Recent post

শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪

কিছু মানুষের বন্ধুসংখ্যা খুবই কম। সেই সব মানুষ আসলে কেমন?

 

অনেকের অনেক বন্ধু থাকে। পার্টি, আড্ডা, গেট–টুগেদার ছাড়া তাঁদের চলেই না। 

কিছু মানুষের বন্ধুসংখ্যা আবার খুবই কম। 

সেই সব মানুষ আসলে কেমন? 

কমসংখ্যক বন্ধু থাকা মানুষের বৈশিষ্ট্য নিয়ে ব্রিটিশ জার্নাল অব সাইকোলজিতে প্রকাশিত হয়েছে একটি গবেষণাপত্র। সেখান থেকে চট করে জেনে নেওযা যাক এসব মানুষের বৈশিষ্ট্য।

১. আপনার কাছে বন্ধুত্ব মানে নির্ভরতা আর পরম আস্থা

বন্ধুসংখ্যা কমিয়ে খুবই অল্প কিছু মানুষের সঙ্গে জীবনের নানা অনুভূতি ভাগ করে নিতে চাওয়ার মানে হলো আপনি সংখ্যা নয়, মানের ওপর গুরুত্ব দেন। কোন সম্পর্কে বিনিয়োগ করতে হবে, আপনি তা জানেন। যে মানুষদের সঙ্গে আপনার বন্ধুত্ব গভীর, তাঁরা আপনার সত্যিকারের বন্ধু। তাঁদের সঙ্গে কোয়ালিটি সময় কাটানোর মধ্য দিয়ে সত্যিকারের বিশ্বস্ততা আর নির্ভরতার বন্ধন গড়ে ওঠে।


গবেষণায় দেখা গেছে, একজন মানুষ তাঁর সারা জীবনে আত্মীয়স্বজন, সঙ্গী, সন্তান, বন্ধুবান্ধব মিলিয়ে ১৫০ জনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালোভাবে চালিয়ে নিতে পারেন। এর মধ্যে জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে যুক্ত হওয়া গভীর বন্ধুর সংখ্যা ৫। আর সেসব বন্ধুত্বের গড় বয়স ২০ বছর। যাঁদের বন্ধুসংখ্যা কম, তাঁরা এই অল্প কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গেই তাঁদের লম্বা সময়ের সম্পর্ক বজায় রাখেন।  


 ২. আপনি নিজের সঙ্গে সময় কাটান

অল্প কিছু বন্ধু থাকার মানে আপনি নিজের সঙ্গে সময় কাটান বেশি। নিজের শক্তিশালী ও দুর্বল দিকগুলো ভালোভাবে জানেন। নিজের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক মজবুত হয়। নিজেকে শুধরে নিয়ে প্রতিনিয়ত নিজের সেরা ভার্সন হয়ে উঠতে আপনি আগ্রহী।


৩. আপনি সুখী

অনেক বন্ধু আপনাকে সুখী করতে পারবে না। আপনাকে সুখী করতে পারবেন কেবল আপনি। অল্পসংখ্যক বন্ধু থাকা মানে তাঁরা পরীক্ষিত বন্ধু। তাঁরা আপনার অসুখী হওয়ার কারণ হবেন না। বন্ধুত্বের মুখোশ পরা অনেকে আপনার অজান্তেই মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, হতাশা কেবল বাড়াচ্ছেন। গবেষণা বলছে, অল্প বন্ধু থাকলে সুখী হওয়া সহজ হয়। আর আপনার কাছে সবকিছুর ঊর্ধ্বে মানসিক শান্তি।

শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

100% tie-off enables active fall protection/prevention while moving on a rooftop.



 100% tie-off enables active fall protection/prevention while moving on a rooftop.


Fall-arrest and travel-restraint systems cannot prevent a fall if there is no secure anchor point or lifeline. 

Never deploy workers to work in areas where there are no or insufficient points to hook to. 


It is unsafe to send a worker to work at height with only a body harness and an unsecured lanyard. 

This is equivalent to providing the worker with no personal protection. 


Do not leave workers to figure out their own anchor points unless they have been specially trained on the proper selection of anchor points.

শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

Singapore Construction sector workers skin care products name



 Products for Face and Body Care (Available in Singapore)


Face Care


1. Sunscreen:


Neutrogena Ultra Sheer


La Roche-Posay Anthelios

(Available in Watsons, Guardian, or online stores like Lazada/Shopee)




2. Moisturizer:


Cetaphil Daily Hydrating Lotion


CeraVe Moisturizing Cream

(Available in Guardian, Watsons, or online)




3. Face Wash:


Simple Refreshing Face Wash


Neutrogena Deep Clean

(Available in supermarkets and pharmacies)






---


Body Care


1. Body Lotion:


Vaseline Intensive Care Aloe Soothe


Eucerin Advanced Repair Lotion

(Available in Watsons, Guardian, and major supermarkets)




2. Body Wash:


Dove Men+Care Body Wash


Nivea Moisturizing Body Wash

(Widely available in supermarkets and pharmacies)




3. Soothing Gel (After Work):


Aloe vera gel from Nature Republic or Banana Boat

(Available in Guardian, Watsons, or specialty skincare shops)


These products are common and widely available in Singapore's local pharmacies, supermarkets, and online platforms like Shopee, Lazada, and Amazon.sg.


শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

Free download Pushpa 2 movie

 CLICK THE LINK HERE TO DOWNLOAD FULL MOVIES.




Pushpa 2 hindi dubbed full movie free download 

Pushpa 2 full movie Telugu free download 

Review of Pushpa 2: The Rule

 



Review of Pushpa 2: The Rule


Pushpa 2: The Rule is an absolute blockbuster that takes the legacy of its predecessor to a whole new level. Sukumar has once again delivered a masterpiece, blending action, drama, and emotion in perfect harmony.


Allu Arjun's portrayal of Pushpa Raj is electrifying. His charisma and intensity keep you hooked from start to finish. The character's evolution, struggles, and triumphs are beautifully depicted, making him an even more iconic figure. Rashmika Mandanna shines as Srivalli, offering emotional depth and a strong presence in the story.


The storyline is gripping, packed with unexpected twists and power-packed sequences. The action choreography is a visual spectacle, and the cinematography by Mirosław Kuba Brożek is stunning, showcasing the rugged beauty of rural India while amplifying the gritty tone of the movie. Devi Sri Prasad's music elevates the experience, with pulsating tracks and a background score that keeps you on the edge of your seat.


What truly stands out is the way Pushpa 2 blends mass entertainment with meaningful storytelling. It delves deeper into themes of power, survival, and identity, making it more than just an action film.


Overall, Pushpa 2: The Rule is a cinematic gem that will thrill fans and newcomers alike. It’s an unmissable experience that sets a new benchmark for Indian cinema. Rating: 5/5


বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

শিশুদের পড়ায় মনোযোগ বাড়াতে নিম্নলিখিত বইগুলো সহায়ক হতে পারে।



 শিশুদের পড়ায় মনোযোগ বাড়াতে নিম্নলিখিত বইগুলো সহায়ক হতে পারে। এই বইগুলো শিক্ষামূলক, মনোযোগ বৃদ্ধিকারী এবং কল্পনাশক্তি উন্মেষে সহায়ক:

বাংলা বই

1. "গল্পের ঝুলি" - উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

2. "ঠাকুরমার ঝুলি" - দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার

3. "আম আঁটির ভেঁপু" - সুকুমার রায়

4. "ছোটদের শেখা শেখা" - মোহাম্মদ জাফর ইকবাল

5. "রোমেনা আফাজের দস্যু বনহুর সিরিজ" - রোমেনা আফাজ


বিজ্ঞান ও কল্পবিজ্ঞান:

1. "মহাকাশ রহস্য" - মুহম্মদ জাফর ইকবাল

2. "সাদা কালো" - আনিসুল হক

3. "Why? Series" - (বিজ্ঞানভিত্তিক প্রশ্নোত্তরের জন্য)


অনুপ্রেরণামূলক ও নৈতিক শিক্ষা:

1. "হাসিখুশি নীতিকথা" - আবু রুশদ

2. "Tenali Raman Stories" - (অনুপ্রেরণামূলক ও বুদ্ধির গল্প)

