সেই ৬১ সালে আমি ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়েছি।
তখনও প্রশ্নফাঁস হতো।
এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে প্রশ্নফাঁসের খবর দ্রুত প্রচার হয়ে যায়।
গতকাল (শনিবার) সচিবালয়ে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফলপ্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রশ্নফাঁস কোথা থেকে হচ্ছে- একজন সাংবাদিকের এই প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই ইতিহাসটা আজকে আর তোলার দরকার নাই।
প্রশ্নফাঁস কোথা থেকে হচ্ছে- একজন সাংবাদিকের এই প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই ইতিহাসটা আজকে আর তোলার দরকার নাই।
আমি মনে করি, এটা আরেক ইস্যু।
এটা বহুত আপনারা লিখছেন, আরও লিখবেন, আরও বলবেন, আমরাও বলব।
এটা আমি বহুবার বলছি, এক কথা বার বার বলা।
এটা মন হচ্ছে যেন এই আধুনিক একটা পদ্ধতি চালু হয়েছে, আগে কখনও, জীবনে প্রশ্ন ফাঁস হয় নাই।
আগেও একদিন বলেছিলেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, আমি একষট্টি (১৯৬১) সালে ম্যাট্রিক (বর্তমানে এসএসসি) পরীক্ষা দিয়েছি।
কত বছর অনুমান করেন? একষট্টি সাল!
তখন থেকেই প্রশ্নপ্রত্র ফাঁস দেখে আসতেছি। তখন ছিল সীমাবদ্ধ।
সেই সময় ফাঁস হইত, বিক্রি হইত, চলত।
এইটার ধারা বহুদূর পর্যন্ত বেশি গেছে, কম গেছে।
এখন প্রশ্ন ফাঁসের পর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে প্রশ্নফাঁসের খবর দ্রুতই প্রচার হচ্ছে। এখন নানা রকম সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা মাধ্যমে দ্রুতই প্রচার হয়ে যায়।
এজন্য মনে হয় অনেক বেশি একটা।
যদি না ফাঁসও হয়, আমি খালি একটা ফেইসবুকে লিখে দেই- প্রশ্ন আউট হয়ে গেছে আর কিছুই লাগবে না ওইটা ধরেই ব্যাপক প্রচার হয়ে যাবে।
আমি না করতেছি না।
প্রশ্ন ফাঁসরোধে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে নাহিদ বলেন, বিজি প্রেস ছিল আগে সহজ।
তাই দুই মাস পরে যে পরীক্ষা হবে আজকেই প্রশ্নপত্র পেয়ে যাচ্ছি।
আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করছেন, কোনো প্রশ্নপত্রই পরীক্ষার দুই মাস আগে ফাঁস হয় না, ওইদিন (পরীক্ষার দিন) সকালে আউট হয়।
মোটামুটি এই জায়গায় চলে আসছি আমরা।
বিজি প্রেসে আমরা ব্যাপক পরিবর্তন করছি, ওখান থেকে এখন প্রকাশের সুযোগ নাই।
আমরা জেলায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিরাপদ করেছি, থানায় পৌঁছানো নিরাপদ করেছি।
এরপরেও সমস্যা আছে, অনেক লোক শিক্ষকতায় ঢুকে পড়েছেন, তারা অপব্যবহার করেন।
পরীক্ষার বিষয়ে নাহিদ বলেন, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা হয়েছে। পা
পরীক্ষার বিষয়ে নাহিদ বলেন, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা হয়েছে। পা
সের সংখ্যা, হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা কমেছে।
আমরা কোনো কিছুই গোপন করি নাই বা কোনো কিছুই চাপা দেওয়ার চেষ্টা করি নাই বা পরিবর্তনের চেষ্ট করি নাই।
যা ফল তাই আমরা নিয়ে আসি, বেশি হলেও নিয়ে আসি, কম হলেও নিয়ে আসি।
আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সব ছেলে-মেয়েরাই যেন পাস করতে পারে এবং পাস করার যোগ্যতা নিয়েই সে লেখাপড়া শিখবে।
সব সূচকে এবার কেন অবনমন সেই জবাব না দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি এখন কোনো মূল্যায়নে যাচ্ছি না, বোর্ডগুলো নিজস্বভাবে মূল্যায়ন করবে, মন্ত্রণালয় তদারকি করবে বা আলাদা তদন্ত করবে। তখন সঠিক চিত্রটা জানা যাবে।
সার্বিকভাবে শিক্ষার গুণগত মান বেড়েছে দাবি করে নাহিদ বলেন, তবে যা হওয়া উচিত তার চেয়ে আমরা পিছনে আছি।
বাংলাদেশ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ইউনিটের সুপারিশ অনুসরণ করে গত তিন বছর থেকে আস্তে আস্তে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করার কথা জানিয়ে নাহিদ বলেছেন, ফলাফলে তার কিছুটা প্রভাব পড়েছে। গতবারের মত এবারও কেন কুমিল্লা বোর্ডে খারাপ ফল হয়েছে সেই প্রশ্নে নাহিদ বলেন, কুমিল্লা বোর্ড নিয়ে আরেকটু গভীরে যেতে হবে, এরপর আপনাদের জানাব।
যেসব বিদ্যালয়ে থেকে কেউ পাস করতে পারেনি ওইসব প্রতিষ্ঠান আদৌ রাখার দরকার নেই মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, এসব প্রতিষ্ঠান আমরা রাখতে চাই না, এগুলো অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মার্জ করতে চাই।
যেটুকু আমাদের ক্ষমতা আছে সেই অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, আমরা চাচ্ছি যে প্রশ্ন ছাপনোই হবে না।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, আমরা চাচ্ছি যে প্রশ্ন ছাপনোই হবে না।
এ রকম ব্যবস্থা যদি করা যায় প্রত্যেকের সামনে একটা মনিটর থাকবে সেখানে প্রশ্ন ব্যাংক থেকে প্রশ্ন দেওয়া হবে। কেউ ইচ্ছে করে কোনো প্রশ্ন দিতে পারবে না।
যিনি প্রশ্ন করবেন তিনিও জানবেন না প্রশ্ন কি আসছে।
সে পর্যায়ে যেতে হয়ত আমাদের অনেক সময় লাগবে।
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পাঁচটি কমিটি করার কথা জানিয়ে সচিব বলেন, ওইসব কমিটি কাজ করছে। এসময় কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এস এম ওয়াহিদুজ্জামান ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন