জানতে চান, ‘আপা আপনার নাম কী, বাড়ি কোথায়, দুলাভাই কী করে, বাচ্চারা কী করে?’ এসব তথ্য তারা নেওয়ার চেষ্টা করেন।’’




বিরক্তিকর-কল
এক প্রসঙ্গে জবাবে এই আইনজীবী বলেন, ‘‘আমি আসলে ফোন মিস করলে ব্যাক করি।
 তবে মাঝে মাঝে বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে। আমি পরবর্তী সময়ে কল ব্যাক করলে বলে, ‘আপনি কে, কেন কল করেছেন? আমি আপনাকে চিনতে পারছি না।’ 
বিভিন্ন বিষয় বলার পর তাদের মনে পড়লে তারা বলেন, ‘ও আচ্ছা অন্য কেউ কল করেছিল আমার ফোন থেকে।’ অনেকে বাচ্চার হাতে মোবাইলফোন দিয়ে রাখেন, বাচ্চারা যখন তখন কল করে থাকেন। এটা পরিচিত মহলও করে থাকে। অপরিচিতরাও।’




‘বিনা অনুমতিতে কল দেওয়া কিংবা অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে অডিও-ভিডিও কল পেলে কেমন বোধ করেন?’ 
এমন প্রশ্নের জবাবে দিলরুবা শারমিন বলেন, ‘বোঝাতেই পারি না, আমার বয়স ৫৩ বছর। 
আমি দুটি বড় বড় বাচ্চার মা। এখন তো আসলে সবার হাতে হাতে ফোন, অল্প টাকায় টাচ ফোন হওয়ায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের হাতেই মোবাইল ফোন। 
তাদের সবার আবার ফেসবুকও আছে।
৫ হাজার ফ্রেন্ডের মাঝে সব সময় সবাইকে খেয়াল করাও সম্ভব হয় না।’ 
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই মেসেজ দেন, ম্যাডাম আইন বিষয়ে সাহায্যের প্রয়োজন ছিল, নম্বরটা যদি দিতেন। আইনজীবীরা সাহায্য করবে মানুষকে, এটাই স্বাভাবিক। 
কিন্তু নম্বর দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কল দেন।
 আর অপ্রয়োজনীয় বিষয়েও কথা বলেন। আদতে তার কোনো প্রয়োজনই নেই।

সোমবার, ২২ নভেম্বর, ২০২১

শীতকালে আমলকীর জুস খাবেন যে ৫ কারণে



আবহাওয়া পরিবর্তনের এ সময়টায় নানা রোগব্যাধি দেখা দেয়।
এ কারণে রোগ প্রতিরোধের দিকে সবার নজর দেওয়া উচিত। সে জন্য খাবার-দাবারে যত্ন নিতে হবে।




শীতকালে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি মেলে বাজারে।
এগুলো থেকে অনায়াসে আপনি মিটিয়ে নিতে পারেন আপনার প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণের অনেকটাই। 
এর পাশাপাশি মেন্যুতে থাকতে পারে বিভিন্ন ফল ও ফলের জুস।




এমনই একটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ সুপারফুড হচ্ছে আমলকী। 
এটি আপনার শরীরে পুষ্টি সরবরাহের পাশাপাশি বৃদ্ধি করবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। 
জানুন শীতকালে আমলকীর জুস খাবেন যে ৫ কারণে—




১. রোগ প্রতিরোধে
আমলকী ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। 
এটি শরীরের ভেতর থেকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে। 
এটি মৌসুমি ঠাণ্ডার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।




২. ত্বকের পুষ্টি পূরণ
আমলকীতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তকে বিশুদ্ধ করে দাগমুক্ত ও ত্বকে পুষ্টি পেতে সাহায্য করে। 
এ ছাড়া আমলকীতে বার্ধক্যবিরোধী বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। 
এ কারণে এটিকে শীতকালীন খাদ্যতালিকায় রেখে ত্বকের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে পারেন।




৩. ওজন কমাতে
শীতকাল প্রচুর সুস্বাদু খাবার মেলে। আর এগুলো খেলে অনেকেরই ওজন বেড়ে যায়।
 কিন্তু আপনার নিয়মিত খাদ্যতালিকায় আমলকী জুস রাখলে এতে থাকা ডিটক্স আপনার ওজন কমানোর জন্য উপকারী হতে পারে।




৪. হজম শক্তি বাড়ায়
শীতকালে হওয়া আরেকটি সমস্যা হচ্ছে বদহজম। 
এমন পরিস্থিতিতে আমলকী হজমশক্তি বৃদ্ধি করে ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো করতে সহায়তা করতে পারে।




৫. ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
আমলকী ক্রোমিয়ামের অনেক ভালো একটি সমৃদ্ধ উৎস হওয়ায় তা আমাদের শরীরকে ইনস্যুলিনের প্রতিক্রিয়া জানাতে সাহায্য করে। 
এ কারণে আমলকী ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করে থাকে।

৫০ বছর পেরোলে জয়েন্ট ব্যথায় সবচেয়ে ক্ষতিকারক চার খাবার

খাবার আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ঠিকমতো কাজ করার জন্য যে শক্তির প্রয়োজন তা খাবার থেকেই আসে। তাই স্বাস্থ্যকর ও সঠিক খাবার খাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।




অনেক গুরুতর রোগ রয়েছে, যেগুলো শরীরে কম পুষ্টির সঙ্গে সম্পর্কিত।
পুষ্টি কমে যাওয়ার কারণে সেই রোগগুলো হওয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। 
 বিশেষ করে বয়স ৫০ পেরোলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেন ঝেঁকে ধরে। 
তাই এ সময়টাতে আরও বেশি সতর্ক হতে হয় খাবারের বিষয়ে।




বয়স বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে জয়েন্টে ব্যথা অনুভব করার সম্ভাবনাও বাড়তে থাকে। 
আর কিছু খাবারের কারণেও সমস্যা আরও বেশি হতে পারে। 
তাই স্বাস্থ্য সতর্কতায় জেনে নিন ৫০ পেরোলে জয়েন্ট ব্যথায় সবচেয়ে ক্ষতিকারক চার খাবার সম্পর্কে

১. বাড়তি চিনিযুক্ত খাবার

বাড়তি চিনিযুক্ত খাবার খেলে তা ৫০ পেরোনোর পর জয়েন্ট ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। পিএইচডি, আরডিএন, ফিনালি ফুল, ফিনালি স্লিমের লেখক এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ লিসা ইয়াং বলেছেন, গবেষণা অনুসারে বাড়তি চিনিযুক্ত খাবার আর্থ্রাইটিসের লক্ষণগুলোকে আরও খারাপ করতে পারে এবং এর ফলে বাতের ব্যথার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। আর এসব খাবারে কোনো পুষ্টি থাকে না। এ ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে— ক্যান্ডি, সোডা, মিষ্টি পানীয়, এমনকি সস ও কেচাপের মতো ড্রেসিংও।
তাই এ ধরনের খাবারের বিষয়ে থাকতে হবে সতর্ক।




২. বাড়তি লবর্ণ

খাবারে বাড়তি লবণ খেলেও তা জয়েন্টে ব্যথার কারণ হতে পারে। আর এটি রক্তচাপের জন্যও অনেক ক্ষতিকর।
এমএস, আরডি, এলডি, দ্য নুরিশড ব্রেইনের লেখক চেরিল মুসাটো বলেছেন, অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খেলে তা জয়েন্টগুলোতে প্রদাহ বাড়াতে পারে এবং তরল ধারণে অবদান রাখতে পারে। আর এর ফলে জয়েন্টগুলোতে গতির পরিসর কমে যায়। আর বাড়তি লবণ ছাড়াও প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন চিপস, প্রিটজেল, হিমায়িত খাবারও সোডিয়ামের মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
তাই ৫০ পেরোলে এ ধরনের খাবার এড়াতে হবে।




৩. পরিশোধিত তেল ও ময়দা
খাবারে পরিশোধিত তেল ব্যবহার ও ময়দা থেকে তৈরি খাবার বাড়িয়ে তুলতে পারে জয়েন্টে ব্যথা। শুধু তাই নয়, এ ছাড়া ময়দা থেকে তৈরি খাবারও প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। আর এগুলো আপনার জয়েন্টের ব্যথাকে প্রভাবিত করতে পারে।