3. "Aesop's Fables" - (নীতিশিক্ষামূলক গল্পের সংকলন)


ইসলামিক আদব ও কায়দা:

1. "মুসলিম শিশুর আদব কায়দা" – ড. শামসুল হক

2. "শিশুদের নৈতিক শিক্ষা ও ইসলামী আদব" – মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ

3. "গোটা জীবনের জন্য আদব ও কায়দা" – ইবনে কাসির

4. "প্রিয় নবীর আদর্শ" – মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ

শিশুদের আদব-কায়দা, ভদ্রতা ও নম্রতা শেখানোর সেরা বাংলা বইয়ের তালিকা

 


শিশুদের আদব-কায়দা, ভদ্রতা ও নম্রতা শেখানোর সেরা বাংলা বইয়ের তালিকা


আজকের দিনে শিশুদের মধ্যে আদব-কায়দা, ভদ্রতা ও নম্রতা শেখানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক আচরণ এবং সামাজিক মূল্যবোধের চর্চা একটি শিশুর ভবিষ্যৎ ব্যক্তিত্ব গঠনে সহায়তা করে। এজন্য শিশুদের জন্য এমন কিছু বাংলা বই রয়েছে, যেগুলো মজার গল্পের মাধ্যমে নৈতিক শিক্ষা প্রদান করে। নিচে এমন কিছু বইয়ের তালিকা দেওয়া হলো যা শিশুদের শেখার প্রতি আগ্রহী করবে এবং তাদের সামাজিক দক্ষতা বাড়াবে।



১. ভদ্র ছেলেমেয়ের গল্প


লেখক: শিবরাম চক্রবর্তী

এটি এমন একটি বই যেখানে হাস্যরসের মধ্য দিয়ে শিশুদের ভদ্র ও শিষ্ট আচরণ শেখানো হয়েছে। প্রতিটি গল্পের মধ্যেই থাকে একটি নৈতিক বার্তা, যা শিশুদের সহজেই আকৃষ্ট করবে।


২. ছোটদের আদব কায়দা


লেখক: কাজী নজরুল ইসলাম

শিশুদের জন্য কবিতার ছন্দে লেখা এই বইটি আদব কায়দা শেখানোর জন্য একটি চমৎকার মাধ্যম। নজরুলের এই সৃজনশীল রচনা শিশুদের মনে আনন্দের সঙ্গে শেখার অভ্যাস গড়ে তোলে।


৩. আদব কায়দার গল্প


লেখক: মুহাম্মদ জাফর ইকবাল

প্রখ্যাত লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবালের লেখা এই বইটি শিশুদের জন্য উপযুক্ত। সহজ ভাষা এবং আকর্ষণীয় কাহিনী শিশুদের মনে সামাজিক আচরণের গুরুত্ব বুঝতে সহায়তা করবে।


৪. মনের মানুষ


লেখক: হুমায়ূন আহমেদ

শিশুদের মনস্তত্ত্ব এবং আচরণগত পরিবর্তন নিয়ে লেখা এই বইটি খুবই প্রাসঙ্গিক। এতে মানবিক গুণাবলী এবং ভদ্র আচরণ শেখানোর গল্প রয়েছে, যা শিশুদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে।



৫. ছোটদের জন্য নীতিকথা


লেখক: আবুল বাশার

বিভিন্ন নীতিকথা এবং শিক্ষামূলক গল্পের সংকলন এই বইটি শিশুদের নৈতিকতা শেখানোর একটি সুন্দর উপায়। প্রতিটি গল্পে নৈতিক বার্তা দেওয়া আছে যা শিশুদের সহজেই শেখার প্রতি অনুপ্রাণিত করবে।


৬. মুসলিম শিশুর আদব কায়দা


লেখক: ড. শামসুল হক

ইসলামী আদর্শ ও শিষ্টাচার শেখানোর জন্য এই বইটি অত্যন্ত কার্যকর। এতে প্রতিদিনের জীবনযাপনে ইসলামী আচরণবিধি এবং আদব-কায়দা শেখানো হয়েছে, যা শিশুদের নৈতিকতা বিকাশে সহায়তা করবে।


৭. শিশুদের নৈতিক শিক্ষা ও ইসলামী আদব


লেখক: মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ

ইসলামী মূল্যবোধের আলোকে শিশুরা কীভাবে ভদ্রতা এবং নম্রতা চর্চা করতে পারে, তারই সুন্দর ব্যাখ্যা রয়েছে এই বইটিতে। গল্পের মাধ্যমে আদর্শ চরিত্র গঠনের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।



৮. প্রিয় নবীর আদর্শ


লেখক: মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ

প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের গল্প ও শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের আচার-আচরণ শেখানো এই বইটির মূল উদ্দেশ্য। এটি শিশুদের অনুপ্রেরণা জোগাবে এবং তাদের মধ্যে নৈতিকতার বীজ বপন করবে।



উপসংহার

শিশুদের ভদ্রতা, নম্রতা এবং সামাজিক আচার-আচরণ শেখানোর জন্য এই বইগুলো অসাধারণ মাধ্যম হতে পারে। বই পড়ার মাধ্যমে শিশুদের শুধু জ্ঞান অর্জন নয়, বরং নৈতিক মূল্যবোধ এবং আচার-ব্যবহারেও পরিপূর্ণ করে তোলা সম্ভব। আপনার শিশুদের এই বইগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন এবং দেখুন কীভাবে তারা ধীরে ধীরে একজন আদর্শ মানুষে পরিণত হচ্ছে।


আপনার প্রিয় বইটি কোনটি? মন্তব্যে জানাতে ভুলবেন না!


Best English Books to Teach Children Manners, Politeness, and Respect

 


Best English Books to Teach Children Manners, Politeness, and Respect


In today’s fast-paced world, teaching children manners, politeness, and respect is more important than ever. Books can be a wonderful tool to instill these values in a fun and engaging way. Whether it's through relatable characters, humorous situations, or moral lessons, the right book can make a lasting impact. Here’s a list of some of the best English books that help children learn essential social skills while enjoying a good story.

1. How to Be Polite by Lucinda Gifford

This delightful book introduces children to the basics of politeness in a humorous and relatable way. The fun illustrations and simple language make it perfect for young readers to grasp the concept of good manners without feeling overwhelmed.


2. Manners Can Be Fun by Munro Leaf


Originally published in 1936, this timeless classic uses playful illustrations and witty commentary to teach children why manners matter. Munro Leaf’s straightforward approach makes learning manners both entertaining and memorable.


3. Do Unto Otters: A Book About Manners by Laurie Keller


This charming book uses a unique approach by teaching manners through animal characters. When Mr. Rabbit meets his new neighbors, the Otters, he learns the golden rule: treat others the way you want to be treated. It’s a delightful story that emphasizes empathy and kindness.



4. The Berenstain Bears Forget Their Manners by Stan and Jan Berenstain


Part of the beloved Berenstain Bears series, this book tackles the importance of manners in a family setting. With humor and warmth, the Bear family learns how to behave respectfully towards each other, making it a relatable read for children of all ages.


5. What If Everybody Did That? by Ellen Javernick


This thought-provoking book shows children the consequences of their actions, both good and bad. Through engaging illustrations and scenarios, it teaches the importance of personal responsibility and how one small act can have a big impact on the world around them.



6. Mind Your Manners by Nicola Edwards


Set in a whimsical jungle, this beautifully illustrated book is a gentle reminder that good behavior is essential for everyone, even animals. The fun rhymes and vibrant illustrations make it an enjoyable read while subtly teaching children about respect and kindness.



7. Excuse Me!: A Little Book of Manners by Karen Katz


Perfect for toddlers and preschoolers, this lift-the-flap book makes learning manners interactive and fun. Simple phrases like "please" and "thank you" are introduced in a way that young children can easily understand and remember.



8. Emily Post’s The Guide to Good Manners for Kids by Peggy Post and Cindy Post Senning


This book offers practical advice for older children, teaching them how to handle various social situations with grace. From dining etiquette to digital manners, this comprehensive guide is a great resource for developing lifelong social skills.


