Recent post

রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭

হ্যাপি নিউ ইয়ার


জাগুক হৃদয়েতে নব আনন্দ, সঙ্গীতে দাও নতুন ছ্ন্দ, দুর করে দিয়ে সকল দুঃখ, আস হে নতুন আস।
                                                              "হ্যাপি নিউ ইয়ার-২০১৮" ।

শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭

ওরাল সেক্সে একাধিক ক্যানসার


শারীরিক সংসর্গের সময় ওরাল সেক্স (যৌনক্রিয়ার ক্ষেত্রে মৌখিক স্পর্শ বা মুখমেহন) করলে পুরুষদের মাথা ও কাঁধের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। যাঁরা নিয়মিত ধূমপান করেন এবং একাধিক সঙ্গিনীর সঙ্গে ওরাল সেক্সে অভ্যস্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বলে নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

১ জানুয়ারি দিবাগত রাতে দেখা দেবে নেকড়ে চাঁদ



চাঁদের সৌন্দর্য যুগে যুগে কবি-সাহিত্যিকদের কল্পনায় ভাসিয়েছে। সাধারণ মানুষকে করেছে বিমোহিত। পৃথিবীর একমাত্র এই উপগ্রহটি যেন এবার নিজের সৌন্দর্য পুরোপুরি মেলে ধরতে নতুন বছরের প্রথম দিনটাকেই বেছে নিয়েছে। ১ জানুয়ারি দিবাগত রাতে পৃথিবীর আকাশে দেখা দেবে ‘নেকড়ে চাঁদ’।

মেয়েদের কোন কথার কী মানে

অধিকাংশ পুরুষের অভিযোগ, তারা নাকি মেয়েদের মন বোঝে না। 
মেয়েদের নাকি বোঝাই যায় না- এমন অপবাদও জোটে মেয়েদের। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কথা কিছুটা হলেও সত্য। 
মেয়েরা তো আসলে একটু বেশিই আবেগপ্রবণ। তাই তাদের কথায়বার্তায় একটা চাপা অনুভূতি লুকিয়ে থাকে। ‘হ্যাঁ’কে না বলে, ‘না’কে বলে ‘হ্যাঁ’। ফলে কোন কথাটার কী মানে, সেটাই বোঝা কঠিন। সেই সব কথার আসল অর্থ জানতে উঁকি দিন নারীমনে। জেনে নিন মেয়েদের কোন কথার কী মানে।

ব্যাংকে সব ধরনের লেনদেন বন্ধ

ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে আজ ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকে সব ধরনের লেনদেন বন্ধ থাকবে। 
এদিন বন্ধ থাকবে শেয়ারবাজারের লেনদেনও। 
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা থাকবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকগুলো পঞ্জিকা বছরের আর্থিক হিসাব শেষ করে। 
এদিনে বিভিন্ন শাখা থেকে পাঠানো হিসাব একত্রিত করে বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। যে কারণে এ দিনটিকে ‘ব্যাংক হলিডে’ হিসেবে ধরা হয়।
একইভাবে ১ জুলাই ব্যাংক হলিডে হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। 
ওইদিন ব্যাংকগুলোতে অর্ধবার্ষিকী প্রতিবেদন করা হয়। 
এদিন বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্যান্য ব্যাংক গ্রাহকদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন বা দাফতরিক কার্যক্রম করা হয় না।

প্রশ্নফাঁসের ঘটনা নতুন কিছু নয়

প্রশ্নফাঁসের ঘটনা নতুন কিছু নয় মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, 
সেই ৬১ সালে আমি ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়েছি। 
তখনও প্রশ্নফাঁস হতো। 
এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে প্রশ্নফাঁসের খবর দ্রুত প্রচার হয়ে যায়। 
গতকাল (শনিবার) সচিবালয়ে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফলপ্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রশ্নফাঁস কোথা থেকে হচ্ছে- একজন সাংবাদিকের এই প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই ইতিহাসটা আজকে আর তোলার দরকার নাই। 
আমি মনে করি, এটা আরেক ইস্যু। 
এটা বহুত আপনারা লিখছেন, আরও লিখবেন, আরও বলবেন, আমরাও বলব। 
এটা আমি বহুবার বলছি, এক কথা বার বার বলা। 
এটা মন হচ্ছে যেন এই আধুনিক একটা পদ্ধতি চালু হয়েছে, আগে কখনও, জীবনে প্রশ্ন ফাঁস হয় নাই। 
আগেও একদিন বলেছিলেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, আমি একষট্টি (১৯৬১) সালে ম্যাট্রিক (বর্তমানে এসএসসি) পরীক্ষা দিয়েছি। 
কত বছর অনুমান করেন? একষট্টি সাল! 
তখন থেকেই প্রশ্নপ্রত্র ফাঁস দেখে আসতেছি। তখন ছিল সীমাবদ্ধ। 
সেই সময় ফাঁস হইত, বিক্রি হইত, চলত। 
এইটার ধারা বহুদূর পর্যন্ত বেশি গেছে, কম গেছে। 
এখন প্রশ্ন ফাঁসের পর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে প্রশ্নফাঁসের খবর দ্রুতই প্রচার হচ্ছে। এখন নানা রকম সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা মাধ্যমে দ্রুতই প্রচার হয়ে যায়। 
এজন্য মনে হয় অনেক বেশি একটা। 
যদি না ফাঁসও হয়, আমি খালি একটা ফেইসবুকে লিখে দেই- প্রশ্ন আউট হয়ে গেছে আর কিছুই লাগবে না ওইটা ধরেই ব্যাপক প্রচার হয়ে যাবে। 
আমি না করতেছি না। 
প্রশ্ন ফাঁসরোধে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে নাহিদ বলেন, বিজি প্রেস ছিল আগে সহজ। 
তাই দুই মাস পরে যে পরীক্ষা হবে আজকেই প্রশ্নপত্র পেয়ে যাচ্ছি। 
আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করছেন, কোনো প্রশ্নপত্রই পরীক্ষার দুই মাস আগে ফাঁস হয় না, ওইদিন (পরীক্ষার দিন) সকালে আউট হয়। 
মোটামুটি এই জায়গায় চলে আসছি আমরা। 
বিজি প্রেসে আমরা ব্যাপক পরিবর্তন করছি, ওখান থেকে এখন প্রকাশের সুযোগ নাই। 
আমরা জেলায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিরাপদ করেছি, থানায় পৌঁছানো নিরাপদ করেছি। 
এরপরেও সমস্যা আছে, অনেক লোক শিক্ষকতায় ঢুকে পড়েছেন, তারা অপব্যবহার করেন।
পরীক্ষার বিষয়ে নাহিদ বলেন, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা হয়েছে। পা
সের সংখ্যা, হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা কমেছে। 
আমরা কোনো কিছুই গোপন করি নাই বা কোনো কিছুই চাপা দেওয়ার চেষ্টা করি নাই বা পরিবর্তনের চেষ্ট করি নাই। 
যা ফল তাই আমরা নিয়ে আসি, বেশি হলেও নিয়ে আসি, কম হলেও নিয়ে আসি। 
আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সব ছেলে-মেয়েরাই যেন পাস করতে পারে এবং পাস করার যোগ্যতা নিয়েই সে লেখাপড়া শিখবে। 
সব সূচকে এবার কেন অবনমন সেই জবাব না দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি এখন কোনো মূল্যায়নে যাচ্ছি না, বোর্ডগুলো নিজস্বভাবে মূল্যায়ন করবে, মন্ত্রণালয় তদারকি করবে বা আলাদা তদন্ত করবে। তখন সঠিক চিত্রটা জানা যাবে। 
সার্বিকভাবে শিক্ষার গুণগত মান বেড়েছে দাবি করে নাহিদ বলেন, তবে যা হওয়া উচিত তার চেয়ে আমরা পিছনে আছি। 
বাংলাদেশ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ইউনিটের সুপারিশ অনুসরণ করে গত তিন বছর থেকে আস্তে আস্তে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করার কথা জানিয়ে নাহিদ বলেছেন, ফলাফলে তার কিছুটা প্রভাব পড়েছে। গতবারের মত এবারও কেন কুমিল্লা বোর্ডে খারাপ ফল হয়েছে সেই প্রশ্নে নাহিদ বলেন, কুমিল্লা বোর্ড নিয়ে আরেকটু গভীরে যেতে হবে, এরপর আপনাদের জানাব।
 যেসব বিদ্যালয়ে থেকে কেউ পাস করতে পারেনি ওইসব প্রতিষ্ঠান আদৌ রাখার দরকার নেই মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, এসব প্রতিষ্ঠান আমরা রাখতে চাই না, এগুলো অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মার্জ করতে চাই।
 যেটুকু আমাদের ক্ষমতা আছে সেই অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, আমরা চাচ্ছি যে প্রশ্ন ছাপনোই হবে না।
 এ রকম ব্যবস্থা যদি করা যায় প্রত্যেকের সামনে একটা মনিটর থাকবে সেখানে প্রশ্ন ব্যাংক থেকে প্রশ্ন দেওয়া হবে। কেউ ইচ্ছে করে কোনো প্রশ্ন দিতে পারবে না। 
যিনি প্রশ্ন করবেন তিনিও জানবেন না প্রশ্ন কি আসছে। 
সে পর্যায়ে যেতে হয়ত আমাদের অনেক সময় লাগবে। 
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পাঁচটি কমিটি করার কথা জানিয়ে সচিব বলেন, ওইসব কমিটি কাজ করছে। এসময় কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এস এম ওয়াহিদুজ্জামান ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের শিক্ষকের কক্ষ থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় শিক্ষিকাকে উদ্ধার করেছে প্রশাসন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের এক শিক্ষকের কক্ষ থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় এক শিক্ষিকাকে উদ্ধার করেছে প্রশাসন। 
আজ শনিবার বিকেলে ওই শিক্ষিকাকে উদ্ধার করা হয়। 
ওই শিক্ষিকা অ্যাডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের প্রভাষক। 

শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭

বিক্রয় পেশা

বিক্রয় পেশা বেশ কষ্টসাধ্য হলেও এই পেশায় অনেক পুরস্কারও আছে।
কষ্টসাধ্য হলেও আমি নবীনদের সব সময় উৎসাহ দিই বিক্রয় খাতে তাদের চাকরিজীবন শুরু করতে। কারণ, এই অভিজ্ঞতা পরবর্তী জীবনে হয়ে উঠবে অমূল্য। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, আমার বিক্রয়কর্মের অভিজ্ঞতা আমাকে শিক্ষক এবং প্রশিক্ষক উভয় পেশাতেই বেশ সাহায্য করেছে।
কিন্তু একজন বিক্রয়কর্মীর কাজ মোটেই সহজ নয়।

মুসলমানদের সম্পর্কে কাদিয়ানী আকিদা

কাদিয়ানি-কাফের

মানব জাতির হেদায়েতের জন্য আল্লাহ তা‌”লা যুগে যুগে যত নবী রাসুল প্রেরন করেছেন তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশৈষ নবী ও রাসুল হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
তিনি আখেরি নবী।
খাতামুন্নাবিয়্যীন,তার পরে আর কোন নবী আসবেনা এবং আসার প্রয়োজন ও নাই।
এই আকীদা ও বিশ্বাসের নামই হচ্ছে আকীদায়ে খতমে নবুওয়ত।

কিছু কাজ আছে, যেগুলো সকালে ঘুম থেকে উঠেই করা উচিত নয়



অফিস থেকে সন্ধ্যায় বাড়িতে ফেরেন আরিফুর রহমান। কিন্তু কম্পিউটারে নানা কাজ করতে করতে ঘুমাতে প্রায়ই রাত ১টা বেজে যায়।
সকালে আবার অফিস। ঘুম থেকে উঠতে তাই মোবাইলের ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখেন আরিফুর। কিন্তু সকাল ৭টায় যখন কর্কশ শব্দে অ্যালার্ম বেজে ওঠে, তখন চোখ একটু খুলে শুধু অ্যালার্ম বন্ধ করার উপায় খোঁজেন তিনি। উদ্দেশ্য আরেকটু ঘুমিয়ে নেওয়া।

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী এবং জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল আজ

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফল আজ শনিবার প্রকাশ করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেবেন।
পরে সচিবালয়ে বেলা একটায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী এবং বেলা দুইটায় শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত ফল প্রকাশ করবেন।

গত ১ নভেম্বর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭

টাইগার জিন্দা হ্যায় ২০০ কোটি রুপি আয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ এর প্রিকুয়েল ‘এক থা টাইগার’কেও ছাড়িয়ে যাবে।
১৫০ কোটি রুপিতে নির্মিত চলচ্চিত্রটি এরই মধ্যে ২০০ কোটি রুপি আয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। ৭৫ কোটি রুপি বাজেটে নির্মিত আগের ফিল্মটি ৩২০ কোটি রুপি আয় করেছিল।

উপজেলা হাসপাতালে নিয়োগ পেয়ে যান না, তাদেরকে চাকরীচ্যুত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


যেসব চিকিৎসক জেলা বা উপজেলা হাসপাতালে নিয়োগ পেয়ে যান না, তাদেরকে আর সুযোগ না দিয়ে চাকরীচ্যুত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সরকারি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ অনুষ্ঠানে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭

জামাতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদীর ভ্রান্ত আকিদা

জীবন বৃত্তান্তঃ 

আবুল আ’লা মওদুদী (২৫শে সেপ্টেম্বর, ১৯০৩ – ২২শে সেপ্টেম্বের, ১৯৭৯), সে মালানা মওদুদী বা শাইখ আবুল আ’লা মওদুদী নামেও পরিচিত, ছিলো।
নিজেকে একজন মুসলিম গবেষক, সাংবাদিক, মুসলিম রাজনৈতিক নেতা ও বিংশ শতাব্দীর একজন গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী চিন্তাবিদ ও দার্শনিক হিসেবে পরিচয় দিতো। 
সে তার নিজ দেশ পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত ছিলো। 
মওদুদী জামায়াতে ইসলামী নামক একটি ভ্রান্ত ইসলামী রাজনৈতিক দলেরও প্রতিষ্ঠাতা। 
যা বর্তমানে বাংলাদেশে এবং পাকিস্তানে বিদ্যমান।

আবু আলা মওদুদির কুফরি আক্বিদার কয়েকটি প্রমান নিছে বর্ণনা করা হলোঃ

চলতি বছরের ভীতিকর দেশ মিয়ানমার।


বিশ্বের চলতি বছরের ভীতিকর দেশ মিয়ানমার। 
ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনোমিস্টের সংক্ষিপ্ত তালিকায় এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিন আমরা যুদ্ধজাহাজ রফতানি করবো ইনশাআল্লাহ।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাঙ্গালি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজয়ী জাতি। 
আমরা অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবো না। 
যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পিছপা হবো না। 