৪. চর্বিযুক্ত খাবার
অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা চবিযুক্ত খাবার খেলেও ৫০ পেরোলে দেখা দিতে পারে জয়েন্ট ব্যথা। স্যান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক ইজেডকেয়ার ক্লিনিকের আরডি শ্যানন হেনরি বলেছেন, স্যাচুরেটেড ফ্যাটজাতীয় খাবার কম খেলে তা আপনাকে ৫০ বছরের পর জয়েন্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করবে।




তথ্যসূত্র: ইটদিস ডটকম

নতুন সিনেমা ‘নেত্রী : দ্য লিডার


পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকায় শুরু হয়েছে তারকা দম্পতি অনন্ত ও বর্ষা অভিনীত নতুন সিনেমা ‘নেত্রী : দ্য লিডার’-এর শুটিং। 
২০ নভেম্বর থেকে সাভারে সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়। এটি এ সিনেমার দ্বিতীয় লটের কাজ। এ পর্যায়ে শুটিংয়ে অনন্ত ও বর্ষার পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় তারকাশিল্পী কবির দুহান সিং ও প্রদীপ রাওয়াত। সিনেমার আরও





একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন ভারতের তরুন অরোরা।




তিনি আগামীকাল শুটিংয়ে অংশ নিতে ঢাকায় আসবেন। এর আগে এ সিনেমার প্রথম লটের শুটিং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের হায়দরাবাদে হয়েছে। এরপর করোনার জন্য অনেকদিন বন্ধ ছিল। দ্বিতীয় লটের শুটিং হওয়ার কথা ছিল তুরস্কে। কিন্তু এ মুহূর্তে দেশটিতে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সিদ্ধান্ত বদল করে বাংলাদেশে শুটিং করছেন অনন্ত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নভেম্বরে তুরস্কে শুটিং করার কথা থাকলেও সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বাংলাদেশেই করছি।




এ সময়ের মধ্যে আমরা বাংলাদেশের পার্ট শেষ করব। আগামী মার্চ নাগাদ তুরস্কে শীতের প্রকোপ কমে গেলে সেখানে যাব শুটিং করতে।’ 
সিনেমাটি বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে প্রযোজনা করছে তুরস্ক।
 দেশটির বেশ কয়েকজন তারকাশিল্পীও এতে অভিনয় করছেন। 
পরিচালনা করছেন দক্ষিণ ভারতীয় নির্মাতা উপেন্দ্র মাধব। এ সিনেমার কেন্দ্রীয় তথা নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন চিত্রনায়িকা বর্ষা।
 এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দারুণ একটি চরিত্র। নেত্রীকে ঘিরেই সবগুলো ঘটনা আবর্তিত হবে। 
আমার বিশ্বাস এ সিনেমাটি আমার জন্য একটি মাইলফলক হবে।’
 সিনেমায় অনন্তকে দেখা যাবে বর্ষার বডিগার্ডের চরিত্রে।

নরসিংদীতে বিএনপির তিন শতাধিক নেতা-কর্মী অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে ছাড়া পেয়েছেন।

 


নরসিংদীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবিরসহ তিন শতাধিক নেতা-কর্মী অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে ছাড়া পেয়েছেন। সাড়ে ছয় ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার চিনিশপুরে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় থেকে বের হয়েছেন তাঁরা। এর পর খায়রুল কবির তাঁর গাড়িতে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে নরসিংদী ছাড়েন।



জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। বেলা তিনটার দিকে চিনিশপুরে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের ভেতরে প্যান্ডেল করে কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয়। পাঁচ শতাধিক দলীয় নেতা-কর্মী এই বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন। বিকেল পাঁচটার দিকে জেলা পুলিশের একদল সদস্য সেখানে হাজির হয়ে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটক করে নিয়ে যান। পরে গ্রেপ্তারের ভয়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ের গেট ভেতর থেকে তালাবদ্ধ করে রাখেন। এর পর থেকেই বাইরে থেকে পুলিশ কার্যালয়টি ঘিরে রাখে।



সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল থেকেই দলীয় কার্যালয়টির প্রধান ফটকের ২০ গজ দূরত্বে অবস্থান নেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় কার্যালয়টির দুই পাশের সড়কে খণ্ড খণ্ড দলে ভাগ হয়ে অবস্থান নেন অন্তত শতাধিক পুলিশ। 


এই ঘটনায় অবরুদ্ধ হয়ে থাকা নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, সহসভাপতি দীন মোহাম্মদ, যুগ্ম সম্পাদক আকবর হোসেন, শহর বিএনপির সভাপতি এ কে এম গোলাম কবির, সাধারণ সম্পাদক ফারুক উদ্দীন ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আমিনুল হক, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোকাররম ভূঁইয়া, হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।


অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির বলেন, ‘একটি স্বাধীন দেশে রাজনৈতিক দলের কর্মী হিসেবে সভা-সমাবেশ করা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। অথচ এই অধিকারটুকুও তারা আমাদের দিতে চান না। শত শত মানুষ আমাদের সভা-সমাবেশে যোগ দেন। এই কারণে তারা আমাদের নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।’ 


এ সময় খায়রুল কবির আরও বলেন, ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা খালেদা জিয়া বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করুক, এটাই তারা চায়। বিদেশে না পাঠিয়ে তাঁকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার দায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে।’


জানতে চাইলে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে দলটির নেতা-কর্মীদের অবরুদ্ধ করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাঁরা নিজেরাই কার্যালয়টির প্রধান ফটকে তালা মেরে রেখেছিলেন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, শুধু সে জন্য দলীয় কার্যালয়ের বাইরের রাস্তায় পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। তাদের সন্দেহ কেটে গেলে তারা নিজেরাই এক এক করে বেরিয়ে যান।’ 

শনিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২১

করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর পর আজ রবিবার শুরু হতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় পাবলিক পরীক্ষা।



করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর পর আজ রবিবার শুরু হতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় পাবলিক পরীক্ষা। দেশজুড়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রায় ২২ লাখ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে শুরু হবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। দেশে বেশ কয়েক বছর ধরে ফেব্রæয়ারি মাসে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও করোনাভাইরাসের কারণে দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নয় মাস পিছিয়ে এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগেই এসএসসির পরীক্ষা শেষ হয়েছিল। তাই দীর্ঘ বিরতির পর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি নিয়েছে শিক্ষা প্রশাসন। প্রশ্নফাঁস এবং নকল রোধে নেয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।

জানা যায়, পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে এবারের এসএসসি পরীক্ষা। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে শুধু তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হবে। পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনা হয়েছে দেড় ঘণ্টায়। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নজর দিয়ে এবার বাড়তি প্রস্তুতি নিয়েছে কেন্দ্রগুলো। একই সঙ্গে শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের জন্য পরীক্ষার আগে ও চলাকালে করণীয় নিয়ে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।


শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হিসাব বলছে, চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। ৩ হাজার ৬৭৯টি কেন্দ্রে মোট ২৯ হাজার ৩৫টি স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের এসএসসি ও সমমানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। ৯টি সাধারণ বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১৭ হাজার ৬৭৬টি স্কুলের ১৮ লাখ ৯৯৮ জন শিক্ষার্থী। আর ৯ হাজার ১১০টি মাদ্রাসার ৩ লাখ ১ হাজার ৮৮৭ জন পরীক্ষার্থী ৭১০টি কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নেবে ২ হাজার ৩৪৯টি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন শিক্ষার্থী। গতবছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন। গত বছরের থেকে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন। গত বছরের থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র বেড়েছে ১৬৭টি। আর প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১৫১টি।


শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, নকলমুক্তভাবে পরীক্ষা আয়োজন করার জন্য গত সোমবার থেকে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে গেছে এ্যাডমিট কার্ড। পরীক্ষার সব ধরনের প্রস্তুতি তারা সম্পন্ন জানিয়ে রাজধানীর কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতি বেঞ্চে দুই জন করে বসানো হবে পরীক্ষা কেন্দ্রে। করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের হাত জীবাণুমুক্ত করিয়ে এবং তাপমাত্রা মেপে স্কুলে প্রবেশ করানো হবে। কারও শরীরের তাপমাত্রা বেশি আসলে এবং করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকলে তাকে আলাদা রুমে পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে সেজন্য আইসোলেশন রুমও প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্র এলাকায় অভিভাবকদের বাড়তি চাপও নিয়ন্ত্রণ করা হবে।