Conclusion


Teaching children good manners is about more than just saying “please” and “thank you.” It’s about nurturing empathy, respect, and kindness. These books make learning these essential values enjoyable and memorable. So, why not add a few of these titles to your child’s reading list? You’ll be surprised at how quickly they start applying these lessons in their everyday lives.


What’s your favorite book on teaching manners? Share your thoughts in the comments below!


শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

ঘুমানোর সময় মোবাইল রাখার সঠিক স্থান

 


সময়ের সঙ্গে মোবাইল আমাদের জীবনে অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস হয়ে উঠেছে। এমন একটা অবস্থা দাঁড়িয়েছে মোবাইল ছাড়া যেন এক মুহূর্তে চলা দায়। মোবাইল ফোনের যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমনি এর অপকারিতাও রয়েছে।

অনেকেই ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন বন্ধ করেন না। অ্যালার্ম দিয়ে ফোনকে বালিশের নিচে বাঁ পাশে রাখার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। অনেকেই আবার ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোনটি সঙ্গী করে ঘুমান। তবে আমাদের এই অভ্যাসটি শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। আসুন জেনে নিই।

ফোন দূরে রাখুন

রাতে ঘুমানোর সময় ফোনটি সঙ্গে না রেখে দূরে রাখুন। আপনার ফোন রাখার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ রাখুন। হাতের কাছে ফোন থাকলে তা বারবার ব্যবহার করার আগ্রহ বাড়বে।

ফোন বালিশের নিচে রাখবেন না

বালিশের পাশে বা নিচে পড়ে থাকা ফোনটিতে কল এলে আচমকা ঘুম ভেঙে যায়। মোবাইল ফোন কখনোই বালিশের পাশে রেখে ঘুমাবেন না। ঘুমানোর সময় কিছুটা দূরে সরিয়ে রাখলে ঘুম ভালো হয়।

ফেসবুক, মেইল বন্ধ রাখুন

ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার ফোনের ফেসবুক, মেইল বন্ধ রাখতে হবে। অনেকেই ফেসবুক চালাতে চালাতে ফোন চালু রেখেই ঘুমিয়ে যান। আবার অনেকেই ঘুমানোর আগে দীর্ঘ সময় মেইল ব্যবহার করেন বা গেম খেলেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের অভ্যাস ঘুমানোর জন্য মোটেও ভালো নয়। এতে মানসিক চাপ বাড়তে থাকে।

ফোনের স্ক্রিনের আলো চোখের রেটিনার ক্ষতি করে

রাতের অন্ধকারে ফোনের স্ক্রিনের আলো মানুষের চোখের রেটিনার পক্ষে ক্ষতিকারক। এ আলোই আমাদের মস্তিষ্ককে জানান দেয় ফোন অথবা মেসেজ আসার প্রাথমিক খবর। এই আলো তন্দ্রার জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনকে নিঃসরণ হতে বাধা দেয়।


ডায়াবেটিস ক্যানসার প্রতিরোধ সবজি

 



সুস্থ থাকতে আমরা কত কিছুই না করি। তবে আমরা অনেকেই জানি না এমন কিছু খাবার আছে যা খেলে অনেক রোগ বালাই থেকে মুক্তি মিলবে।


ডায়াবেটিস একটি কষ্টকর রোগ। এই রোগে ভুগলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ না করলেই বিপদ। নানা জটিল রোগে ভুগতে হয় এর জন্য। অন্যদিকে বর্তমানে ক্যানসার এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ছে। চিকিৎসকদের মতে এই সব সমস্যার সমাধান হতে পারে মাত্র একটি সবজি। আর সেটা হলো বেগুন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এক প্রতিবেদনে চিকিৎসক এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।


সুগার নিয়ন্ত্রণে


ডায়াবেটিস থেকে চোখ, কিডনি এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সচেতন হতে হয়। মিষ্টি এবং চিনি সমৃদ্ধ পানীয় বাদ দিন খাদ্যতালিকা থেকে আর যুক্ত করুন বেগুনের মত উপকারী সবজিকে। আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে কীভাবে বেগুন সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।


বেগুনে আছে প্রচুর ফাইবার, যা খাবার হজমে সাহায্য করে। এমনকি বেগুন খাবারে উপস্থিত গ্লুকোজকে রক্তে দ্রুত গতিতে মিশে যেতে দেয় না। যার ফলে সুগার বাড়ার আশঙ্কা কমে। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে একাধিক জরুরি পলিফেনলস। আর এই উপাদান ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ কিছুটা হলেও বাড়াতে পারে। সেই কারণেও সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবিটিসে ভুগলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বেগুন রাখতে বলেন চিকিৎসকরা। তবে শুধু সুগার নিয়ন্ত্রণ নয়, এর পাশাপাশি আরো একাধিক উপকার করে এই সবজি। ক্যানসার নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে এটি।


ক্যানসার


জীবনযাত্রার ধরণ পরিবর্তনের কারণে ক্যানসাড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর এই রোগের চিকিৎসাও জটিল। তাই ক্যানসার প্রতিরোধে বেগুনের প্রতি আস্থা রাখতে পারেন। কারণ, এই সবজি হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। তাই বেগুন খেলে শরীরের প্রদাহ কমে। সেই সঙ্গে একাধিক উপকারও পাওয়া যায়। এইসব কারণে খাদ্যতালিকায় বেগুন রাখুন।


হার্ট ভালো রাখে: কোলেস্টেরল লেভেল নিয়ে ভাবছেন। যদি আপনার কোলেস্টেরল লেভেল থাকে তাহলে নিয়মিত বেগুন খান। কারণ, এই সবজিতে উপস্থিত ফাইবার এবং অন্যান্য উপাদান এলডিএল কোলেস্টেরল লেভেল কমাতে সাহায্য করে। এবং শরীরের জন্য ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বাড়ায়। তাই এই রোগে ভুক্তভোগীরা চেষ্টা করুন রোজ অবশ্যই বেগুন খান। তাতেই হার্টের অসুখের থেকে দূরে থাকতে পারবেন।


ওজন নিয়ন্ত্রণ


শরীরে মেদ বাড়লেই নানা রোগ হয়। অতিরিক্ত ওজন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক থেকে শুরু করে একাধিক জটিল রোগের আশঙ্কা বাড়ে। তাই ঝটপট ওজন কমাতে হবে। আর এ জন্য বেগুন দারুণ উপকারী। এতে উপস্থিত ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। যার ফলে ক্ষুধা কম লাগে। এ কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।

সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪

কিডনি ভাল রাখতে কি খাবেন

কিডনি স্বাস্থ্যের জন্য খাবার
1. ফল এবং সবজি:
বেরি (ব্লু বেরি, স্ট্রবেরি): অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ।

ক্যাবেজ: পটাসিয়ামে কম এবং ভিটামিনে উচ্চ।

ফুলকপি: ভিটামিন সি এবং ফাইবারের ভালো উৎস।

স্পিনাচ: ভিটামিন এ, সি এবং কে সমৃদ্ধ।

আপেল: ফাইবারে উচ্চ এবং হৃদয়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।



2. পূর্ণ শস্য:

কিনোয়া: প্রোটিনে সমৃদ্ধ এবং গ্লুটেন মুক্ত।

বাদামী চাল: সাদা চালের চেয়ে স্বাস্থ্যকর বিকল্প।

ওটস: দ্রবণীয় ফাইবারের ভালো উৎস।



3. লীন প্রোটিন:

মাছ (বিশেষত চর্বিযুক্ত মাছ যেমন স্যালমন): ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ।

মুরগি বা টার্কি: লীন প্রোটিনের উৎস।

ডাল (বিন, মটর ডাল): ভালো উদ্ভিজ্জ প্রোটিন বিকল্প।



4. স্বাস্থ্যকর চর্বি:

জলপাই তেল: মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটে সমৃদ্ধ।

এভোকাডো: স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ফাইবারের ভালো উৎস।



5. কম-সোডিয়াম খাবার:

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে লবণের গ্রহণ কমিয়ে দিন।




যে খাবারগুলি সীমিত বা এড়ানো উচিত

পটাসিয়ামে উচ্চ খাবার: কলা, কমলা, আলু, এবং স্পিনাচ (যদি পটাসিয়াম স্তরের বিষয়ে উদ্বেগ থাকে)।

প্রসেসড খাবার: সোডিয়ামে এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বিতে উচ্চ।

লাল মাংস: গ্রহণ সীমিত করুন, কারণ এটি কিডনির উপর চাপ ফেলতে পারে।


সাপ্লিমেন্টস

1. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: প্রদাহ কমাতে এবং কিডনি ফাংশন উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।


2. ভিটামিন ডি: সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং কিডনি ফাংশনকে সমর্থন করতে পারে।


3. কোএনজাইম কিউ10: কিডনি ফাংশন উন্নত করতে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করতে পারে।


4. প্রোবায়োটিকস: অন্ত্রের স্বাস্থ্যের সমর্থন করতে পারে এবং কিডনি ফাংশনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।



জলপান

জল: কিডনি ফাংশনের জন্য হাইড্রেটেড থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যথাযথ জল গ্রহণের লক্ষ্যে, তবে তরলের ধারণার উদ্বেগ থাকলে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করুন।


স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করুন

গুরুতর খাদ্য পরিবর্তন বা নতুন সাপ্লিমেন্ট শুরু করার আগে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী বা পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত যদি পূর্ববর্তী কিডনি সমস্যা বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে। তারা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য চাহিদার ভিত্তিতে সুপারিশ করতে পারবেন।

রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪

বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সিঙ্গাপুরে কম খরচে ডেন্টাল চিকিৎসা"



হেলথসার্ভ ডেন্টাল সেবা: 
সিঙ্গাপুরে অভিবাসী শ্রমিকদেরহেলথসার্ভ একটি অলাভজনক সংস্থা, যা সিঙ্গাপুরে অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহ করে, যার মধ্যে রয়েছে ডেন্টাল কেয়ার। বাংলাদেশ, ভারত, এবং চীন থেকে আসা শ্রমিকদের জন্য এই সংস্থাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে, হেলথসার্ভ মূলত এই শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা এবং সামাজিক সহায়তা প্রদান করে আসছে।



অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য ডেন্টাল কেয়ার

হেলথসার্ভের ডেন্টাল সেবা অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য মৌলিক দাঁতের যত্ন নিশ্চিত করে। এটি বিশেষত তাদের জন্য প্রয়োজনীয়, যাদের উচ্চ ব্যয় বা সঠিক সুযোগের অভাবে দাঁতের চিকিৎসা করানো সম্ভব হয় না। প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত দাঁতের পরীক্ষা, দাঁত তুলে ফেলা, ফিলিং, এবং জরুরি চিকিৎসার মতো সেবা প্রদান করে। অনেক ক্ষেত্রে এই সেবাগুলো ভর্তুকি সহ কম মূল্যে, এমনকি বিনামূল্যেও দেওয়া হয়।




সুবিধাজনক লোকেশন
হেলথসার্ভের ক্লিনিকগুলো সিঙ্গাপুরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে, যেমন গেলাং এবং মান্দাইতে অবস্থিত, যেখানে অভিবাসী শ্রমিকরা বেশি থাকে। নির্দিষ্ট দিনে ডেন্টাল পরামর্শ গ্রহণ করা সম্ভব এবং চাহিদা অনুযায়ী আগাম অ্যাপয়েন্টমেন্ট করা যায়।




সহযোগিতা এবং সমর্থন

হেলথসার্ভ স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী, এনজিও এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে কাজ করে, যা এর সেবার প্রসার ঘটায়। দাতাগণ ও কর্পোরেট স্পনসরদের সহায়তায় সংস্থাটি অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দাঁতের যত্ন পরিষেবা চালিয়ে যেতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যেই সাহায্য প্রদান করে।



কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ

অভিবাসী শ্রমিকদের অনেক সময় ব্যক্তিগত ক্লিনিকের উচ্চ চিকিৎসা খরচের কারণে দাঁতের চিকিৎসা করানোর সুযোগ থাকে না। হেলথসার্ভ সাশ্রয়ী মূল্যের, উচ্চমানের দাঁতের যত্ন প্রদান করে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং তাদের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

হেলথসার্ভ সম্পর্কে আরও জানতে, তাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।



বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪

Creating a professional banner for a safety coordinator profile can effectively convey your expertise and commitment to safety. Here are some design ideas you might consider:

 


Creating a professional banner for a safety coordinator profile can effectively convey your expertise and commitment to safety. Here are some design ideas you might consider:


Banner Design Ideas

1. Clean and Professional Layout:


Background Color: Soft blue or green (colors associated with safety).

Header: "Safety Coordinator" in bold, large font.

Subheader: Your name and any relevant certifications (e.g., OSHA certified).

Icons: Include safety icons (hard hat, safety goggles, etc.) subtly in the corners.

2. Inspirational Quote:


Background: Image of a workplace or safety scene.

Quote: “Safety is not just a priority; it’s a value.”

Your Name and Title: Prominently displayed beneath the quote.

3. Skills Highlight:


Background: Split design with one side featuring a safety-related image (e.g., construction site, office safety).

Text: List key skills (Risk Assessment, Training, Compliance) in bullet points.

Footer: Your contact information or LinkedIn profile link.

4. Infographic Style:


Background: Light color with a gradient.

Sections: Divide the banner into sections for your experience, certifications, and achievements.

Visuals: Use charts or icons to represent your skills and experience visually.

Tips for Creating the Banner

Font: Use clear, professional fonts. Avoid overly decorative styles.

Images: Use high-quality images that relate to safety.

Size: Ensure it fits well for the platform where it will be displayed (e.g., LinkedIn, professional website).

Branding: If applicable, include your organization’s logo.

You can use design tools like Canva, Adobe Spark, or even PowerPoint to create the banner. If you need more specific advice or help with content, let me know!

বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (১২ রবিউল আউয়াল) সোমবার পালিত হবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.)

 দেশের আকাশে বুধবার সন্ধ্যায় রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এজন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। 

আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর (১২ রবিউল আউয়াল) সোমবার পালিত হবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.)। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।

সভায় সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৬ হিজরির রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পাওয়া গেছে। 

এজন্য বৃহস্পতিবার থেকে রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর (১২ রবিউল আউয়াল) দেশে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) পালিত হবে।

শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৪

প্রেম জ্বালায় অঙ্গ জ্বলে সখি কি দিয়ে জুড়াই লিরিক্স




প্রেম জ্বালায় অঙ্গ জ্বলে সখি কি দিয়ে জুড়াই।


পিরিত করিয়া, সে গেল ছাড়িয়া,
তার সঙ্গে দেখা শুনা নাই।
আমার গেল কুল মান, বাকি মাত্র আছে প্রাণ
তার আশায় জীবন কাটাই ।।

আশায় বান্ধিয়া বুক, দেখিতে বন্ধুর মুখ,
সর্ব দুঃখ পশরিয়ে যাই ।
দিবা নিশি ভাবি তারে, সে’ত ভাবেনা আমারে
বুঝি বন্ধুর দয়া মায়া নাই ।।


বন্ধু কি মোহিনী জানে, পরাণ ধরিয়ে টানে,
নয়নের ভঙ্গিমা দেখাই।
আমি যার জন্য সর্বত্যাগী, সেই করে দোষের ভাগী,
মুই অভাগির হবে কি উপায় ।।


নরূপে রূপ ধরি, আমারে পাগল করি,
এখন কোথায় রয়েছে লুকাই ।
রমেশ বলে ফল হবে, কলবেতে তলবে,
ধরা দিবে নাগর কানাই ।।

রচয়িতাঃ কবিয়াল রমেশ শীল


বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪

তথ্য দিন বন্যা কবলিত অঞ্চল থেকে বিনা খরচে উদ্ধার করতে প্রস্তুত প্রবাসীর হেলিকপ্টার।

ঘোষণা:

সম্পূর্ণ বিনা খরচে উদ্ধার করতে প্রস্তুত প্রবাসীর হেলিকপ্টার। ইতিমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। শুধুমাত্র আবহাওয়া পরিস্থিতি একটু উন্নতি হলেই আমরা ফেনীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবো। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন:

১, যেই ছাদে কোনো তার অথবা গাছপালা নেই, হেলিকপ্টার অবতরণ করতে পারে এমন ভবনের গুগল লোকেশন দিন।

২, ছাদের ছবি ও ভিডিও দিন।

৩, ওই ভবনে কতজন আটকা আছেন, সেই তালিকা দিন। (কতজন পুরুষ, কতজন মহিলা এবং কতজন শিশু বিস্তারিত তথ্য দিন)

৪, আটকেপড়াদের মধ্যে মোবাইল বুঝেন এবং দায়িত্ববান এমন কেউ থাকলে তার নাম্বার দিন।

৫, ছাদে কোনো লাল কাপড় টানিয়ে দিন। (যাতে আমরা উপর থেকে দেখে বুঝতে পারি)




নোট: যেহেতু এই জরুরী মুহূর্তে নিরাপত্তার জন্য কোনো পুলিশ বা আমাদের প্রটোকল টিম হেলিকপ্টার অবতরণ স্থানে পাঠানো সম্ভব না, তাই এখন আপনাদের থেকেই আমরা দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করছি। কোনো ভাবেই নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা যাবেনা। তাহলে আপনার একার কারণে আমাদের উদ্ধার অভিযান বন্ধ হয়ে যাবে। আশাকরি আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন।




শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপে উপরের তথ্য দিন। এছাড়া কেউ অহেতুক কল দিবেন না এই মুহূর্তে প্লিজ:

প্রবাসীর হেলিকপ্টার লিমিটেড

+8801849920409

+8801797577533




আল্লাহ সবাইকে নিরাপদ রাখুক। আমিন



শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৪

লুৎফুজ্জামান বাবর পরিচিতি | বর্তমানে আবারো আলোচিত ব্যাক্তি বাবর কে?

 


লুৎফুজ্জামান বাবর (জন্ম: ১০ অক্টোবর ১৯৫৮) একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ। তিনি নেত্রকোণা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

নেত্রকোণা-৪ আসনের সংসদ সদস্য

রাজনৈতিক দল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল

দাম্পত্য সঙ্গী
তাহমিনা জামান শ্রাবণী

সন্তান
লাবিব ইবনে জামান (ছেলে)
তাসফিয়া বিনতে জামান (মেয়ে)

পিতামাতা
এ কে লুৎফর রহমান (পিতা)
জোবায়দা রহমান (মাতা)


রাজনৈতিক জীবন
লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৬][১]

এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১][৭][৮]

অষ্টম সংসদে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২]

১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে নির্বাচনে লড়ে তিনি পরাজিত হন।[১]

বিতর্ক
লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৮০'র দশকে ঢাকা বিমানবন্দর-কেন্দ্রীক ব্যবসা শুরু করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি ১৯৮০ সালে প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মেয়াদ চলাকালে ক্যাসিও ব্র্যান্ডের ঘড়ি পাচার করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার ঘনিষ্ঠদের দাবী-তিনি কখনোই বিমানবন্দর কেন্দ্রীক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।[৩][৯]

২১ আগস্ট ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা মামলায় ১৮ মার্চ ২০১২ সালে তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবর সহ নতুন তালিকাভুক্ত ৩০ আসামির নাম যুক্ত হয়। ১ অক্টোবর ২০১৮ সালে এই মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।[৩][১০][১১]

২০০৪ সালে ধরা পড়া ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান মামলায় ৩ অক্টোবর ২০১০ সালে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় শ্যেন অ্যরেস্ট দেখানো হয় বাবরকে। এই মামলায়ও তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।[৫][১০][১১]

সোর্সঃ 
https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A7%8E%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8_%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B0



বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৪

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস

 



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পড়তে পারেন বই গুলো 

(বই গুলো লিংক সংগ্রহীত)  Thedaily71 এর স্বাধীকার রাখে না। 


1. যা দেখেছি যা শুনেছি যা করেছি- কর্নেল (অবঃ) শরিফুল হক ডালিম


https://drive.google.com/file/d/1bbzUoEjJNZt1Dly16LDw9PYP8fL_nS9w/view?usp=drive_link


2. মূলধারা '৭১- মঈদুল হাসান 


https://drive.google.com/file/d/1bmyWovksF32yCtkrt6sFTr25lMC_VYv2/view?usp=drive_link


3. A Legacy of Blood- Anthony Mascarenhas


https://drive.google.com/file/d/1cyPQ970VadS_X_iwYmCgZkZN3aQqKFCT/view?usp=drive_link


4. আমার ফাসি চাই- মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ুর রহমান রেন্টু


https://drive.google.com/file/d/17xSKtHflknwuMjQIlZ8wOHjipO3dPPUT/view?usp=drive_link


5. দ্যা রেইপ অব বাংলাদেশ- Anthony Mascarenhas


https://drive.google.com/file/d/1beDt9wXLHusASVxrDNGHpEbMl8KJkr3W/view?usp=drive_link


6. ১৯৭১-ভেতরে বাইরে- এ কে খন্দকার


https://drive.google.com/file/d/1c7W0nJ7fWsg8yT2FTq7BU7ydLDD7vT74/view?usp=drive_link


7. A Stranger in My Own Country- Major General Khadim Hussain Raja


https://drive.google.com/file/d/1dMJj25TRG60VS-gabjfHkGAqD6qak4Z5/view?usp=drive_link


8. Surrender at Dacca - Birth of a Nation- JFR. Jacob


https://drive.google.com/file/d/1ccRtK4CmteTX4tFJKAGPsvEQsXMlFyDF/view?usp=drive_link


9. দ্য বিট্রেয়াল অব ইস্ট পাকিস্তান- লে. জে. এ. এ. কে. নিয়াজি


https://drive.google.com/file/d/1ct724Qxp-GeQEUhGUBkJbIwktfBTtHyR/view?usp=drive_link


10. The Black Coat- Neamat Imam


https://drive.google.com/file/d/1dh2C07k1dW8wlfYEDe3Z_1uhsBz7xMAy/view?usp=drive_link


11. আমার দেখা রাজনীতির ৫০ বছর- আবুল মনসুর আহমদ


https://drive.google.com/file/d/1RxJ7FVu0bhuO-zjHbZO7fWlxz1hR7s_7/view?usp=drive_link


12. আমি মেজর ডালিম বলছি


https://drive.google.com/file/d/1dln3v5WCQW3n2BQK2VSjOL5co8Mcd4lj/view?usp=drive_link


13. এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য- মেজর জে. মইনুল হোসেন (বীরবিক্রম)


https://drive.google.com/file/d/1cvgw8fawl3aZTJDwuF4X1jLxhYSelGou/view?usp=drive_link


14. গঙ্গাঋদ্ধি থেকে বাংলাদেশ- মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান 


https://drive.google.com/file/d/1c9AP-g_uzSevVDCLoLI0w4tUTkuplNHx/view?usp=drive_link


15. জাসদের উথান পতনঃ অস্থির সময়ের রাজনীতি- মহিউদ্দিন আহমদ


https://drive.google.com/file/d/1bgqRpy0RTwDXm2FbFGdzlsIubO496Zba/view?usp=drive_link


16. তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা- লে. কর্ণেল এম. এ. হামিদ 


https://drive.google.com/file/d/1bb8_IufezLHk7sild-BflXhRFQku5ZJx/view?usp=drive_link


17. তাজউদ্দিন আহমেদ নেতা ও পিতা- শারমিন আহমদ


https://drive.google.com/file/d/1bhNhlEgxCcvLeJRIan3LLXbWGRvcyXDu/view?usp=drive_link


18. দেয়াল- হুমায়ুন আহমেদ


https://drive.google.com/file/d/1dfmumfCjbgYLWt9z0jkDTLON_nvb5o5u/view?usp=drive_link


19. বলেছি বলছি বলবো- শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন


https://drive.google.com/file/d/1ckNXJy_0eSrgFomY3sW6F2OUNRBd-wZi/view?usp=drive_link


20. মার্কিন দলিলে মুজিব হত্যাকান্ড- মিজানুর রহমান খান


https://drive.google.com/file/d/1cZ36_biNWwQwtlB1f3AzoAToAFZ00wlr/view?usp=drive_link


21. ক্রাচের কর্নেল- শাহাদুজ্জামান


https://drive.google.com/file/d/1nM6XzFUbQa9paQ5Fs18HNMBn7k2D6ldr/view?usp=drive_link


22. জোছনা ও জননীর গল্প - হুমায়ূন আহমেদ


https://drive.google.com/file/d/1M4GVzNIzTHU3KyLFW-Yd3pXDNsRUEjlG/view?usp=drive_link


23. রাইফেল, রোটি, আওরাত- আনোয়ার পাশা


https://drive.google.com/file/d/1tKJ0PTktvl08j9LEjKqtdm_PgsNTakBm/view?usp=drive_link


24. লাল সন্ত্রাস- মহিউদ্দিন আহমদ


https://drive.google.com/file/d/1czuobVyrOj-BO3RsBDoxT2c6iqyql0dY/view?usp=drive_link


25. স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ- পিনাকি ভট্টাচার্য


https://drive.google.com/file/d/1dj48u1-aLoi8R6aopGmRhEHW9ls3MnLx/view?usp=drive_link


26.আত্মসমর্পণের সাক্ষী (উইটনেস টু সারেন্ডার)- সিদ্দিক সালিক


https://drive.google.com/file/d/1yn9hh2MC_caryl_41T-2fGKmMrveqCKY/view?usp=drive_linkn


রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০২৪

অসহযোগ আন্দোলনের দিনভর সংঘর্ষে সারাদেশে নিহত ৯৮


সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাপক সংঘর্ষ ও হানাহানির ঘটনা ঘটছে। গতকাল রোববার এই কর্মসূচির প্রথম দিনে সরকার-সমর্থক নেতা-কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে রাজধানী ঢাকাসহ ২০টি জেলা-মহানগরে ৯৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় সন্ত্রাসী হামলায় পুলিশের ১৩ সদস্য এবং কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জে পৃথক হামলায় হাইওয়ে থানার এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।

ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা শহরের চিত্রও ছিল অনেকটা একই। গত রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষে সিরাজগঞ্জে পুলিশের ১৩ সদস্যসহ ২২ জন, রাজধানীতে ১১, ফেনীতে ৮, লক্ষ্মীপুরে ৮, নরসিংদীতে ৬, সিলেটে ৫, কিশোরগঞ্জে ৫, বগুড়ায় ৫, মাগুরায় ৪, রংপুরে ৪, পাবনায় ৩, মুন্সিগঞ্জে ৩, কুমিল্লায় পুলিশের সদস্যসহ ৩, শেরপুরে ২, জয়পুরহাটে ২, ভোলায় ১, হবিগঞ্জে ১, ঢাকার কেরানীগঞ্জে ১, সাভারে ১, বরিশালে ১ জন, কক্সবাজারে ১, গাজীপুরের শ্রীপুরে ১ জনসহ ৯৮ জন নিহত হয়েছেন।

নরসিংদীর মাধবদীতে আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি ছোড়ার পর ধাওয়া দিয়ে আওয়ামী লীগের ছয় নেতা-কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। ফেনীতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে আটজনের মৃত্যু হয়। মাগুরায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানসহ দুজন নিহত হন।


নিহত ৯৮ জনের মধ্যে বিস্তারিত নাম-পরিচয় জানা গেছে ৪৩ জনের। তাঁদের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ জন, পুলিশের ১৪ জন, শিক্ষার্থী ৯ জন, সাংবাদিক ১ জন ও বিএনপির ১ জন আছেন। কয়েকজনের নাম ও পরিচয় জানা গেলেও পেশা বা রাজনৈতিক পরিচয় জানা যায়নি।

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাপক সংঘর্ষ ও হানাহানির ঘটনা ঘটছে। গতকাল রোববার এই কর্মসূচির প্রথম দিনে সরকার-সমর্থক নেতা-কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে রাজধানী ঢাকাসহ ২০টি জেলা-মহানগরে ৯৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় সন্ত্রাসী হামলায় পুলিশের ১৩ সদস্য এবং কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জে পৃথক হামলায় হাইওয়ে থানার এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।

জনপ্রতিনিধিদের বাসা ও সরকারি স্থাপনায় হামলা

শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি ঘিরে দেশের অন্তত ৩৮টি জেলায় জনপ্রতিনিধিদের বাসাবাড়ি, আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও থানাসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে কমপক্ষে ১৩টি স্থানে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাদের বাসভবন ও নিজস্ব কার্যালয় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। চাঁদপুর শহরের জে এম সেনগুপ্ত রোডে সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনির বাসায়, বরিশালে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের বাসা, দিনাজপুরে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের বাসভবনে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।


রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁওসহ ১৫টি থানা, ১টি রেঞ্জ কার্যালয়, ৪টি জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং ২টি পুলিশ ফাঁড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে বলে পুলিশ সদর দপ্তরের আরেকটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় জানানো হয়েছে। এসব ঘটনায় পুলিশের তিন শতাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। অপর দিকে বিজিবি সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, গতকালের সংঘাত-সংঘর্ষে বিজিবির অন্তত ৫৭ সদস্য আহত হয়েছেন।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি দিয়েছে। এতে সারা দেশ থেকে বিক্ষোভকারীদের ঢাকায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।


সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই শিক্ষার্থীদের লাগাতার এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে প্রায় সারা দেশে। এর পরদিন থেকে এই আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, সংঘর্ষ, সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। মাঝে কয়েক দিন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল।


একপর্যায়ে গত শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার এক জমায়েত থেকে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে গতকাল শুরু হয়েছে তাঁদের সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন। গতকালের আগপর্যন্ত এ আন্দোলন ঘিরে ২১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৩০ দৈনিক ইত্তেফাক

হামলা-সহিংসতায় এখন পর্যন্ত নিহত ২৩

 


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফার কর্মসূচি ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক সংঘর্ষ ও সহিংসতা হয়েছে। রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় ২৩ জনের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত হওয়া গেছে।


এরমধ্যে ফেনীতেই মারা গেছেন পাঁচজন। তিনজন করে নিহত হয়েছেন কিশোরগঞ্জ, মাগুরা ও ফেনীতে। দু’জন করে প্রাণ হারিয়েছে মুন্সিগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর ও পাবনায়। এছাড়া সিরাজগঞ্জ, কুমিল্লার দেবিদ্বার, জয়পুরহাট ও বরিশালে নিহত হয়েছেন একজন করে। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালের দায়িত্বরতদের সূত্রে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। পাবনা ও বগুড়ায় নিহতরা গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ।


মাগুরায় ছাত্রদল নেতাসহ ‍নিহত তিন:

সকাল থেকেই উত্তপ্ত মাগুরা। দফায় দফায় আন্দোলনকারীদের সাথে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিতে মেহেদী হাসান রাব্বি নামে একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও পুলিশ সাংবাদিকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। নিহত রাব্বি মাগুরা জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি বলে কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আন্দোলনকারীরা রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় পারনান্দুয়ালী এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার ভায়নার মোড়ে অবস্থান নেয়। অভিযোগ, এ সময় তাদের বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে গুলিতে রাব্বি নিহত হন। এছাড়াও, সংঘর্ষে সুমন শেখ, ফরহাদ নামের ২ যুবক মারা গেছেন বলেও নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা।

মুন্সিগঞ্জে যা হলো:

সকালে মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময়, একইস্থানে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দেখা দেয় উত্তেজনা। দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।

একপর্যায়ে সংঘর্ষে দু’জন মারা যান। তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরে টিয়ারশেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পাবনায় গুলিতে দু’জনের মৃত্যু:

সহিংসতায় পাবনাতেও মারা গেছেন দু’জন। জেলা শহরের চাতিকমোড় এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করে। এ সময় বিরোধী পক্ষের সাথে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। একপর্যায়ে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। এতে আহত হয় অন্তত ৩০ জন। আর মারা যায় দু’জন। প্রাণহানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক এসএম রুমি।


বগুড়ায় যেভাবে নিহত হয় দু’জন:

বগুড়া সদর ও দুপচাঁচিয়া উপজেলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, পুলিশের গুলিতেই তারা নিহত হয়েছেন। দুজনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা এক দফা দাবির আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন।