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে ২০১৮ সালে এইচ এস সি পরীক্ষার ফরম পুরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত এইচ এস সি পরীক্ষার ফরম পুরণেবোর্ডের নির্দেশ অমান্য করে নির্ধারিত ফির চাইতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। 
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ওই কলেজের অধ্যক্ষের নির্দেশে রশিদ ছাড়াই এ অর্থ আদায় করা হচ্ছে।

সংগ্রাম ও নির্বাচন সবকিছুর জন্য প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া


আন্দোলন, সংগ্রাম ও নির্বাচন সবকিছুর জন্য প্রস্তুতি নিতে দলের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭

জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা নাকচ করে দিয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি সত্তেও জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা নাকচ করে দিয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ।
গত বৃহস্পতিবার সাধারণ পরিষদে ট্রাম্পের ঘোষণা প্রত্যাখ্যানের পক্ষে ১২৮টি দেশ ভোট দেয়। বিপক্ষে ভোট দেয় মাত্র ৯টি দেশ। 
৩৫ টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।

শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৭

রাজশাহী পদ্মার চরে অবিরামভাবে নির্গত হচ্ছে গ্যাস।

রাজশাহী নগরীর টি-বাঁধ সংলগ্ন পদ্মার চরে অবিরামভাবে নির্গত হচ্ছে গ্যাস। 
এক সপ্তাহ ধরে সেই গ্যাসে চা ও অন্যান্য খাবার বানিয়ে খাচ্ছেন নৌকার মাঝিসহ আশপাশের কৌতূহলী মানুষ। 
তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যে গ্যাসটি বের হচ্ছে তা বায়োজেনিক গ্যাস। 
দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৭

Nasa planning 2069 mission for life outside our solar system

Nasa is reportedly planning an interstellar mission to search for life outside our solar system in the three-star Alpha Centauri system.

The mission is as yet unnamed and the technology required to get a craft there does not exist yet, but the projected launch date would coincide with the 100th anniversary of the first moon landing.

The ambitious mission would require a craft that would need to travel at a minimum of 10 per cent of the speed of light.

The Alpha Centauri constellation is 4.4 light years away, and even if a record-breaking tenth of the speed of light could be achieved, the system would still be a 44-year trip, reaching our nearest neighbour by 2113.

“It’s very nebulous,” Anthony Freeman, at Nasa’s Jet Propulsion Laboratory (JPL), told the New Scientist.

Nasa is said to be considering sending tiny probes powered by lasers which in theory may be able to reach a quarter of the speed of light. Other techniques under consideration include harnessing nuclear reactions, or through collisions between antimatter and matter, the magazine reported.

There is already a known exoplanet in the Alpha Centauri star system, Proxima Centauri b, which orbits a red dwarf star. However, it has not been considered a perfect location for finding alien life, as the star throws out bursts of radiation that make the conditions inhospitable.

So far humans have only made one spacecraft that has successfully left our solar system – the Voyager 1 craft, which was launched in 1977 and despite the limitations of the technology it was equipped with, provided astonishing new insights into the planets and moons within our own solar system. However, it was never designed to be an interstellar craft.

Voyager 1 is currently 11.7 billion miles from Earth, and is trundling along at just 38,000 mph (61,000kmh), less than 1 per cent of the speed of light.

Nasa’s announcement follows an admission from the former head of the Pentagon’s secret UFO-hunting bureau that he believes “we may not be alone”, and said he had seen compelling evidence” to support the idea of alien life.

Oumuamua has enthralled astronomers and the public since it flew through the solar system in October.On Monday, scientists revealed the first ever interstellar visitor to our solar system was wrapped in a layer of organic insulation.

As the first alien rock to travel here from another star, it was immediately recognised as highly unusual – but as scientists learn more about the object, they are discovering how strange it actually is.

রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭

কথা বলতে গেলে কুশ কুশে কাশি

মৌসুম বদলের এই সময়ে খুসখুসে কাশি, গলা ব্যথা লেগেই থাকে। এর বেশির ভাগই অ্যালার্জিজনিত। কিন্তু সহজে না সারা এসব খুসখুসে কাশি খুবই বিরক্তিকর ও অস্বস্তিকর।
এ ধরনের কাশিতে সাধারণত কফ তৈরি হয় না, কফ বেরোয়ও না।
শুকনো কাশির সাধারণ কারণের মধ্যে অ্যালার্জি ছাড়াও ভাইরাস সংক্রমণ, ক্রনিক ব্রংকাইটিস, পাকস্থলীর অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গলায় উঠে আসা, হাঁপানি ইত্যাদি দায়ী। 
কিছু ওষুধের কারণেও কারও কারও শুকনো কাশি হয়ে থাকে।
ঋতুবদলের আগে-পরে এ রকম খুসখুসে কাশিতে আক্রান্ত হলে শুরুতে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যায় বাড়িতে। যেমন—
-গরম বাষ্প শ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করলে কাশি অনেকটাই তরল হয়ে আসবে এবং আরাম মিলবে। হালকা গরম লবণ পানি দিয়ে গার্গল করলেও উপকার হবে।
-হালকা গরম পানি, গরম দুধ বা গরম স্যুপ খেতে পারেন, এতে ফুসফুসের জমাট ভাবটা কেটে যাবে।
-আদা দিয়ে তৈরি চা, এক চামচ মধু, পুদিনা বা তুলসী পাতার রস—এগুলো সবই কাশি প্রশমন করে।
-রাতে বিরক্তিকর কাশি থেকে বাঁচতে একটু উঁচু বালিশ ব্যবহার করুন, শোবার আগে একটু গার্গল করুন।
-কফি, ক্যাফেইনযুক্ত খাবার, চকলেট এবং ভাজাপোড়া খাবার কাশির দমক বাড়িয়ে দিতে পারে।
-ঠান্ডা পানি ও পানীয় থেকে বিরত থাকাই ভালো। আর ধূমপান অবশ্যই নয়।
-বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই, বিশেষ করে সঙ্গে জ্বর না থাকলে। 

চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিহিস্টামিন বা মনটিলুকাস্ট জাতীয় ওষুধ খাওয়া যায়।
 এগুলো গলা বা শ্বাসনালিতে কাশি উৎপাদনকারী রাসায়নিকের পরিমাণ কমাবে, শ্বাসনালিকে প্রসারিত করবে।
 ফলে জমে থাকা কফ বেরিয়ে আসতে পারবে।
-প্রচলিত কফ সিরাপ কাশি আরও শুষ্ক করে দিতে পারে।
কয়েক দিনের মধ্যে অ্যালার্জিজনিত বা ভাইরাসজনিত কাশি সেরে যাওয়ার কথা। 
হাঁপানি বা ব্রংকাইটিসের রোগীদের জন্য এই ঋতুবদলের মৌসুমটা খুবই খারাপ। 
প্রয়োজনে তাদের অ্যান্টিবায়োটিক বা ইনহেলার, নেবুলাইজার লাগতে পারে। 
কাশি দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।

শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৭

শীতের রোগের প্রধান কারণ হচ্ছে ভাইরাস।

শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে শহুরে জীবনেও। 
এ ঋতু পরিবর্তন শুধু যে কুয়াশা মোড়ানো সকাল আনে তা তো নয়, সঙ্গে আনে স্বাস্থ্যগত পরিবর্তনও। শীতের আবহাওয়া শুষ্ক, ধুলাবালির মাত্রাটাও কিছুটা বেড়ে যায়। 
এ কারণে স্বাস্থ্যসমস্যা দেখা দেয়। শীতের শুরুতেই জ্বর, সর্দি ও কাশি যেন আঁকড়ে ধরে। 
তবে বেশি বাড়ে শ্বাসতন্ত্রের রোগ। 
এসব রোগের প্রধান কারণ হচ্ছে ভাইরাস।

সাধারণত ঠান্ডা ও ফ্লুর কারণে কাশি হয়। 
তবে অ্যালার্জি, অ্যাজমা, অ্যাসিড রিফ্লাক্স, শুষ্ক আবহাওয়া, ধূমপান, এমনকি কিছু কিছু ওষুধ সেবনের ফলেও এ সমস্যা হতে পারে। 
অনেক সময় একবার কাশি শুরু হলে পিছু ছাড়তেই চায় না। একটানা খুকখুক কাশি বিরক্তিকরও বটে!