কবে কোন পরীক্ষা ॥ আজ রবিবার পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত¡ীয়) পরীক্ষার মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ২৩ নবেম্বর। ১৫ নবেম্বর সকালে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এবং বিকেলে হিসাববিজ্ঞান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ নবেম্বর সকালে রসায়ন (তত্ত¡ীয়) বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ নবেম্বর সকালে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া (তত্ত¡ীয়) অনুষ্ঠিত হবে। ২১ নবেম্বর সকালে ভূগোল ও পরিবেশ এবং বিকেলে ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২২ নবেম্বর সকালে উচ্চতর গণিত ও জীববিজ্ঞান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২৩ নবেম্বর সকালে পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আর বিকেলে ব্যবসায় উদ্যোগ বিষয়ের পরীক্ষা হবে।


একইভাবে দাখিলের কোরআন মাজিদ ও তাজবিদ ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয় দিয়ে শুরু হয়ে ১৮ নবেম্বর হাদিস শরিফ বিষয়ের এবং ২১ নবেম্বর ইসলামের ইতিহাস, রসায়ন, তাজবিদ নসর ও নজম (মুজাব্বিদ গ্রæপ) এবং তাজবিদ (হিফজুল গ্রæপ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। নির্ধারিত দিনে সকাল ১০টা থেকে ১১ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।


ফল প্রকাশ ॥ আজ রবিবার থেকে ২৩ নবেম্বর পর্যন্ত এসএসসির লিখিত পরীক্ষা এবং ২১ নবেম্বর পর্যন্ত দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ নবেম্বরের মধ্যে শেষ হবে এসএসসি ও দাখিলের ব্যাবহারিক পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ত্রিশ দিনের মধ্যে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে হিসেবে আগামী ডিসেম্বর মাসেই ২০২১ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে।


শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ॥ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে রয়েছে, পরীক্ষার্থীর সঙ্গে একজনের বেশি অভিভাবক কেন্দ্রে আসতে পারবেন না, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে মাঠ প্রশাসনকে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে, এছাড়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর থেকে ৫ সেপ্টেম্বর জারি করা গাইডলাইনের নির্দেশনা পালন করার পাশাপাশি পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ত্রিশ মিনিট আগে সব পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোন পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের পর পরীক্ষা কেন্দ্রে আসলে রেজিস্ট্রারে নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে। বিলম্বে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্র সচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাবে। কেন্দ্র সচিব ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম বা অননুমোদিত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত ফোন বা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।


শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দিতে হবে। ট্রেজারি বা থানা বা নিরাপত্তা হেফাজত থেকে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা তার মনোনীত উপযুক্ত প্রতিনিধি ট্যাগ অফিসারসহ প্রশ্নপত্র গ্রহণ করে পুলিশ প্রহরায় কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতি ছাড়া প্রশ্ন বের করা যাবে না বা বহন করা যাবে না। ট্রেজারি বা থানা বা নিরাপত্তা হেফাজত থেকে পরীক্ষার কেন্দ্রে বহুমুখী নির্বাচনী প্রশ্নসহ রচনামূলক বা সৃজনশীলের সকল সেট প্রশ্নই নিতে হবে। সেট কোড পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে জানানো হবে। সে অনুযায়ী নির্ধারিত সেট কোডে পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার), কেন্দ্র সচিব এবং পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতি ও স্বাক্ষরে বিধি অনুযায়ী প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলতে হবে। অনিবার্য কারণবশত কোন পরীক্ষা বিলম্বে শুরু করতে হলে যত মিনিট পরে পরীক্ষা শুরু হবে পরীক্ষার্থীদের সে সময় থেকে যথারীতি প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত নির্ধারিত সময় দিতে হবে। তবে দৃষ্টিহীন, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধকতা ও হাত না থাকা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা শ্রæতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের ও শ্রবণ প্রতিবন্ধকতায় আক্রান্ত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া, অটিজম, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধকতায় আক্রান্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হয়েছে।


আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ॥ এসএসসি এবং সমমান পরীক্ষা নির্বিঘেœ সম্পন্ন করার জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরই মধ্যে পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থী ও কেন্দ্রের কর্মী ছাড়া অন্য কাউকে পরীক্ষা কেন্দ্রের অন্তত ২০০ গজের ভেতরে প্রবেশ করতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। পরীক্ষা চলাকালীন এবং পরীক্ষা অনুষ্ঠানের আগে বা পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশকারী অননুমোদিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে ও প্রশ্ন পরিবহনে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রশ্নফাঁস রোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ নজরদারি জোরদার করবে।


প্রসঙ্গত, চলতি নবেম্বর মাসের শুরুতেই কেন্দ্রগুলোকে পরীক্ষার্থীদের এ্যাডমিট কার্ড বিতরণ করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। ইতোমধ্যে কেন্দ্রগুলো স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোকে এ্যাডমিট কার্ড বিতরণ করেছে কেন্দ্রগুলো। পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে এ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করে সম্পন্ন করেছে পরীক্ষার সব রকমের প্রস্তুতি।

বুধবার, ১০ নভেম্বর, ২০২১

নরসিংদীর রায়পুরায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

 


নরসিংদীর রায়পুরায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকালে প্রত্যন্ত চরাঞ্চল বাঁশগাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। 



রায়পুরা সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 


নিহতরা হলেন-সালাউদ্দিন, দুলাল ও জাহাঙ্গীর।


পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল হক সরকারের সমর্থকের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী টেলিফোন প্রতীকের রাতুল হাসান জাকিরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আশরাফুল হক সরকারের সমর্থক দুলাল এবং রাতুল হাসান জাকিরের সমর্থক সালাউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর নিহত হন।’

মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০২১

প্রেমিকার সামনে বুকে ছুরি চালিয়ে প্রেমিকের আত্মহত্যা


রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় প্রেমিকার সামনে বুকে ছুরি চালিয়ে এবং পরবর্তীতে বিষপান করে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে মহানগরীর লক্ষ্মীপুর মাস্টার শেফ বাংলা রেস্তোরাঁর সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম বুলবুল আহমেদ (২৬)। সে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার তারাপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।



প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে দুই যুবক এবং এক তরুণী লক্ষীপুরের মাস্টারশেফ বাংলা রেন্তোরাঁ থেকে কাচ্চি বিরিয়ানি পার্সেল নিয়ে বাইরে বের হন। এ সময় ওই তরুণীর সঙ্গে নিহত যুবকের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে যুবক নিজেই নিজের বুকে ছুরিকাঘাত করে এবং পরবর্তীতে বিষপান করে। পরে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিহত ওই যুবক কী কারণে আত্মহত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, এরপর বাসের ভাড়া বাড়ানো এবং যাত্রীদের হয়রানির কঠোর সমালোচনা করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোট

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, এরপর বাসের ভাড়া বাড়ানো এবং যাত্রীদের হয়রানির কঠোর সমালোচনা করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোট। একই সঙ্গে ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে জোটের নেতারা সহিংসতা বন্ধের দাবি জানান।


মঙ্গলবার বিকেলে জোটের বৈঠকে নেতারা এসব সমালোচনা ও উদ্বেগের কথা জানান। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও জোটের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয়তা এবং পাওয়া-না পাওয়া নিয়েও অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু আশ্বাস দেন, জোটের প্রধান শেখ হাসিনাকে বিষয়গুলো অবহিত করা হবে।



ইস্কাটনে আমির হোসেন আমুর বাসায় এই বৈঠক হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে এর আগে জোটের যে কটি বৈঠক হয়েছে, তা মূলত দিবসভিত্তিক কিছু ভার্চ্যুয়াল আলোচনা। বেশ কিছুদিন ধরেই জোটের নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একটা বৈঠক করার আগ্রহ দেখিয়ে আসছিলেন। বৈঠকে কী কী বিষয়ে কথা বলা যায়, এর প্রস্তুতি হিসেবে মঙ্গলবারের বৈঠক ডাকা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।