জানা যায়, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়ার সদরের বড়গোলা এলাকায় বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশের গুলিতে আহত হয় আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক যুবক। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।


দুপচাঁচিয়া উপজেলায় মনিরুল ইসলাম নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। দুপুর ১২টার দিকে মারা যান। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার সিভিল সার্জন শফিউল আজম। এছাড়া, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ আহত হয়ে ১১ জন ভর্তি রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে ২০ থেকে ২৫ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।


সিরাজগঞ্জে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ:

সিরাজগঞ্জেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। অভিযোগ, এ সময় এক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। প্রাথমিকভাবে তার নাম আবদুল লতিফ বলে জানা গেছে। তার বাড়ি শহরের গয়লা এলাকায়।


রোববার বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। জানা গেছে, দু’পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের সময় লতিফ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে পড়ে যান। তখন ক্ষিপ্ত কর্মীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।


/এনকে

শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪

কুমিল্লায় যুবলীগের হামলায় পাঁচ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ

 কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে যুবলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ২৭ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সোয়া একটার দিকে কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আজ বেলা ১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনায় উপজেলা সহকারী কমিশনারের (এসি ল্যান্ড) গাড়িতে আগুন দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।


প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তাঁদের ৯ দফা দাবিতে কুমিল্লা জিলা স্কুলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ফৌজদারি হয়ে পুলিশ লাইনসের দিকে যাচ্ছিলেন। মিছিলটি রেসকোর্স এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা–কর্মীরা ধাওয়া দেন। এ সময় অন্তত ৩০টি গুলি করা হয়। এতে ছয়জন গুলিবিদ্ধ এবং ২০ জন আহত হন। এই সময় গুলিবিদ্ধ পাঁচ শিক্ষার্থীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান আন্দোলনকারীরা।

এই বিষয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, হাসপাতালে পাঁচজনকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা তাঁদের চিকিৎসা দিচ্ছি। তাঁরা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক জান্নাতুল ইভা বলেন, ‘আমাদের অনেকে আহত হয়েছে শুনেছি। আমরা হামলার নিন্দা জানাচ্ছি।’

এসি ল্যান্ডের গাড়িতে আগুন

চান্দিনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৌম্য সরকার জানান, ‘ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনায় আমরা শিক্ষার্থীদের শান্ত করে ফিরিয়ে দিচ্ছিলাম। এ সময় ইউএনও এবং আমি গাড়িতে ছিলাম। হঠাৎ করে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা আমার গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। এ সময় আমরা গাড়ি থেকে বের হয়ে যাই।’

সূত্র : খোলা কাগজ  ৪:০১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৩, ২০২৪


গণভবনের দরজা খোলা । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসতে চাই

গণভবনের দরজা খোলা। কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমি বসতে চাই। তাদের কথা শুনতে চাই। আমি সংঘাত চাই না বলে জানিয়েছন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৩ আগস্ট) গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।


এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রস্তাবিত পেনশন ব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা করেন সরকারপ্রধান।


এর আগে শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে গণভবনে এক জরুরি বৈঠক ডেকে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে দলীয় তিন নেতাকে দায়িত্ব দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

একই সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন নেতার একটি টিম করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার দায়িত্ব দেন। এই টিমে ১৪ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাদের যুক্ত করারও নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।


বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি যত্নবান ও সহনশীল থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। 

শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪

অনুষ্ঠান শেষে দীপ্তি চৌধুরীকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ভিডিউটি দেখুন



 সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশো ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেই টকশোতে অতিথি ছিলেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও বিএনপি নেতা গোলাম মাওলা রনি এবং সঞ্চালনায় ছিলেন দীপ্তি চৌধুরী। ভাইরাল হওয়া অনুষ্ঠানে দেখা যায় উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরীর ওপর বারবার মেজাজ হারান সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ঘাবড়ে না গিয়ে ধৈর্য ধরে দারুণভাবে সামলে নেন দীপ্তি।

এবার এই টকশো’র ক্যামেরার পেছনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে পড়েছে। 

(সোশল মিডিয়া হতে সংগ্রহীত ভিডিও ফুটেজ)

 

তাতে দেখা গেছে, টকশো শেষেও উপস্থাপিকা দীপ্তির সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন বিচারপতি মানিক। শুধু তাই নয়, অনুষ্ঠান শেষে দীপ্তি চৌধুরীকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। 

এ সময় মেজাজ হারান দীপ্তি। তিনি বলেন, ‘আপনার কোনো অধিকার নেই আমাকে রাজাকারের বাচ্চা বলার। আমি একটা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমি একটা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, আপনি আমাকে কোন সাহসে রাজাকার বলেন।’


এ সময় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘আপনার ব্যবহারের দেখে আমি এ কথা বলেছি।’ এ কথা শুনে দীপ্তি চৌধুরী আবারও রেগে যান। পরে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় বিএনপি নেতা গোলাম মাওলা রনি এসে বিচারপতি মানিককে নিয়ে অনুষ্ঠান সেট থেকে চলে যান।


এর আগে প্রায় ৪৯ মিনিটের এই শোতে বেশ বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা, উপস্থাপনা, ধৈর্য ও বাচনভঙ্গির কারণে প্রশংসায় ভেসেছেন দীপ্তি। কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে এই টকশোটি প্রচারিত হয়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ছোট ছোট ক্লিপ। যেখানে নেটিজেনদের মুখেও শোনা যাচ্ছে, দীপ্তির ভূয়সী প্রশংসা। 

নরসিংদীতে শিক্ষার্থীদের গণমিছিলে হামলা করেছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগের নেতা-কর্মীরা

 নরসিংদীতে শিক্ষার্থীদের গণমিছিলে হামলা

নরসিংদীতে 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের' গণমিছিলে হামলা করেছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগের নেতা-কর্মীরা। নরসিংদী সদর উপজেলার কোর্ট রোড এলাকায় উপজেলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে বিভিন্নস্থানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

দৈনিক ইত্তেফাক

বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪

আন্দোলন প্রত্যাহারের স্টেটমেন্ট স্বেচ্ছায় দিইনি: ৬ সমন্বয়ক

আন্দোলন প্রত্যাহারের স্টেটমেন্ট স্বেচ্ছায় দিইনি: ৬ সমন্বয়ক


ফাইল ছবি

প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৪, ১২:২৩

ডিবি হেফাজত থেকে গত ২৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক সব আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা স্বেচ্ছায় না দেওয়ার কথা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ছয় সমন্বয়ক।

শুক্রবার (২ আগস্ট) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সাংবাদিকদের পাঠানো ৬ সমন্বয়কের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, আন্দোলন ও নেতৃত্বকে ছত্রভঙ্গ করতেই ১৯ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের গুম, গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে। 

এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৬ জুলাই ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে ডিবি পুলিশ জোরপূর্বক মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে আসে। মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ছিল।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২৭ জুলাই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে সাইন্সল্যাব থেকে জোরপূর্বক ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে আসা হয়। ২৮ জুলাই সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুমকে ভোররাতে বাসা ভেঙে জোরপূর্বক ডিবি অফিসে নিয়ে আসা হয়।

মূলত আন্দোলন ও নেতৃত্বকে ছত্রভঙ্গ করতেই ১৯ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের গুম, গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় ‌‘নিরাপত্তা’র নামে ছয় সমন্বয়ককে সাতদিন ধরে ডিবি হেফাজতে জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিবি প্রধান নিরাপত্তার কথা বললেও আমাদেরকে আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার জন্যই ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছিল। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা গুম, গ্রেপ্তার ও নির্যাতন থেকে নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম; আমরা আমাদের মত প্রকাশের অধিকারের নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম। কিন্তু অসাংবিধানিক ও আইনবহির্ভূতভাবে আমাদেরকে ডিবি হেফাজতে আটকে রাখা হয়। প্রথমে নিরাপত্তার কথা বললেও পরে আদালতের কথা বলা হয়। আদালতের আদেশ ছাড়া নাকি আমাদের ছাড়া যাবে না। 

