Recent post

শুক্রবার, ৮ জুন, ২০১৮

সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর মগবাজারে তাঁর অফিস থেকে গ্রেপ্তার



সংগীতশিল্পী আসিফ আকবরকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: প্রথম আলো গায়ক আসিফ 
আকবরকে কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার মামলায় গায়ক আসিফ আকবরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আদালতে গ্রেপ্তার আসিফ দাবি করেন, শফিক তুহিন ফেসবুকে তাঁর বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য লিখেছেন। চাইলে তিনি শফিক তুহিনের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারতেন। এর আগে আজ বুধবার সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে আসিফকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন নাকচ করেন। 
আবার আসিফের আইনজীবীরাও জামিন চাইলে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসিফের বিরুদ্ধে গীতিকার শফিক তুহিন তাঁর মামলায় অভিযোগ করেন, ১ জুন রাত নয়টার দিকে একটি টিভি চ্যানেলের ‘সার্চ লাইট’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ অনুমতি ছাড়াই তাঁর সংগীতকর্মসহ অন্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন। আসিফ তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তর করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন। তবে আজ আদালতে আসিফ দাবি করেন, শফিক তুহিন তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন। ৫৭ ধারার এই মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।

আসিফের আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হীরু প্রথম আলোকে বলেন, ৫৭ ধারায় এ মামলা হতে পারে না। 
একটা ভিত্তিহীন মামলা। যে অভিযোগ, তা কপিরাইট আইনের। গীতিকার শফিক তুহিন মামলায় অভিযোগ আনেন, গত ২ জুন রাতে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির বিষয়টি উল্লেখ করে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন। তাঁর সেই পোস্টের নিচে আসিফ অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। এ ব্যাপারে আসিফের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, মামলার কোথাও বলা হয়নি গায়ক আসিফ কী হুমকি দিয়েছেন।

আসিফ আদালতের কাছে দাবি করেন, ফেসবুকে শফিক তুহিন তাঁর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তিনি নিজে শফিক তুহিনের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারতেন। 
আসিফ আরও দাবি করেন, ফেসবুক লাইভে তিনি আগে আসেননি, শফিক তুহিন আগে এসেছেন। মামলায় শফিক দাবি করেছেন, আসিফ তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। 
লাইভে তাঁর (শফিক তুহিন) বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা বক্তব্য দেন। 
আসিফ লাইভে শফিক তুহিনকে শায়েস্তা করবেন বলে হুমকি দেন। 
পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, শফিক তুহিনকে যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন। আদালতে আসিফের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহাদি হাসান।

আজ বেলা দুইটার দিকে আসিফকে আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে তোলা হয়। 
পুরো সময় আসিফকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়। 
আদালতেও বারবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
শুনানির একপর্যায়ে বিচারক বলেন, ‘আমি আসিফকে চিনি। 
আসিফ কেন গান বন্ধ করলেন?’ জবাবে আসিফ বলেন, ‘স্যার, আমি ২০১৪ সাল থেকে আবার গানে ফিরে এসেছি।’

শুনানির সময় আসিফ-ভক্তরাও আদালতে বলতে থাকেন, আসিফের জামিন চান তাঁরা। 
আর তাঁর আইনজীবীরা বলেন, আসিফকে জামিন দিলে তিনি পলাতক হবেন না।

আইসিটি আইনে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক শফিক তুহিনের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর। 
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল আসিফকে মগবাজারে তাঁর অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে।

কোন মন্তব্য নেই:

Popular Posts