বৈঠক শেষে আমির হোসেন আমু সাংবাদিকদের বলেন, ডিজেলের দাম একসঙ্গে ১৫ টাকা বৃদ্ধি করা ঠিক হয়নি। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির আগে বাসমালিক ও জনগণের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘বাসভাড়া বাড়ায় জনগণের যে দুর্ভোগ হয়েছে, তা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা মনে করি, বাসভাড়া বৃদ্ধির পদক্ষেপ অমানবিক। অত্যন্ত বেশি ভাড়া হয়েছে। আমরা জানি, অধিকাংশ বাসই গ্যাসে চালিত। কিন্তু গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি না হওয়ার পরেও সব বাসের ভাড়া বৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ ১৪ দল পায় না।’






এ সময় পাশে থাকা জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘রাজস্ব কমিয়ে দিলেই হতো। ভারত তো তাই করেছে।’




ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় ১৪–দলীয় জোট উদ্বিগ্ন—এ কথা জানিয়ে আমু বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, যাতে সহিংসতা বন্ধ হয়। নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে যাতে জনগণ ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারে।’ তিনি বলেন, দেশে সরবরাহ ও উৎপাদনে কোনো ঘাটতি নেই। এরপরও অহেতুক দফায় দফায় যে পণ্যের দাম বাড়ছে, সেদিকে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া উচিত।




সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় সারা দেশে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘আমরা মনে করি, সরকারকে তদন্ত করে এর বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নিতে হবে।’



রাশেদ খান মেনন বৈঠকে বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তি জাতীয়-আন্তর্জাতিক মণ্ডলের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উসকানি দিয়েছে। সরকারকে এই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা কঠোরভাবে দমন করতে হবে। তিনি বলেন, ভারতের পত্র-পত্রিকায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়টিকে গণহত্যা হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে এর জবাব দেওয়া উচিত ছিল।



জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ১৪ দলের প্রয়োজন আছে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আওয়ামী লীগকে। আওয়ামী লীগ যদি মনে করে যে ১৪ দলের দরকার নেই, অসুবিধা নেই।



বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, সরকার ও আওয়ামী লীগে দক্ষিণপন্থীদের পাল্লা ভারী হয়ে যাচ্ছে। এটা নিয়ে ভাবতে হবে। গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করেন, কিশোরগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অন্যায়ভাবে তাদের প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২১

বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম , খুলনা, সিলেট ,বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী বেতার (ক) (খ) লাইভ

  https://play.google.com/store/apps/details?id=com.digilab.AMFM

Download Bangla Radio app

রেডিও প্রেমীদের জন্য এখন এম , এফ এম রেডিও লাইভ যুক্ত করে আপনাদের পাশে আছি আমরা।

আপনার পছন্দের চ্যানেলটি যুক্ত করে ৫ ষ্টার দিয়ে চ্যানেলটির নাম লিখুন রিভিউ বক্সে প্লেস্টোরে।

যে সকল রেডিও গুলো শুনতে পাবেন নিচে তালিকা দেয়া হলো।
প্রতিদিনের ধারণকৃত সংবাদ
বাংলাদেশ বেতার (ক)
বাংলাদেশ বেতার (খ)
বাংলাদেশ বেতার ট্রাফিক
বহির্বিশ্ব কার্যক্রম 
বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম
বাংলাদেশ বেতার খুলনা
বাংলাদেশ বেতার সিলেট 
বাংলাদেশ বেতার বরিশাল
বাংলাদেশ বেতার রংপুর
বাংলাদেশ বেতার রাজশাহী
এছাড়াও দেশের সকল চ্যানেল শুনতে পাবেন।
ধন্যবাদ

সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২১

রাশিয়ার এমন একটি বিষাক্ত আংটি আছে, যা দিয়ে করমর্দন করেই সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহকে খুন করা সম্ভব

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান রাশিয়ার তৈরি একটি ‘বিষাক্ত আংটি’ ব্যবহার করে তৎকালীন বাদশাহ আবদুল্লাহকে খুন করতে চেয়েছিলেন। 
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেছেন দেশটির সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাদ আল-জাবরি।


ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকান সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএস-এর ‘সিক্সটি মিনিটস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাদ আল-জাবরি বলেন, তিনি এমন একটি ভিডিওর কথা জানেন, যেখানে বাদশাহ আবদুল্লাহকে চাইলেই খুন করতে পারেন বলে দম্ভ করেছিলেন বিন সালমান।

সাক্ষাৎকারে সাদ আল-জাবরি বলেন, ওই সময় সালমান বলেছিলেন, তাঁর কাছে রাশিয়ার এমন একটি বিষাক্ত আংটি আছে, যা দিয়ে করমর্দন করেই সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহকে খুন করা সম্ভব। 

বাবার জন্য সৌদি আরবের সিংহাসনে আরোহণের পথ পরিষ্কার করতেই তিনি এই খুন করতে চান বলে ২০১৪ সালে চাচাতো ভাই ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিন নায়েফকে জানিয়েছিলেন বিন সালমান।
বিবিসির তথ্যমতে, সিংহাসনের উত্তরাধিকার নিয়ে তখন সৌদি রাজ পরিবারের মধ্যে বেশ উত্তেজনা চলছিল।
এদিকে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে জাবরিকে নিন্দিত এক সাবেক সরকারি কর্মকর্তা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সিবিএসকে পাঠানো এক বিবৃতিতে সৌদি বলছে, জাবরির কথা বাড়িয়ে বলার ইতিহাস আছে।
সাক্ষাৎকারে জাবরি জানান, মোহাম্মদ বিন নায়েফকে তখন বিন সালমান বলেছিলেন, ‘আমি বাদশাহ আব্দুল্লাহকে হত্যা করতে চাই।
রাশিয়া থেকে একটি বিষাক্ত আংটি পেয়েছি। তাঁর সঙ্গে শুধু করমর্দন করলেই যথেষ্ট। তিনি শেষ হয়ে যাবেন।’

সাক্ষাৎকারে জাবরি আরও বলেন, ‘তিনি দম্ভ করেও এটি বলতে পারেন। তবে তিনি এটি বলেছেন এবং আমরা তাঁর এ কথাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিলাম।’

জাবরি বলেন, বৈঠকটি রাজদরবারে গোপনীয়তার সঙ্গে হয়েছিল। তবে গোপনে বৈঠকটি ভিডিও করা হয় এবং ভিডিও রেকর্ডিংয়ের দুইটি কপি কোথায় আছে তা তিনি জানেন।


বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে ৯০ বছর বয়সে মারা যান সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ। তাঁর সৎ ভাই এবং মোহাম্মদ বিন সালমানের বাবা সালমান বিন আব্দুল আজিজ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন।

মোহাম্মদ বিন নায়েফকে তখন ক্রাউন প্রিন্স করেছিলেন বাদশাহ সালমান। এরপর ২০১৭ সালে বিন নায়েফের জায়গায় ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হন মোহাম্মদ বিন সালমান।


বিবিসির তথ্যমতে, বিন নায়েফকে তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি গৃহবন্দী করা হয় বলে খবর বের হয়েছিল। এরপর গত বছর বেশ কিছু অভিযোগে তাঁকে আটক করে সৌদি সরকার। বিন নায়েফকে দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর সাদ আল-জাবরি কানাডায় পালিয়ে যান।

সাক্ষাৎকারে যুবরাজ সালমান সম্পর্কে জাবরি বলেন, দেশের ডি ফ্যাক্টো শাসক এবং বাদশাহ সালমানের ছেলে মধ্যপ্রাচ্যে অসীম সম্পদের অধিকারী। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ, খুনি, নিজ দেশের জনগণ, আমেরিকা এবং সারা বিশ্বের জন্যই তিনি হুমকি।


এদিকে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগজি খুন হওয়ার পর জাবরি তাঁর এক বন্ধুর কাছ থেকে সতর্কবার্তা পেয়েছিলেন যে, সৌদি ‍যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তাঁকে হত্যার উদ্যোগ নিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে জাবরি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে একটি গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠানে কাজ করা তাঁর এক বন্ধু তাঁকে এ সতর্কবার্তা দিয়েছেলিন।
বলেছিলেন যে, ২০১৮ সালের অক্টোবরে তাঁকে খুন করতে মোহাম্মদ বিন সালমান একটি ‘হিট টিম’ পাঠাচ্ছেন।

শুক্রবার, ২২ অক্টোবর, ২০২১

বাংলা অনলাইন পত্রিকা All Bangla newspaper

বাংলাদেশের সকল জাতীয় পত্রিকাগুলো দেখতে পাবেন আমাদের এপটিতে।



আপনাদের পছন্দের পত্রিকা যুক্ত করতে অথবা আপনার নিউজপোর্টাল যুক্ত করতে আমাদের ইমেইল করুন।
পত্রিকার তালিকা গুলো নিচে দেয়া হলো।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
দৈনিক প্রথম আলো
দৈনিক কালের কণ্ঠ
দৈনিক যুগান্তর
দৈনিক ইত্তেফাক
দৈনিক আমাদের সময়
দৈনিক জনকণ্ঠ
দৈনিক সমকাল
দৈনিক সংবাদ
দৈনিক ভোরের কাগজ
দৈনিক মানবকণ্ঠ
দৈনিক ইনকিলাব
দৈনিক সময়ের আলো
দৈনিক মানবজমিন
দৈনিক জনতা
যায়যায়দিন
দৈনিক নয়া দিগন্ত
দৈনিক আজাদী (চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত)
দৈনিক সিলেটের ডাক (সিলেট থেকে প্রকাশিত)
দৈনিক জালালাবাদ (সিলেট থেকে প্রকাশিত)
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)
কুমিল্লার কাগজ (কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত)
আরো অসংখ্য পত্রিকা এপটি ইনস্টল করে দেখে নিন ! ধন্যবাদ

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.digilab.newsapp


মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২১

ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী ﷺ

ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী ﷺ।


একটি ধর্মিয় উৎসবের নাম। শব্দগুলোকে একটু ভেঙে ভেঙে দেখলে দেখা যায় এতে তিনটি অংশ রয়েছে।
যেমন- ঈদ+মিলাদ+নবী। শব্দগুলিকে একটু সাজিয়ে দেখলে যা বুঝা যায় তা হচ্ছে-ঈদ অর্থ আনন্দ, মিলাদ মানে জন্ম এবং নবী বলতে বুঝানো হচ্ছে আমাদের প্রিয়  সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল হযরত মুহাম্মদ 
 কে।
যা সংক্ষেপে হয়েছে ‘ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী‘
 (নবীর জন্মের খুশি)।

প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ( ) যে আমাদের মাঝে আগমন করলেন এতে আমরা খুশি হয়েছি কিনা, আনন্দিত হয়েছি কিনা। 
যদি খুশি হতে না পারি, আনন্দিত না হই তবে উনার জন্মদিনটা আমার/ আমাদের কাছে বিশেষ কিছু না। আর যদি উনার শুভাগমনে আমার/আমাদের হৃদয় আনন্দিত হয়, 
যদি মনে করি উনি প্রভুর পক্ষ হতে সেরা দান তবে এই দিনটা অবশ্যই বিশেষ কিছু, অবশ্যই এই দিন একটি শ্রেষ্ঠ ঈদানন্দের দিন। 
মহান রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন-

يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ ﴿٥٧﴾ قُلْ بِفَضْلِ اللَّـهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ ﴿٥٨﴾

অর্থাৎ- হে মানুষ! তোমাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে তোমাদের ওপর নাজিল হয়েছে উপদেশবাণী। বিশ্বাসীদের জন্যে এতে রয়েছে অন্তরের সকল বিভ্রান্তি ও ব্যাধির নিরাময়, সরলপথের নির্দেশনা ও রহমত। হে নবী! বলো, আল্লাহর এই অনুগ্রহ ও রহমতের জন্যে তোমরা সবাই আনন্দ প্রকাশ করো। তোমাদের পুঞ্জীভূত ধনসম্পত্তির চেয়ে এ অনেক শ্রেয়।

-সূরা ইউনুস আয়াত ৫৭-৫৮।

এখানে দয়াময় আল্লাহ বলছেন আমরা যে সকল ধন সম্পত্তি সঞ্চিত করি সে সকলের চেয়ে উত্তম হচ্ছে রহমত,বরকত, অন্তরের সকল বিভ্রান্তির ও ব্যাধির নিরাময় এবং সরল পথের নির্দেশনা হিসেবে যে মহামানবকে আমাদের কাছে প্রেরণ করেছেন তাঁকে প্রাপ্তিতে আনন্দ প্রকাশ করা,শুকরিয়া আদায় করা। তবে আশেকে রাসুলগন এই আনন্দ প্রকাশ, শুকরিয়া আদায় এবং শ্রদ্ধার সাথে সালাম পেশ করা সারা বছরই করে থাকেন। 
আর ১২ই রবিউল আউয়াল এ মহামানবের ধূলির ধরায় স্বশরীরে আগমনের দিন বিধায় এই দিনকে বিশেষ মর্যাদায় উদযাপন করেন।

মহান রাববুল আলামীন আরো স্পষ্ট ভাষায় বলেন-

إِنَّ اللَّـهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا ﴿٥٦﴾

অর্থাৎ-আমি(আল্লাহ) ও আমার ফেরেশতারা নবীর প্রতি দরুদ পড়ি। 
অতএব হে বিশ্বাসীগণ! তোমরাও নবীর ওপর দরুদ পড় এবং শ্রদ্ধার সাথে সালাম পেশ কর।

সুরা আহযাব, আয়াত-৫৬।

মহান রাব্বুল আলামীন এই পৃথিবীতে মানুষের কল্যাণে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তারমধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে উনার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি হযরত মুহাম্মদ ( )। 
উনাকে রাহমাতাল্লিল আলামীন করে জগতে প্রেরণ করেছেন।
 উনি হচ্ছেন মানুষের জন্মগত কাংখিত শান্তির দূত। 
উনি চির শান্তির বন্টনকারি। 
উনাকে মনে প্রাণে বিশ্বাস ও ভালোবাসা ব্যতিরেকে কষ্মিনকালেও কেউ মুমিন হতে পারবেনা। 
এই প্রসঙ্গে উনি নিজেই বলেছেন-

"ততক্ষন পর্যন্ত কেউ মোমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না সে আমাকে নিজের পিতা মাতা, সন্তান সন্ততি, অন্য যে কোন মানুষ ও ধন সম্পত্ত হতে বেশি ভালবাসতে না পারবে।"

- বোখারী ও মুসলিম শরীফ।

দয়াল রাসুল ( ) এর এই হাদীস বা বানী মোবারক প্রমাণ করে মোমেন হওয়ার পূর্ব শর্ত উনাকে সবকিছুর উর্ধ্বে ভালবাসা। 
যদি উনাকে সবকিছুর উর্ধ্বে ভালবাসতে পারি তবে এই ধূলির ধরায় উনার শুভ আগমন বা শুভ জন্মদিনে আমরা কি কারনে আনন্দিত হবনা? 
কোন যুক্তিতে ধর্মিয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে এই দিনটি পালন করব না।
 রহমত ও বরকত পাওয়ার কারনে আমরা যদি আনন্দ প্রকাশ করি তবে মহান রাব্বুল আলামীন তো আমাদের মুক্তির পথ প্রশস্ত করে দেয়ার কথা।

দয়াল রাসুলের শুভ আবির্ভাব বা শুভ জন্মদিন পালন যে সাহাবায়ে কেরামগন পালন করেছিলেন ইতিহাসে এবং প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থে এর প্রমাণ নিহিত আছে।যেমন

"একদা বিখ্যাত সাহাবী হযরত আব্বাস (রাঃ) তাঁর ঘরে লোকদেরকে একত্রিত করে হযরত রাসূল(সঃ)এর জন্ম দিনের বর্ণনা করছিলেন, যা শুনে উপস্থিত সবাই আনন্দে আত্মহারা হয়ে হযরত রাসূল (সঃ) এর উপর দরুদ ও সালাম পেশ করছিলেন। 
এমন সময় হযরত রাসূল (সঃ) সেখানে উপস্থিত হলেন এবং খুশি হয়ে তাঁদের উদ্দেশ্যে বললেন - তোমাদেরকে শাফায়াত করা আমার জন্য ওয়াজিব হয়ে গেছে।"