এ বিষয়ে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র রায় বলেন, এটা মূলত শ্বাসতন্ত্রের ওপরের অংশের রোগ। 
এই রোগ এক সপ্তাহের মধ্যে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। 
তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কাশি কয়েক সপ্তাহ থাকতে পারে।

সর্দি-কাশি বাক মনকোল্ড

শীতে সবচেয়ে বেশি যে রোগ হয় তা হলো সর্দি-কাশি, কমন কোল্ড বা ঠান্ডাজ্বর। 
সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জার মাধ্যমে এ রোগ হয়। 
আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস, লালা, কাশি বা হাঁচি থেকে নিঃসরিত ভাইরাসের মাধ্যমে সর্দি-কাশির সংক্রমণ হয়। এর ফলে রোগীর জ্বর, গলাব্যথা, ঢোঁক গিলতে অসুবিধা, নাক বন্ধ, নাক দিয়ে অনবরত সর্দি নিঃসৃত হওয়া, খুসখুসে কাশির সঙ্গে গলা, মাথা ও বুকে-পেটে ব্যথাও অনুভূত হয়। কোনো কোনো সময় খাবারে অরুচি, পাতলা পায়খানা হতে পারে। 
এ রোগে আক্রান্ত হলে বিশ্রাম, প্রচুর পানীয়, ফলের রস ও পানীয় গ্রহণ করতে হবে। খুব বেশি জ্বর, গলাব্যথা, কাশি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন।

অ্যাজমা বা হাঁপানি

শীতকালে অ্যাজমা বা হাঁপানির প্রকোপ খানিকটা বেড়ে যায়। 
যেকোনো বয়সের নারী-পুরুষ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। পরিবেশদূষণ, শিল্পবর্জ্য থেকে উৎপন্ন ধুলাবালি, খাবার, ওষুধ-অ্যাজমা বা হাঁপানির মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। 
হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাস্ক পরে চলাচল করতে হবে। 
যেসব খাবার, ওষুধ, ধুলাবালিতে পরিবেশগত অ্যালার্জেন আছে, সেগুলো থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। শ্বাসকষ্ট বেশি হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

এডিনয়েড-টনসিলের প্রদাহ

শীতে গলাব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ হলো এডিনয়েড, টনসিল বড় হওয়া বা প্রদাহ হওয়া। 
এর ফলে রোগীর গলাব্যথা, ঢোঁক গিলতে কষ্ট, জ্বর, নাক দিয়ে নিশ্বাস নেওয়া এবং ঘড়ঘড় শব্দ ইত্যাদি হতে পারে। 
এই রোগসমূহ অনেকের বারবার হয় এবং জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। 
এ জন্য চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচা করেও প্রতিরোধের চেষ্টা করা যেতে পারে।

এ ছাড়া শীতের সময় অনেকে আবার সাইনোসাইটিসের সমস্যায় ভোগেন।
 শীতের সময় অনেকে আবার ফুসফুসের সংক্রমণের সমস্যায় ভোগেন। 
সাধারণত শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে এগুলো বেশি দেখা যায়। 
শীতে এসব রোগের হাত থেকে নিজেকে নিরাপদে রাখতে বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।

কাশি দূর করার কার্যকর উপায়

কুলকুচা: 
এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চা-চামচ লবণ মিশিয়ে কুলকুচা করতে হবে। 
এক সপ্তাহ যাবৎ প্রতিদিন তিন বেলা করে কুলকুচা করবেন। 
এতে কফ, কাশি, গলাব্যথা—সবই খুব দ্রুত কমে যাবে। এটি খুবই কার্যকর একটি পদ্ধতি।

মধু: 
এক কাপ লেবুমিশ্রিত চায়ের মধ্যে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। 
মধু কাশি কমাতে সাহায্য করে এবং গলাব্যথায় উপশম করে।

এ ছাড়া আদা চা, গরম পানি খাওয়া, গলায় ঠান্ডা না লাগানো নিয়মিত মেনে চললে কাশি দ্রুত ভালো হয়ে যায়।

এরপরও কাশি ভালো না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সর্দি-কাশিও হাঁপানি প্রতিরোধে করণীয়

১. ঠান্ডা খাবার ও পানীয় পরিহার করা

২. কুসুম কুসুম গরম পানি পান করা। হালকা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা উচিত।

৩. প্রয়োজনমতো গরম কাপড় পরা। তীব্র শীতের সময় কান-ঢাকা টুপি পরা এবং গলায় মাফলার ব্যবহার করা ভালো।

৪. ধুলাবালি ও ধূমপান এড়িয়ে চলা।

৫. ঘরের দরজা-জানালা সব সময় বন্ধ না রেখে মুক্ত ও নির্মল বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা।

৬. হাঁপানি রোগীরা শীত শুরুর আগেই চিকিৎসকের পরামর্শমতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

৭. যাদের অনেক দিনের শ্বাসজনিত কষ্ট আছে, তাদের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোকক্কাস নিউমোনিয়ার টিকা নেওয়া উচিত।

৮. তাজা, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা, যা দেহকে সতেজ রাখবে এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

৯. হাত ধোয়ার অভ্যাস করা। বিশেষ করে চোখ বা নাক মোছার পরপর হাত ধোয়া।

১০. সাধারণভাবে রাস্তায় চলাচলের সময় মাস্ক পরা, আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরে থাকা এবং তার ব্যবহৃত জিনিসপত্র ব্যবহার না করাই ভালো। তাজা ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

যাদের হাঁপানি বা অনেক দিনের কাশির সমস্যা যেমন ব্রংকাইটিস আছে, ঠান্ডা আবহাওয়ায় তাদের কষ্টও বাড়ে। নিউমোনিয়াও এ সময় প্রচুর দেখা দেয়।
 তাই প্রত্যেকের প্রতিরোধমূলক জীবনযাপন করা উচিত।

ব্যবসা শুরু করতে হবে থাযথ পদ্ধতি মেনে

ব্যবসা শুরু করার জন্য নির্দিষ্ট আইনকানুন মানতে হবে।
নতুন ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন?
ব্যবসার জন্য পুঁজি বা বিনিয়োগ সবকিছুই তৈরি আছে বলে ভাবছেন।
কিন্তু ছোট হোক বড় হোক, ব্যবসা শুরু করার জন্য নির্দিষ্ট আইনকানুন মানতে হবে।
আইন অনুসারে যথাযথ পদ্ধতি মেনেই ব্যবসা শুরু করতে হবে।

সম্পন্ন করুন যাবতীয় চুক্তিনামা

ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমেই ঠিক করতে হবে ব্যবসার জায়গা।
চাইলেই যেকোনো এলাকায় শুরু করা যাবে না।
আগে সিটি করপোরেশন থেকে জেনে নিতে হবে কোথায় ব্যবসা করতে পারবেন এবং কোথায় পারবেন না।
এ অনুযায়ী ব্যবসার স্থানের জন্য বাড়ির মালিকের সঙ্গে লিখিত চুক্তি করতে হবে।