-হযরত জালালুদ্দিন সুয়ুতি(কিতাব-সাবীলুল হুদা ফি মাওলিদিল মুস্তফা)।

মানুষ হচ্ছে মহান আল্লাহর সেরা সৃষ্টি। এই শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির শিরোমনি হচ্ছেন কূল কায়েনাতের রহমত হযরত মুহাম্মদ (সঃ)। 
এই রহমত যেদিন পৃথিবীর জমিনে পদার্পণ করলেন সেদিন শুধু মানবকুল নয় সমগ্র সৃষ্টি জাহান এবং স্বয়ং রাব্বুল আলামীন নিজেই খুশিতে আত্মহারা ছিলেন। 
কারণ উনার সৃষ্টির মূল লক্ষ্যই ছিলেন রাহমাতাল্লিল আলামীন। 
আসুন আমরা পরিবার পরিজন সহ সকলে মিলে দয়াল রাসুলের (সঃ) শুভ জন্মদিনের আনন্দ ধর্মিয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপন করে সর্বত্র দয়াল রাসুল (সঃ) এর প্রেমের জোয়ার আনি। 
হযরত দয়াল রাসুলের (সঃ) প্রেমে চারপাশকে উদ্ভাসিত করতে পারলে আমরা সুনিশ্চিত মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অবারিত রহমত ও শান্তি উপহার পাব।

হে পরওয়ারদেগার! আপনি আমাদেরকে দয়াল রাসুলের (সঃ) শুভ জন্মদিন তথা ঈদে মিলাদুন্নবীতে ততটুকু আনন্দ প্রকাশের তাওফীক দিন যতটুকু আনন্দে আপনি ও আপনার প্রিয় বন্ধু রাজি খুশি হন।আমিন।

সারা দেশে যথাযত মর্যাদায় আজ পবিত্র ঈদেমিলাদুন্নবী ﷺ জশনে জুলস উদযাপন।

 
১২ই রবিউল আওয়াল ১৪৪৩ হিজরি 20 শে অক্টোবর ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ রোজ বুধবার পবিত্র ঈদেমিলাদুন্নবী ﷺ জশনে জুলস উদযাপন।  

সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১

Automatically Turn On Mobile Hotspot On Login In Windows 10

Automatically Turn On Mobile Hotspot On Login In Windows 10

First, we need to create a batch file with a command that will automatically turn on Mobile hotspot. Then we will place this batch file into startup folder for Windows 10. So when you start the system, you will find that Mobile hotspot is automatically on.


To create the batch file, follow these steps:


Open Notepad by running notepad command.

In the Notepad new document window, type or paste this: netsh wlan start hostednetwork // start hotspot

Now save the file to a convenient location. Make sure you select All files for Save as type and name the file as Hotspot.bat




To place the batch file into startup folder, perform these steps:




Run shell:startup command.

In the shell:startup folder, paste the Hotspot.bat file we create earlier.

Reboot your system to verify.

You will find that after restarting the system, Mobile hotspot is already on. You can now easily connect your other device to the Mobile hotspot.




That’s it!

বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২১

আগামী ২০ অক্টোবর ২০২১ ১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ﷺ পালিত হবে।

আগামী ২০ অক্টোবর ১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা) পালিত হবে।

 বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।



বাংলাদেশের আকাশে কোথাও ১৪৪৩ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। শুক্রবার পবিত্র সফর মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী শনিবার থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা করা হবে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে সভায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. আউয়াল হাওলাদার (দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব), ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব), বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসক আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ (অতিরিক্ত সচিব), ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুনিম হাসান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নজরুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো. ছাইফুল ইসলাম, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহেনূর মিয়া, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক (অর্থ) মো. জহিরুল ইসলাম মিয়া, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের পিএসও আবু মোহাম্মদ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহ. আছাদুর রহমান, মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মো. এ কে এম আবদুল মান্নান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নেয়ামতুল্লা, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শোলাকিয়া মসজিদের গ্র্যান্ড ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ।

সভায় জানানো হয়, ১৪৪৩ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আজ ২৯ সফর ১৪৪৩ হিজরি, ২২ আশ্বিন ১৪২৮ বঙ্গাব্দ, ৭ অক্টোবর ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি।

রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২১

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সেবার তালিকা

সেবার তালিকা

১। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিঃ

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। বেকার যুবসমাজকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার লক্ষে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। জেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ আবাসিক ও অনাবাসিক ভিত্তিতে প্রদান করা হয়।

জেলা পর্যায়ে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পরিচালিত আবাসিক প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহঃগবাদিপশু, হাঁস-মুরগী পালন, প্রাথমিক চিকিৎসা, মৎস্য চাষ ও কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সঃ

        আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০৩ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০.০০ (একশত) টাকা ভর্তি ফি এবং জামানত হিসেবে ১০০.০০ (একশত)  টাকা (ফেরৎযোগ্য) জমা দিতে হয়। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা  প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করে থাকে। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।

মৎস্য চাষ প্রশিক্ষণ কোর্সঃ

         আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


দুগ্ধজাত দ্রব্যাদি উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণ প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


চিংড়ি  ও কাঁকড়া চাষ, বিপণন ও বাজারজাতকরণ প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


ছাগল ও ভেড়া পালন এবং গবাদি পশুর প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


মহিষ পালন ও গবাদি পশুর প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


মুরগী পালন  ব্যবস্থাপনা, মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণন প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


মুরগী পালন ব্যবস্থাপনা ও বাজারজাতকরণ প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্যজীবিদের জন্য দায়িত্বশীল মৎস্য আহরণ প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


মাশরুম ও মৌ চাষ প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


       আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত)টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


ফল চাষ প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


       আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


লাইভস্টক এ্যাসিসটেন্ট প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


       আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


মোবাইল সার্ভিসিং এন্ড রিপেয়ারিং প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


       আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


       কোর্সের মেয়াদ ০২ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০০/- (এক হাজার) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়।  এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাশ।


ডাটাবেজ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


       কোর্সের মেয়াদ ০২ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়।  এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাশ।


নেটওয়াকিং  বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


       কোর্সের মেয়াদ ০২ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়।  এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাশ।


ওয়েব ডিজাইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


      কোর্সের মেয়াদ ০২ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়।  এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাশ।


 ক্যাটারিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


       কোর্সের মেয়াদ ০৪ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০০/- (এক হাজার) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়।  এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাশ।


মাশরুম চাষ  বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


       কোর্সের মেয়াদ ১৫ দিন। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত)  টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়।  শুধুমাত্র ৩১টি রাজস্বখাতভূক্ত যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।  এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা  অষ্টম শ্রেণী পাশ।


গাড়ল পালন প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


       আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০৭ দিন। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। শুধুমাত্র রাজশাহী যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রতি ব্যাচে ৪০ জন করে বছরে ২টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


সোয়েটার নিটিং প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীদের ভর্তি ফি দিতে হয় না। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ । পি পি পি এর মাধ্যমে যৌথ উদ্যোগে এ কোর্সটি পরিচালিত হচ্ছে।


 লিংকিং মেশিন অপারেটিং প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীদের ভর্তি ফি দিতে হয় না। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ। পি পি পি এর মাধ্যমে যৌথ উদ্যোগে এ কোর্সটি পরিচালিত হচ্ছে।


সংক্ষিপ্ত হাউজকিপিং প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ। পি পি পি এর মাধ্যমে যৌথ উদ্যোগে এ কোর্সটি পরিচালিত হয়।


জেলা পর্যায়ে পরিচালিত অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহঃ


ওভেন সিউইং মেশিন অপারেটিং প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


       অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস ১৫ দিন। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০/- (পঞ্চাশ) টাকা কোর্স ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


ট্যুরিস্ট গাইড প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০৩ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৩০০/- (তিনশত) টাকা কোর্স ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এস, এস,সি পাশ। 


পোশাক তৈরী প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০৩/০৬ মাস। এ প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তির জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০/-(পঞ্চাশ) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ। প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/(একশত) টাকা  প্রতি কর্মদিবসে উপস্থিতির ভিত্তিতে  যাতায়াত ভাতা দেয়া হয়। 