ব্যবসাটি আপনি একা নাকি অংশীদারদের সঙ্গে করবেন, তা নির্দিষ্ট করতে হবে।
যদি অংশীদারদের সঙ্গে ব্যবসা করতে চান, তবে অংশীদারত্বের চুক্তি করতে হবে।
এই চুক্তিতে ব্যবসার ধরন এবং অংশীদারদের কার কেমন অংশ থাকবে, তা নির্দিষ্ট করে লেখা থাকবে। অনেক সময় এ চুক্তি যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধক (আরজেএসসি) অফিস থেকে নিবন্ধন করা লাগতে পারে।
সাধারণত যেকোনো চুক্তি নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে নোটারাইজড করে নিতে হয়।

লাগবে নিবন্ধন

যেকোনো ব্যবসা—তা ছোট হোক বা বড়, ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে।
সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা অফিস থেকে আবেদন ফরম নিয়ে যথাযথভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে।
এর সঙ্গে নির্ধারিত কিছু ফি-ও জমা দিতে হয়ে। ফির পরিমাণ সংশ্লিষ্ট কার্যালয় থেকে জেনে নিতে হবে। আবেদনের সঙ্গে অফিসভাড়ার চুক্তিপত্র, অংশীদারি চুক্তির দলিলের কপি, ছবি এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হবে।
যদি কোনো কোম্পানি হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করতে চান, তাহলে লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধক (আরজেএসসি) অফিস থেকে নিবন্ধন করতে হবে এবং কোম্পানি হিসেবে সনদ নিতে হবে।
এ অফিস কোম্পানি আইন ও অন্যান্য বিধি অনুসারে কোম্পানি, সমিতি ও অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন দিয়ে থাকে।
ব্যবসার ধরন বুঝে বিএসটিআই বা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থা থেকেও সনদের প্রয়োজন হতে পারে।
এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের আয়কর এবং ভ্যাট প্রদানের জন্য কোম্পানির টিন সার্টিফিকেট এবং ভ্যাট সার্টিফিকেট নিতে হবে।
এ সার্টিফিকেট নেওয়ার প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করা যায়।
এর জন্য প্রতিষ্ঠানের নামে নির্দিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট লাগতে পারে। বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ কোনো কোম্পানি বা ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) থেকে নিবন্ধনপত্র সম্পন্ন করতে হবে।
যদি বিদেশি কোনো নাগরিককে নিয়োগ করতে হয়, তাহলে এর জন্য একই অফিস থেকে ইভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট (কাজের অনুমতি) নিতে হবে।
যদি আমদানি-রপ্তানিসংক্রান্ত কোনো ব্যবসা থাকে, তাহলে আলাদা আমদানি-রপ্তানিসংক্রান্ত সনদ নিতে হবে।

ট্রেডমার্ক নিবন্ধন

যাবতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য পদ্ধতি সম্পন্ন করার পর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান যে নামে করবেন, সে নামটির ট্রেডমার্কস নিবন্ধন করে নিতে পারেন।
যদিও এ ট্রেডমার্কস নিবন্ধন বাধ্যতামূলক নয়, তবে ব্যবসার স্বার্থে ট্রেডমার্কসের নিবন্ধন করে নেওয়া উচিত।
 নইলে দেখা যাবে আপনি ব্যবসা শুরু করার পর একই নামে অন্য কেউ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে বসতে পারে।
ট্রেডমার্কস নিবন্ধন করা থাকলে এ ক্ষেত্রে আইনি প্রতিকার পেতে সহজ হয়।
শুধু প্রতিষ্ঠানের নাম নয়, পণ্য এবং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের নামও ট্রেডমার্কস নিবন্ধন করা যায়।
এ নিবন্ধনের জন্য ট্রেডমার্কস, ডিজাইন এবং পেটেন্ট অধিদপ্তরে আবেদন করতে হয়।
এ ছাড়া কোনো পণ্যের ডিজাইন এবং কোনো আবিষ্কার যদি থাকে, তার পেটেন্টের জন্য আবেদন করার সুযোগ আছে।

বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৭

মানুষের বয়স ভিত্তিক খাদ্য তালিকা

সুষম খাদ্য (Balance diet)

যে খাদ্যের মধ্যে মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় সকল খাদ্য উপাদান পরিমাণমত বর্তমান থাকে, তাকেই এক কথায় সুষম খাদ্য বলা হয়। অর্থাৎ মানবদেহের প্রয়োজণীয় ও পরিমাণমত ছয়টি উপাদানযুক্ত খাবারকেই সুষম খাদ্য হিসেবে ধরা হয়। সুষম খাদ্য দেহের চাহিদা অনুযায়ী পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের যোগান দেয়। এটা ব্যক্তির দেহে প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানের অভাব মেটায়। তাই প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজের বয়স, চাহিদা ও পরিশ্রম অনুযায়ী সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। সুষম খাদ্যের মধ্যে আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় ছয়টি খাদ্য উপাদান যেমনঃ আমিষ, শর্করা, স্নেহ পদার্থ, খনিজ লবণ, ভিটামিন ও পানি বিদ্যমান থাকে। এ সুষম খাদ্যের মাধ্যমে দেহের ক্ষয়পূরণ, বুদ্ধিসাধন, শক্তি উৎপাদনসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জিত হয়ে থাকে।

সুষম খাদ্যের তালিকা প্রণয়নের নীতিমালা

বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৭

খাদ্য ও পুষ্টি সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

খাদ্য ও পুষ্টি

খাদ্য ও পুষ্টি কনটেন্টটিতে খাদ্যের কাজ, খাদ্যের শ্রেণীবিভাগ, খাদ্য উপাদানের শ্রেণী বিভাগ, খাদ্য উপাদানের কাজ, উৎস ও মাথাপিছু দৈনিক প্রয়োজনীয় পরিমাণ, সুষম খাদ্য, পুষ্টি সর্ম্পকে বর্ণনা করা হয়েছে।
খাদ্য ছাড়া আমাদের জীবন ধারণ সম্ভব নয়। দৈনন্দিন কাজকর্ম এবং চলাফেরা করার জন্য সবল, রোগমুক্ত ও সুস্থ শরীর প্রয়োজন।  সুস্থ শরীর বজায় রাখার জন্য আমরা যা কিছু খেয়ে থাকি তা-ই খাদ্য।

খাদ্যের কাজ 
  • শরীর গঠন ও বৃদ্ধিসাধন এবং ক্ষয়পূরণ
  • শরীরে তাপশক্তি ও কর্মক্ষমতা যোগানো
  • শরীর রোগমুক্ত রাখা
  • অসুস্থ শরীরকে আরোগ্য লাভে সহায়তা করা

খাদ্যের শ্রেণীবিভাগ 
কাজভেদে খাদ্যকে তিনভাগে ভাগ করা যায়।
যেমনঃ

ক. শক্তিদায়ক খাদ্য  
      এ সব খাদ্যের প্রধান ভূমিকা হলো, শক্তি ও তাপ উৎপাদন করে শরীরকে সতেজ ও কর্মক্ষম রাখা।  শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকর্ম যেমনঃ শ্বাসপ্রশ্বাস ক্রিয়া, হৃৎপিন্ড ও অন্যান্য দেহ যন্ত্রের ক্রিয়া, পরিপাক ক্রিয়া, মলমূত্র নিষ্কাষণ ক্রিয়া এবং  দৈনন্দিন জীবনে সকল কাজকর্ম সম্পাদনে শক্তি প্রয়োজন। যে সকল  খাদ্য সামগ্রী হতে শক্তি পাওয়া  যায় তা হলোঃ
  • শস্য জাতীয় খাদ্য (যেমন  চাল, গম, ভূট্টা, জোয়ার ইত্যাদি)
  • মূল জাতীয় খাদ্য (যেমন  গোল আলু, মিষ্টি আলু, মেটে আলু, কাসাবা ইত্যাদি)
  • তেল বা চর্বি জাতীয় খাদ্য (যেমন সব রকমের তেল, ঘি,  মাংসের চর্বি  ইত্যাদি)
  •  চিনি, গুড়  ও মিষ্টি  জাতীয় খাদ্য
খ. শরীর গঠন, বৃদ্ধিসাধন এবং ক্ষয়পূরণকারী খাদ্য  
এ সকল খাদ্য মানবদেহে মূলত: শরীরের কাঠামো তৈরী বা শরীর গঠন, শরীরের বৃদ্ধি সাধন ও শরীরের ক্ষয় পূরণে কাজ করে থাকে।  এসব খাদ্যের মধ্যে প্রাণীজ উৎস থেকে প্রাপ্ত:
  • ডিম
  •  দুধ
  •  মাছ
  • মাংস
এবং উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে প্রাপ্ত:
  • সব রকমের ডাল   
  •  মটর শুঁটি
  •  সীমের বীচি
  • কাঁঠালের বীচি
  • বাদাম প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
গ. রোগ প্রতিরোধক খাদ্য  
এ সব খাদ্যের প্রধান ভূমিকা হলো, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, নানা প্রকার রোগ-ব্যাধি কিংবা অসুস্থতা হতে শরীরকে রক্ষা করা। রোগ প্রতিরোধক সস্তা খাদ্যের মধ্যে রয়েছে :
  • রঙ্গিন শাকসব্জি
  •  ফলমূল
খাদ্য উপাদানের শ্রেণী বিভাগ  
খাদ্য উপাদানকে নিম্নের ৬টি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে :
  • শ্বেতসার বা শর্করা ( উৎস- চাল, গম, ভুট্টা, চিড়া, মুড়ি, চিনি, গুড়, আলু ও মূল জাতীয় অন্যান্য খাদ্য)
  • আমিষ  ( উৎস - মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল, মটর শুঁটি, সীমের বীচি, কাঁঠালের বীচি, বাদাম ইত্যাদি)
  • স্নেহ জাতীয় খাদ্য (উৎস -তেল, ঘি, মাখন, চর্বি  ইত্যাদি)
  • খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন (উৎস - রঙ্গিন শাক-সব্জি ও ফল, ডিম, দুধ, কলিজা ইত্যাদি)
  • খনিজ লবণ  (উৎস - রঙ্গিন শাক-সব্জি ও ফল, ডিম, দুধ, কলিজা, মাংস, ছোট মাছ ইত্যাদি)
  • নিরাপদ পানি
খাদ্য উপাদানের কাজ, উৎস ও মাথাপিছু দৈনিক প্রয়োজনীয় পরিমাণ  
খাদ্যের মুখ্য উপাদান 
  •  শ্বেতসার বা শর্করা
  •  আমিষ
  •  স্নেহ
খাদ্যের গৌণ উপাদান 
  • খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন
  •  খনিজ লবণ 
  •  নিরাপদ পানি
খাদ্যের মুখ্য উপাদান 
শ্বেতসার বা শর্করা
কাজ 
  • শরীরে তাপ শক্তি সরবরাহ করে
  • তেল / চর্বি জাতীয় পদার্থ দহনে সাহায্য করে                  
  • আমিষের প্রধান কাজ করতে সহায়তা করে এবং
কাজ 
  • শরীরে তাপ শক্তি সরবরাহ করে
  • তেল / চর্বি জাতীয় পদার্থ দহনে সাহায্য করে
  • আমিষের প্রধান কাজ করতে সহায়তা করে এবং
উৎস 
  • চাল, গম, ভুট্টা, চিনি, গুড়, মিষ্টি, আলু, মিষ্টি আলু, কচু ইত্যাদি
মাথাপিছু দৈনিক প্রয়োজনীয় পরিমাণ (আহারোপযোগী ) 
  • মোট প্রয়োজনীয় খাদ্য শক্তির শতকরা প্রায় ৫০-৬০ ভাগ
আমিষ
কাজ 
  • দেহের গঠন ও বৃদ্ধি সাধন করে
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • শরীরে তাপ শক্তি সরবরাহ করে
  • শরীরে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে
উৎস 
  • প্রাণিজ উৎস যেমন-মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, কলিজা
  • উদ্ভিজ্জ উৎস যেমন- সয়াবিন, কাঁঠালের বীচি, সীমের বীচি, ডাল, বাদাম, মটরশুঁটি ইত্যাদি   
মাথাপিছু দৈনিক প্রয়োজনীয় পরিমাণ (আহারোপযোগী) 

  • প্রতি কেজি শরীরের ওজনের জন্য ১ গ্রাম ( পূর্ণ বয়স্কদের জন্য )
  • প্রতি কেজি শরীরের ওজনের জন্য ২-৩ গ্রাম ( ৪ বছরের শিশুর জন্য )
  • প্রতি কেজি শরীরের ওজনের জন্য ১.৭ গ্রাম ( ৪-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত )
  • প্রতি কেজি শরীরের ওজনের জন্য ১.৫ গ্রাম ( গর্ভবতী ও প্রসূতীর জন্য )
কাজ
  • দেহে শক্তি সরবরাহ করে
  • দেহের ত্বককে মসৃণ রাখে
  • খাবার সুস্বাদু করে ও তেল বা চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন শরীরে কাজে লাগাতে সাহায্য করে
উৎস  
  • প্রাণিজ উৎস যেমন-ঘি, মাখন, চর্বি
  • উদ্ভিজ্জ উৎস যেমন-সয়াবিন তেল, সরিষার তেল, তিলের তেল, সূর্যমুখীর তেল, বাদাম, ডালডা, নারকেল (শুকনা )
মাথাপিছু দৈনিক প্রয়োজনীয় পরিমাণ (আহারোপযোগী) 
  • প্রায় ৩৫-৪০ গ্রাম ( পূর্ণ বয়স্কের জন্য )
  • প্রতি কেজি শরীরের ওজনের জন্য দৈনিক ২-৩ গ্রাম ( ১ বছর পর্যন্ত শিশুর জন্য )

খাদ্যের গৌণ উপাদান - খাদ্য প্রাণ বা ভিটামিন 
ভিটামিন (তেল বা চর্বিতে দ্রবণীয়) 
ভিটামিন-এ
কাজ
  • চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখে
  • ত্বকের কোষকে ভালো রাখে ফলে ত্বক মসৃণ থাকে
  • শরীর গঠন এবং বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
  • হাঁড় ও দাঁত তৈরীতে সহায়তা করে
  • সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • প্রজনন ক্ষমতা অক্ষুন্ন রাখতে সাহায্য করে
উৎস (আহারোপযোগী)  
  • প্রাণিজ উৎস যেমন-ফিস লিভার ওয়েল, মাছের তেল, কলিজা, মাখন, ডিমের কুসুম, কিডনি, চর্বি
  • উদ্ভিজ্য উৎস যেমন-রঙিন শাকসবজি, ফল এবং ভুট্টা ও মিষ্টি আলু
মাথাপিছু দৈনিক প্রয়োজনীয় পরিমাণ 
  • প্রায় ৫০০০ আই ইউ* ( প্রাপ্ত বয়স্কের জন্য )
  • প্রায় ৬০০০ আই ইউ ( গর্ভবতীর জন্য )
  • প্রায় ৮০০০ আই ইউ ( প্রসূতির জন্য )
  • প্রায় ২০০০-৪৫০০ আই ইউ ( ১-১২ বছর বয়স পর্যন্ত )
* আই ইউ  (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট)
ভিটামিন-ডি
 কাজ 
  • শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস বিপাকে সাহায্য করে
  • হাঁড় ও দাঁত গঠনে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস কাজে লাগাতে সাহায্য করে
উৎস (আহারোপযোগী) 
  • প্রাণিজ উৎস যেমন-মাছের তেল, ফিস লিভার ওয়েল, মাখন, ডিমের কুসুম, দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার
  • প্রাকৃতিক উৎস যেমন-সূর্যের আলো
মাথাপিছু দৈনিক প্রয়োজনীয় পরিমাণ 
  • ২.৫ মাইক্রোগ্রাম ( প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের জন্য )
  • ১০ মাইক্রোগ্রাম ( গর্ভবতী, প্রসূতি ও শিশুর জন্য )
(উদ্ভিজ্জ খাদ্যে ভিটামিন-ডি নেই)
ভিটামিন-ই
কাজ 
  • এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে ভিটামিন-এ, ক্যারোটিন এবং অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিডকে জারিত হয়ে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে
  • প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করাসহ বন্ধ্যাত্ব নিবারণে সহায়তা করে

উৎস (আহারোপযোগী) 
  • প্রাণিজ উৎস যেমন-কডলিভার ওয়েল
  • উদ্ভিজ্জ উৎস যেমন- বাদাম,গম, যব, সূর্যমুখী তেল, সয়াবিন তেল এবং পামতেল
মাথাপিছু দৈনিক প্রয়োজনীয় পরিমাণ 
  • প্রায় ৫-১০ মিলিগ্রাম


পানিতে দ্রবণীয়  ভিটামিন 
ভিটামিন-সি
কাজ 
  • কোলাজেন নামক আমিষ তৈরী এবং রক্ষণাবেক্ষণে সাহায্য করে
  • চর্বি ও আমিষ বিপাকে সাহায্য করে
  • রক্ত তৈরী করার জন্য লৌহ এবং তাম্রকে ব্যবহৃত করতে সাহায্য করে
  • চামড়া মসৃণ এবং উজ্জল রাখে
  • দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখে
  • ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি শুকাতে সাহায্য করে ও সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করে
উৎস (আহারোপযোগী) 
  • টক জাতীয় ফল যেমন - আমলকি, পেঁয়ারা, জাম্বুরা, আমড়া, লেবু, কামরাঙ্গা, কুল, আনারস। এছাড়া কাঁচামরিচ, পুদিনা পাতা, ধনে পাতা, সজনে পাতা, মূলাশাক ইত্যাদি কাঁচা খেলেও ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
মাথাপিছু দৈনিক প্রয়োজনীয় পরিমাণ 
  • ২০ মিলিগ্রাম ( শিশুর জন্য )
  • ৩০ মিলিগ্রাম ( প্রাপ্ত বয়স্কের জন্য )
  • ৫০ মিলিগ্রাম ( গর্ভবতীর জন্য )
  • ৫০ মিলিগ্রাম ( প্রসূতির জন্য )
ভিটামিন-বি২
কাজ 
  • শরীরে শর্করা জাতীয় খাদ্যের বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে শক্তি উৎপাদন করে
  • চর্বি ও আমিষ থেকে শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে
  • দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি সাধনে সাহায্য করে

উৎস (আহারোপযোগী) 
  • প্রাণিজ উৎস যেমন-চর্বি বিহীন মাংস, কলিজা, ডিম, দুধ, মাছ
  • উদ্ভিজ্জ উৎস যেমন-ঢেঁকি ছাঁটা সিদ্ধ চাল, গম, যব, ইস্ট, মটরশুঁটি ইত্যাদি
মাথাপিছু দৈনিক প্রয়োজনীয় পরিমাণ 
  • ১.৪ মিলিগ্রাম ( পুরুষের জন্য )
  • ১.০ মিলিগ্রাম ( মহিলার জন্য )
  • ১.১ মিলিগ্রাম ( গর্ভবতীর জন্য )
  • ১.৪ মিলিগ্রাম ( প্রসূতির জন্য )
নায়াসিন
কাজ 
  • শর্করা বিপাকে সাহায্য করে
  • শর্করা ও আমিষ থেকে দেহের চর্বি উৎপাদনে সাহায্য করে
উৎস (আহারোপযোগী) 
  • প্রাণিজ উৎস যেমন-মাংস, কলিজা
  • উদ্ভিজ্জ উৎস যেমন-গম, ডাল, বাদাম, তেল বীজ, ছোলা ও শাক-সবজি
মাথাপিছু দৈনিক প্রয়োজনীয় পরিমাণ 
  • ১৮.২ মিলিগ্রাম ( পুরুষের জন্য )
  • ১৩.২ মিলিগ্রাম ( মহিলার জন্য )
  • ১৫.১ মিলিগ্রাম ( গর্ভবতীর জন্য )
  • ১৮.১ মিলিগ্রাম ( প্রসূতির জন্য )
ভিটামিন-বি১২
কাজ 
  • কো-এনজাইম হিসেবে দেহে কাজ করে
  • রক্তের লোহিত কণিকার আকার স্বাভাবিক রাখে
উৎস (আহারোপযোগী) 
  • প্রাণিজ উৎস যেমন-কলিজা, মগজ, হৃৎপিন্ড, কিডনি, মাংস, মাছ, ডিম, দুধ, দুগ্ধজাত খাদ্য, ডিমের কুসুম ও গরুর কলিজা
      (উদ্ভিজ্জ খাদ্যে ভিটামিন-বি১২ নেই)
মাথাপিছু দৈনিক প্রয়োজনীয় পরিমাণ 
  • ১.০ মাইক্রোগ্রাম (শিশুর জন্য)
  • ২.০ মাইক্রোগ্রাম (প্রাপ্ত বয়স্কের জন্য)
  • ৩.০ মাইক্রোগ্রাম (গর্ভবতীর জন্য)
  • ২.৫ মাইক্রোগ্রাম (প্রসূতির জন্য)

খনিজ লবণ  
ক্যালসিয়াম

কাজ 
  • ফসফরাসের সহযোগিতায় শরীরের কাঠামো, হাঁড় ও দাঁত গঠন এবং তা মজবুত করে
  • প্রতিটি জীব কোষ গঠনে এর প্রয়োজন
  • রক্ত জমাট বাঁধার প্রয়োজনীয় উপাদান
  • হৃৎপিন্ডের সংকোচন, প্রসারণ এবং হৃৎপিন্ডে স্পন্দনে সাহায্য করে
উৎস (আহারোপযোগী) 
  • প্রাণিজ উৎস যেমন-ছোট চিংড়ি, ছোট মাছের কাঁটা, নরম হাঁড়, দুধ ও দুধজাত খাবার
  • উদ্ভিজ্জ উৎস যেমন-ডাল, ঢেঁড়স, সজনে এবং সবুজ শাক যেমন-কচু শাক, পালং শাক ইত্যাদি
মাথাপিছু দৈনিক প্রয়োজনীয় পরিমাণ 
  • ৪৫০ মিলিগ্রাম ( প্রাপ্ত বয়স্কের জন্য )
  • ৫০০-৬০০ মিলিগ্রাম ( শিশুর জন্য )
  • ৬৫০ মিলিগ্রাম ( কিশোর-কিশোরীর জন্য )
  • ১১০০ মিলিগ্রাম ( গর্ভবতীর জন্য )
  • ১১০০ মিলিগ্রাম ( প্রসূতির জন্য )
ফসফরাস
কাজ 
  • ক্যালসিয়ামের সাথে মিলিত হয়ে হাঁড় ও দাঁতের তন্তু তৈরী এবং তা মজবুত করে
  • শর্করা এবং চর্বি বিপাকে সাহায্য করে শরীরে তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে
  • কোষের নিউক্লিক এসিড ও সাইটোপ্লাজমের অপরিহার্য অংশ
উৎস ( আহারোপযোগী ) 
  • প্রাণিজ উৎস যেমন-মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, পনির
  • উদ্ভিজ্জ উৎস যেমন-বাদাম, ডাল এবং দানা জাতীয় খাদ্য দ্রব্য
মাথাপিছু দৈনিক প্রয়োজনীয় পরিমাণ 
  • ৮০০ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম
কাজ 
  • দেহ বিশেষ করে চর্বিহীন মাংসপেশী বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন
  • পেশীর স্বাভাবিক নড়াচড়া বজায় রাখে
উৎস (আহারোপযোগী) 
  • প্রাণিজ উৎস যেমন-চর্বিহীন মাংস এবং দুধ ( তবে কম বেশি প্রায় সব খাবারের মধ্যে পটাশিয়াম রয়েছে )

মাথাপিছু দৈনিক প্রয়োজনীয় পরিমাণ 

  • ২.৫ মিলিগ্রাম (প্রাপ্ত বয়স্কের জন্য)
আয়রণ
কাজ 
  • রক্তের হিমেগ্লোবিনের হিম অংশ তৈরীর জন্য অপরিহার্য
  • অসংখ্য এনজাইমের অংশ হিসেবে অক্সিডেশন-রিডাকশন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়
  • জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রন-ট্রান্সফার সিস্টেমের জন্যে লৌহের প্রয়োজন
উৎস (আহারোপযোগী) 
  • প্রাণিজ উৎস যেমন-মাংস, কলিজা, ডিম, টেংরা মাছ, তাপসী মাছ, রুপাপাতিয়া মাছ বা এসব মাছের শুটকি
  • উদ্ভিজ্জ উৎস যেমন-কাঁচা আম, আমচুর, কাল কচু শাক, ফুল কপির পাতা, শালগম পাতা, ডাঁটা শাক এবং অন্যান্য শাক
মাথাপিছু দৈনিক প্রয়োজনীয় পরিমাণ 
  • ০৯ মিলিগ্রাম (প্রাপ্ত বয়স্কের জন্য )
  • ১০ মিলিগ্রাম (ছোট ছেলে মেয়ের জন্য)
  • ১৮  মিলিগ্রাম (কিশোরের জন্য)
  • ২৪  মিলিগ্রাম (কিশোরীর জন্য)
  • ২৮  মিলিগ্রাম (প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলার জন্য)
  • ৩৩  মিলিগ্রাম (গর্ভবতীর জন্য)

আয়োডিন
কাজ 
  • থাইরক্সিন নামক হরমোন তৈরীর জন্য অত্যাবশ্যকীয়
  • শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য
উৎস (আহারোপযোগী) 
  • প্রাণিজ উৎস যেমন-সামুদ্রিক মাছ (তাজা/শুটকি)
  • প্রাকৃতিক উৎস যেমন-সামুদ্রিক আগাছা
  • আয়োডিন মিশ্রিত খাবার লবণ
মাথাপিছু দৈনিক প্রয়োজনীয় পরিমাণ 
  • ১৫০ মাইক্রোগ্রাম
পানি 
কাজ 
  • মানব দেহে যে কোন রাসায়নিক পরিবর্তনে সাহায্য করে
  • গ্রহণকৃত খাবার হজম, আত্মীকরন, শোষণ, সংগ্রহণ ও মল নিঃসরণ করে    
  • শরীরে তাপমাত্রা রক্ষা করে
  • শরীরে এক স্থান হতে অন্য স্থানে পুষ্টি উপাদান পৌছায়
  • শরীরের জোড়া অংশ নড়াচড়ায় সাহায্য করে
  • শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় পদার্থ বের করে

উৎস 
  • প্রাকৃতিক উৎস (বিশুদ্ধ)
  • তরল খাবার বা পানিয়
  • শক্ত খাবার
মাথাপিছু দৈনিক প্রয়োজনীয় পরিমাণ 
  • প্রায় আড়াই থেকে তিন লিটার (পূর্ণ বয়স্কের জন্য)

সুষম খাদ্য  
  • সুষম খাবার বলতে আমরা এমন খাবারের কথা বুঝি যাতে শরীরের প্রয়োজনীয় সবকটি খাদ্য উপাদানই সঠিক পরিমাণে বিদ্যমান থাকে। সুষম খাদ্য তালিকায় শক্তিদায়ক,শরীর বৃদ্ধিকারক ও ক্ষয়পূরক এবং রোগ প্রতিরোধক খাবার উপযুক্ত পরিমাণে  অন্তর্ভূক্ত থাকতে হবে।
  • বয়স, কাজ, লিঙ্গ ও শারীরিক অবস্থাভেদে সুষম খাদ্য  ভিন্ন হতে পারে।
  •  সুস্থ্য দেহের জন্য খাদ্য উপাদান ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে আঁশযুক্ত খাবার দৈনিক খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
  • এছাড়া প্রয়োজনীয় পরিমাণ নিরাপদ পানি পান করতে হবে। দৈনিক খাদ্য তালিকায় যেন ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত কোন খাবার না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • সুষম খাদ্য বলতে শুধু দামি খাদ্যকেই বুঝায় না। সস্তা খাদ্য সামগ্রী দিয়েও সুষম খাদ্য তৈরী করা যায়।
পুষ্টি  
পুষ্টি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে গ্রহণ করা খাদ্য পরিপাক ও শোষিত হয়ে শরীরে তাপ ও শক্তি যোগায়, শরীরের বৃদ্ধিসাধন করে রোগ থেকে মুক্ত রাখে, ক্ষয়পূরণ করে এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
পুষ্টির উৎস 
  • চাল, ডাল
  • মাছ, মাংস
  • শাকসব্জী, ফলমূল
  • পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন (ভিটামিন ‘বি’কমপ্লেক্স, ভিটামিন ‘সি’)
  • তেলে দ্রবণীয় ভিটামিন (ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন‘ডি’, ভিটামিন ‘ই’, ভিটামিন ‘কে’)
  • ভিটামিন ‘সি’
পুষ্টিকর খাদ্য কেন প্রয়োজন
  • শরীর গঠন, বুদ্ধিমত্তা, শরীর বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ এবং রোগ প্রতিরোধের জন্য
  •  শারীরিক শক্তি বা কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য
  • জীবন চক্রের অতি গুরুত্বপূর্ন সময় যেমন- শিশুকাল, শৈশবকাল, কৈশোর, গর্ভাবস্থা, স্তন্যদানকাল ও বয়োসন্ধিকালে বিশেষ প্রয়োজনীয়, পরিমিত ও  নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। বয়স, লিঙ্গ, শারীরিক অবস্থা ও দৈহিক ক্রিয়াকর্ম অনুযায়ী খাদ্য চাহিদা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত বা কম কিংবা অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণ অপুষ্টি জনিত রোগের কারণ হতে পারে। তাই জীবনের সকল পর্যায়ে আমাদের পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করা উচিৎ।

Popular Posts