ব্লক, বাটিক ও স্ক্রিন প্রিন্টিং  প্রশিক্ষণ কোর্সঃ  


        অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০৪ মাস। এ প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তির জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০/-(পঞ্চাশ) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ। প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/(একশত) টাকা  প্রতি কর্মদিবসে উপস্থিতির ভিত্তিতে  যাতায়াত ভাতা দেয়া হয়। 


মডার্ণ অফিস ম্যানেজমেন্ট এন্ড কম্পিউটার এ্যাপ্লিকেশন প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ. এস. সি. পাশ।  প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/(একশত) টাকা  প্রতি কর্মদিবসে উপস্থিতির ভিত্তিতে  যাতায়াত ভাতা দেয়া হয়। 


মৎস্য চাষ প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে  ৫০/-(পঞ্চাশ) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা  অষ্টম শ্রেণি পাশ।


ফ্যাশন ডিজাইন প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০৩ মাস। এ প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তির জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৩০০/-(তিনশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


সেলসম্যানশীপ/ফ্রন্ট ডেস্ক ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


            অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এস, এস, সি পাশ।


শতরঞ্জি প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০/- (পঞ্চাশ) টাকা কোর্স ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ। 


কম্বল তৈরি প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০/- (পঞ্চাশ) টাকা কোর্স ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ। 


হস্তশিল্প (ব্যাগ তৈরি) প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         এটি ০১ মাস মেয়াদি অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কোর্স যাতে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০/- (পঞ্চাশ) টাকা কোর্স ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


ফ্রিল্যান্স/আউট সোর্সিং প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ. এস. সি. পাশ।


ক্যাটারিং প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০৪ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০০/-(এক হাজার) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এস, এস, সি পাশ।


হাউজকিপিং/ফ্রন্ট ডেস্ক ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এস, এস, সি পাশ।


আরবী ভাষা শিক্ষা প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         এটি স্ব-অর্থায়নে পরিচালিত অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কোর্স এবং মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


জেলা পর্যায়ে পরিচালিত বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহঃ


ডিপেস্নামা ইন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০৬ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ২০০০/-(দুই হাজার) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ. এস. সি. পাশ।


ফুড এ- বেভারেজ সার্ভিস (ক্যাটারিং সার্ভিস/ হাউজকিপিং এ- লন্ড্রি অপারেশনস) প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০৬ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৩০০০/-(তিন হাজার) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ, এস, সি পাশ।


ল্যাংগুয়েজ প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০৬ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০০/-(এক হাজার) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ. এস. সি. পাশ।


হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


    এটি ০১ মাস মেয়াদি অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কোর্স যাতে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/- (একশ) টাকা কোর্স ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


বিউটিফিকেশন এ- হেয়ার কাটিং প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


    এটি ০১ মাস মেয়াদি অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কোর্স যাতে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/- (একশ) টাকা কোর্স ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহঃ                   


          ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহের মেয়াদ ৭ দিন থেকে ২১ দিন। এটি অনাবাসিক প্রশিক্ষণ এবং এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য কোন ফি দিতে হয় না। ইউনিট থানা ও উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে এ প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করা হয়ে থাকে।                                  


২। দারিদ্র্য বিমোচন ও ঋণ কর্মসূচিঃ


         সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে বেকার যুবরা দারিদ্রে্যর মধ্যে বসবাস করে। তাদের নিজস্ব কোন সম্পদ ও কর্মসংস্থান না থাকায় তাদের পক্ষে খাদ্য, পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মত মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা সম্ভব হয় না। দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ ও সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে এহেন মানবেতর অবস্থা নিরসন এবং বেকার যুবদের জন্যে একটি সুখকর জীবনের ব্যবস্থা করা দারিদ্র্য বিমোচন ও ঋণ কর্মসূচির মূখ্য উদ্দেশ্য। বাংলাদেশের সকল উপজেলাতেই এ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।


ক) পরিবারভিত্তিক কর্মসংস্থান কর্মসূচিঃ


           পরিবারভিত্তিক ঋণ কার্যক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো পরিবারিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করে বেকার দরিদ্র জনগোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদানের মাধ্যমে স্ব-কর্মসংস্থান সৃষ্টি । দেশের মোট ৩১০টি উপজেলায় ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি বাসত্মবায়নের অনুমোদন থাকলেও জনবলের অভাবে ২৩৬টি উপজেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ কর্মসূচির আওতায় পরিবারের ঐতিহ্যগত পেশাকে কাজে লাগিয়ে বেকারত্ব নিরসন ও পারিবারিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য সমুন্নত রেখে কার্যক্রম সম্প্রসারণ, জীবনযাপনের মান ধাপে ধাপে উন্নয়নকল্পে পরিবারে সঞ্চয় অভ্যাস গড়ে তোলা এবং নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য-পরিচর্যা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা এবং পরিবেশ উন্নয়নে জনগোষ্ঠিকে উদ্বুদ্ধ করা হয়। পরিবারভিত্তিক ঋণ কার্যক্রমের আওতায় একই পরিবারের অথবা নিকট আত্মীয় বা প্রতিবেশী পরিবারের পরস্পরের প্রতি আস্থাভাজনদের নিয়ে ৫ সদস্যের গ্রম্নপ গঠন করা হয়। একই গ্রামের স্থায়ী নিবাসী এরূপ ৮ থেকে ১০টি গ্রুপ নিয়ে একটি কেন্দ্র গঠিত হয়। কেন্দ্রের প্রত্যেক সদস্যকে ১ম, ২য়, ৩য়, দফায় যথাক্রমে সর্বোচ্চ ১২০০০/-, ১৬০০০/- ও ২০০০০/- টাকা হারে ঋণ প্রদান করা হয়। এছাড়া ৩য় দফা পর্যন্ত সফল ঋণ পরিশোধকারীর আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে একটি কেন্দ্র হতে সর্বোচ্চ ০৫ জনকে আত্মকর্ম ঋণের নীতি পদ্ধতি অনুসরণ করে এন্টারপ্রাইজ ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। অধিদপ্তরের কর্মচারীগণ গ্রাম পর্যায়ে ঋণ বিতরণ এবং কেন্দ্র থেকে ঋণের কিস্তি সংগ্রহ করে। গ্রেস পিরিয়ড অর্থাৎ ঋণ পরিশোধের প্রস্ত্ততি সময় অতিক্রম করার পর সাপ্তাহিক কিস্তিতে ঋণের অর্থ আদায় করা হয়। কোন উপকারভোগীকে ঋণ গ্রহণ ও কিস্তি পরিশোধের জন্য অফিসে আসার প্রয়োজন হয় না। মূলধন পাওনার উপর ৫%  (ক্রমহ্রাসমান) সার্ভিস চার্জ আদায় করা হয়। এখানে সাপ্তাহিক কিস্তিতে পরিশোধিত আসলের উপর পরবর্তীতে আর কোন সার্ভিস চার্জ আদায় করা হয় না বিধায় মেয়াদ শেষে গড় সার্ভিস চার্জের হার প্রকৃত হিসেবে ২.৫% দাঁড়ায়। যাঁরা সময়মত সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করেন তারাই সার্ভিস চার্জের ক্ষেত্রে বর্ণিত ২.৫% এর সুযোগ পেয়ে থাকেন। এ ঋণ প্রাপ্তির জন্যে কোন প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। তবে মনোনীত সদস্যদের ৫দিনব্যাপী আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ঋণ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উপর গ্রাম পর্যায়ে কেন্দ্রভিত্তিক ওরিয়েন্টেশনের ব্যবস্থা  করা হয়। পরিবারভিত্তিক ঋণ কার্যক্রমের ক্রমপুঞ্জিত ঋণ আদায়ের হার ৯৭%।


খ) যুব প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচিঃ


           এ কর্মসূচির আওতায় দেশের ৬৪টি জেলা ও ৪৯৬টি উপজেলায় (১০টি মেট্রোপলিটন ইউনিট থানাসহ) কার্যক্রম রয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় জেলা সদরে উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। এসব প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ১ মাস হতে ৬ মাস পর্যন্ত। এছাড়া স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্ন ট্রেডে স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ৪৯৬টি উপজেলায় স্বল্প মেয়াদি অপ্রাতিষ্ঠানিক ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। দেশব্যাপি পরিচালিত যুবদের আত্মকর্মসংস্থান ও আয় সঞ্চারণমূলক কর্মকা- বেকার সমস্যা সমাধান এবং দারিদ্র্য বিমোচনে উলেস্নখযোগ্য অবদান রাখছে। এ কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষিত বেকার যুবদেরকে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক/ অপ্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে একক (ব্যক্তিকে) ঋণ প্রদান করা হয়। প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে একজন প্রশিক্ষিত যুবক/যুবমহিলাকে ৬০,০০০/- থেকে ১,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে ৪০,০০০/- থেকে ৬০,০০০/- টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা হয়। জেলা ও উপজেলায় দুটি কমিটির মাধ্যমে যথাক্রমে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক ঋণ অনুমোদন করা হয়। ঋণ প্রাপ্তির জন্য একজন ঋণ গ্রহিতাকে ২ জন জামিনদার নিশ্চিত করতে হয় এবং প্রাতিষ্ঠানিক/ অপ্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে প্রশিক্ষণ গ্রহণ বাধ্যতামূলক। গ্রেস পিরিয়ড অর্থাৎ ঋণ পরিশোধের প্রস্ত্ততি সময় অতিক্রম করার পর বিভিন্ন ট্রেডের জন্য নির্ধারিত মেয়াদে মাসিক কিস্তিতে ঋণের অর্থ আদায় করা হয়। মঞ্জুরকৃত ঋণ পাওনার উপর ৫% (ক্রমহ্রাসমান) হারে সার্ভিস চার্জ আদায় করা হয়। এখানে মাসিক কিস্তিতে পরিশোধিত আসলের উপর পরবর্তীতে আর কোন সার্ভিস চার্জ আদায় করা হয় না বিধায় মেয়াদ শেষে গড় সার্ভিস চার্জের হার প্রকৃত হিসেবে ২.৫% দাঁড়ায়। তবে মনে রাখা প্রয়োজন যাঁরা সময়মত মাসিক কিস্তি পরিশোধ করেন তারাই সার্ভিস চার্জের ক্ষেত্রে বর্ণিত ৫% এর সুযোগ পেয়ে থাকেন। এ কর্মসূচির ক্রমপুঞ্জিত ঋণ আদায়ের হার ৯৫%।


০৩।  বেকার যুবদের কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রকল্প (২য় পর্ব )- এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত কর্মসূচিঃ


         দেশের শিক্ষিত বেকার যুবদের কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা এবং স্বাবলমবী করে গড়ে তোলাই সমাপ্ত এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। এ প্রকল্পের আওতায় (ক) কম্পিউটার ট্রেডে ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্কিংসহ  কম্পিউটার বেসিক কোর্স এবং কম্পিউটার গ্রাফিক্স কোর্স (খ) ইলেকট্রিক্যাল এ- হাউজ ওয়্যারিং (গ) রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার-কন্ডিশনিং এবং (ঘ) ইলেকট্রনিক্স ট্রেডে বেকার যুবদের হাতে কলমে বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এ সমাপ্ত প্রকল্পের আওতায় দেশে-বিদেশে চাহিদাপূর্ণ এবং যুগোপযোগী  ট্রেডে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বেকার যুবরা কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হচ্ছে। উপরোক্ত ট্রেডসমূহের মধ্যে কম্পিউটার ট্রেডে দেশের সকল জেলায়, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড হাউজ ওয়্যারিং ট্রেডে  দেশের ২৩টি জেলায়, রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার-কন্ডিশনিং ও ইলেকট্রনিক্স  ট্রেডের প্রতিটিতে দেশের ০৯টি জেলায় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। তবে এ প্রকল্প ও সমাপ্ত অবশিষ্ট কারিগরি প্রকল্পের মাধ্যমে সকল জেলায় উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে উক্ত ট্রেডসমূহে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহের মেয়াদ ৬ মাস। প্রতি বছর প্রতি জেলায় ২টি কোর্সে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। কম্পিউটার বেসিক কোর্সে প্রতি ব্যাচে ৭০ জন,  কম্পিউটার গ্রাফিক্স কোর্সে প্রতি ব্যাচে ৫০ জন,  ইলেকট্রিক্যাল এ- হাউজ ওয়্যারিং কোর্সে প্রতি ব্যাচে ৩০ জন, ইলেক্ট্রনিক্স কোর্সে প্রতি ব্যাচে ৩০ জন এবং রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার-কন্ডিশনিং কোর্সে প্রতি ব্যাচে ৩০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এ প্রকল্পের মেয়াদ জুন, ২০০৬ এ সমাপ্ত হয়েছে। প্রকল্পের কার্যক্রমসহ জনবল রাজস্বখাতে স্থানামত্মর প্রক্রিয়াধীন আছে। বর্তমানে থোক বরাদ্দের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাসত্মবায়ন করা হচ্ছে।                                               


বেকার যুবদের কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রকল্প (২য় পর্ব )- এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহঃ


কম্পিউটার গ্রাফিক্স কোর্সঃ


          অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস। এ কোর্সে প্রশিক্ষণের জন্য প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০০/- টাকা কোর্স ফি প্রদান করতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ,এস,সি পাশ এবং কম্পিউটার বেসিক কোর্সে প্রশিক্ষণ থাকতে হবে।


কম্পিউটার বেসিক কোর্সঃ


          অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস। এ কোর্সে প্রশিক্ষণের জন্য প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০০/- টাকা কোর্স ফি প্রদান করতে হয়। কম্পিউটার বেসিক কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ,এস,সি পাশ।


ইলেকট্রনিক্স প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস। এ কোর্সে প্রশিক্ষণের জন্য প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ৩০০/- টাকা কোর্স ফি প্রদান করতে হয়। ইলেকট্রনিক্স কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এস,এস,সি পাশ।


ইলেকট্রিক্যাল এন্ড হাউজওয়্যারিং কোর্সঃ


          অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস। এ কোর্সে প্রশিক্ষণের জন্য প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ৩০০/- টাকা কোর্স ফি প্রদান করতে হয়। ইলেকট্রিক্যাল এ- হাউজ ওয়্যারিং কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং কোর্সঃ


         অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের  মেয়াদ ৬ মাস। এ কোর্সে  প্রশিক্ষণের জন্য প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ৩০০/- টাকা কোর্স ফি প্রদান করতে হয়। রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার-কন্ডিশনিং প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এস,এস,সি পাশ।


০৪।  যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়িত কর্মসূচিঃ


          বেকার যুবক ও যুবমহিলাদের গবাদিপশু, হাঁস-মুরগী পালন, মৎস্যচাষ ও কৃষি বিষয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কলাকৌশল সম্পর্কিত ০৩মাস মেয়াদি আবাসিক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং তাদেরকে আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত করাই এ সমাপ্ত প্রকল্প ও রাজস্ব কর্মসূচির উদ্দেশ্য । যুবদেরকে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রকল্পের সম্পদ সংরক্ষণের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কেও জ্ঞানদান করা হয়। প্রতি ব্যাচে ৬০ জন বেকার যুবক ও যুবমহিলাকে আবাসিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আবাসিক যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা মোট ৬৪টি। দেশের সকল জেলায় একটি করে আবাসিক যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষে অপর একটি প্রকল্পের মাধ্যমে অবশিষ্ট ১১টি জেলায় ১১টি আবাসিক যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং ৫টি নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিদ্যমান ৫৩টি যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে ৩১টি ইতোমধ্যে রাজস্ব খাতে  স্থানান্তরিত হয়েছে । অবশিষ্ট ৩৩টি কেন্দ্র ‘‘ছাবিবশটি নতুন যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন’’ শীর্ষক প্রকল্প এবং "১৮টি নতুন যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন (১ম পর্যায়-০৮টি কেন্দ্র)" শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় স্থাপন করা হয়েছে। আবাসিক যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ সর্বনিমণ  ১.৫০ একর হতে ৭.০০ একর ভূমির উপর জেলা সদরে স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি আবাসিক যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অফিস কাম একাডেমিক ভবন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বাসস্থান, ছাত্রাবাস, ছাত্রীনিবাস, ডাক কাম পোল্ট্রি শেড, কাউ শেড, মৎস্য হ্যাচারী, পুকুর, নার্সারি ইউনিট এবং খেলার মাঠ রয়েছে। যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ দেশে মৎস্য ও পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

Popular Posts