ছয় সমন্বয়ক বলেন, যারা নিরস্ত্র ছাত্র-নাগরিককে গুলি করে হত্যা করে তাদের হেফাজতে কেউই নিরাপদে থাকতে পারে না। সরকারের কাছে আমরা এই প্রহসনের নিরাপত্তা চাই না ৷ আমরা আমাদের ভাই বোনদের খুনের বিচার চাই।


আন্দোলন প্রত্যাহারের বিষয়ে তারা বলেন, আন্দোলন প্রত্যাহার করে ডিবি অফিস থেকে প্রচারিত ছয় সমন্বয়ককের ভিডিও স্টেটমেন্টটি আমরা স্বেচ্ছায় দেইনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সিদ্ধান্ত ডিবি অফিস থেকে আসতে পারে না। সারাদেশের সকল সমন্বয়ক ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ব্যতীত কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গৃহীত হবে না। ডিবি অফিসে আমাদের জোর করে খাবার টেবিলে বসিয়ে ভিডিও করা হয়। আমাদের ছেড়ে দেবার আশ্বাস দিয়ে পরিবারকে ডেকে ১৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় এবং মিডিয়ায় মিথ্যা স্টেটমেন্ট দেওয়ানো হয়। আমাদের শিক্ষকরা দেখা করতে আসলে, দেখা করতে দেওয়া হয়নি। 


বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্যায়ভাবে সমন্বয়কদের আটক, সারা দেশে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে গত ৩০ জুলাই রাত থেকে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের ডিবি অফিসে আটক অবস্থায় অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। পরবর্তীতে সে খবর জানামাত্র সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুলাহ ও নুসরাত তাবাসসুমও অনশন শুরু করেন। অনশনের কথা পরিবার ও মিডিয়া থেকে গোপন করা হয়। প্রায় ৩২ ঘণ্টারও অধিক সময় অনশনের পরে ডিবি প্রধান ছয় সমন্বয়ককে মুক্তির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিলে অনশন ভাঙা হয়। আমাদেরকে ১ অগাস্ট দুপুর দেড়টায় পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। গত সাতদিন ডিবি অফিসে আমাদের ও আমাদের পরিবারের সঙ্গে নানা হয়রানি, নির্যাতন ও নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।


ছয় সমন্বয়ক আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নির্দেশেই আমাদের অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছিল। সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ছাত্র-নাগরিকের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। সরকার এখনো শিক্ষার্থীদের উপর দমননীতি অব্যাহত রেখেছে এবং সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করছে এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে বাধা প্রদান করছে। 

  

ছাত্র-নাগরিক হত্যার বিচার ও আটককৃত নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকদের প্রতি আহ্বান থাকবে সরকারের মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা ও দমন-পীড়নকে তোয়াক্কা না করে রাজপথে নেমে আসুন। শহীদের রক্ত বৃথা যাবে না।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে নেওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর তারা শুক্রবার (০২ আগস্ট) একটি বিবৃতি দিয়েছে। 


বিবৃতি পাঠানো ছয় সমন্বয়ক হলেন, মো. নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, নুসরাত তাবাসসুম ও আবু বাকের মজুমদার।

ইত্তেফাক ডিজিটাল ডেস্ক

মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪

তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে প্রাণহানির ঘটনার সুষ্ঠু ও মানসম্মত তদন্তে ‘বিদেশি কারিগরি সহায়তা’ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।


মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।


নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের যে জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি (তদন্ত) কমিটি (গঠিত হয়েছে), তাদের সুষ্ঠু ইনকোয়ারি করার জন্য, তাদের ইনকোয়ারিটা যেন খুব উচ্চমানের হয় এজন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেওয়া হবে।’


তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, ‘এরইমধ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতার (সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনকে সহায়তা) ব্যাপারে যোগাযোগও হয়েছে। যোগাযোগ বলতে জাতিসংঘ আগ্রহ প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশও তার ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছে।’


জার্মান রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তারা (জার্মান) দৃঢ় আশাবাদী যে একটা ইন্ডিপেনডেন্ট (স্বাধীন) ইনভেস্টিগেশন (তদন্ত) হবে। যারা দুর্বৃত্ত তারা চিহ্নিত হবে এবং তাদের বিচার হবে। যারা ধর্মীয় উগ্রবাদের সহযোগী তাদের ব্যাপারে জার্মানির কোনো সিমপ্যাথি (সহানুভূতি) নেই।’


নাঈমুল ইসলাম খান জানান, বৈঠকের শুরুতে জার্মান রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক সহিংসতায় জীবনহানির ঘটনায় বাংলাদেশ যে দেশব্যাপী শোক পালন করছে তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শোক ও সমবেদনা জানান।


জার্মান বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারকে উদ্ধৃত করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘জার্মানি বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক এবং এখনো তারা বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে।’


দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী ও বিদ্যমান সুসম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে জার্মানির সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং জার্মানির বেশ কিছু পরিবার বাংলাদেশের যুদ্ধ শিশুকে দত্তক নিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী সে কথা স্মরণ করেন।’


ভিসা প্রক্রিয়ার ধীরগতি প্রসঙ্গে আলাপের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, ‘জার্মান রাষ্ট্রদূত তাদের ভিসা প্রক্রিয়ায় শ্লথতার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, গুড উইলের (সুনামের) কমতির জন্য এটা হচ্ছে না। তাদের (জার্মান দূতাবাস) সক্ষমতা ও সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে এটা হচ্ছে।’


এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রমুখ।

সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪

ডিবি অফিসে সমন্বয়কদের খাবার খাইয়ে ছবি প্রকাশ জাতির সঙ্গে মশকরা: হাইকোর্ট


ডিবি অফিসে সমন্বয়কদের খাবার খাইয়ে ছবি প্রকাশ জাতির সঙ্গে মশকরা: হাইকোর্ট

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের ডিবি অফিসে বসে খাওয়ার একটি ছবি। আর এই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন-অর রশীদ। এ নিয়ে কথা বলেছেন হাইকোর্ট।

সেখানে বলা হয়েছে, ডিবি অফিসে যাকে তাকে ধরে নিয়ে যাবেন, তারপর খাবার টেবিলে বসাবেন। এভাবে জাতির সঙ্গে মশকরা করবেন না। রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ্য করে এ মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।


সোমবার (২৯ জুলাই)  বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।


গত রবিবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের সঙ্গে এক টেবিলে বসে নাস্তা করার কয়েকটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন-অর রশীদ। ছবির ক্যাপশনে ডিবি প্রধান লেখেন ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই ওদের ডিবি কার্যালয়ে এনে তাদের সঙ্গে কথা বললাম।’


এর আগে গত ২৬ জুলাই নিরাপত্তার কথা বলে আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে হাসপাতাল থেকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। পরের দিন সারজিস, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকেও  হেফাজতে নেয়া ডিবি। পরদিন তাদের পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে যান। আর শিক্ষকরা দেখা করতে গেলে কথা বলেননি ডিবি প্রধান।

রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

এখন শুনছি লুঙ্গি খুলে ধর্ম চেক করার মতো ছেলেমেয়েদের মোবাইল চেক করা হচ্ছে রাস্তাঘাটে!


মানুষের ক্ষোভের ভাষা পাঠ করেন। গায়ক-শিল্পী অর্ণবের আঁকা এই দুইটা ছবি আর সাথের কোলাজ (কে বানিয়েছে জানতে পারিনি) সেই ক্ষোভেরই একটা ছোট উদাহরণ। এরকম আরো বহু মানুষকে দেখেছি, যারা বিএনপি করে না, অনেকে আছে কোনো দলই করে না, কেউ কেউ ট্রাডিশনালি সফ্‌ট টু আওয়ামী লীগ, সবাই প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। মনে রাখবেন অরুন্ধতী রায়ের কথাটা, মানুষের মনের ভিতরের ক্ষোভ আর ঘৃণার চেয়ে বিধ্বংসী কোনো মারনাস্ত্র নাই।




কোথায় ছাত্র-কিশোর-শিশু হত্যাকারীদের বিচার দেখার কথা, সেখানে আমাদের প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে শুনতে হচ্ছে উদ্ভট সব কাহিনী! এই সব আজব শাক (পাবলিক রিলেশন্স) দিয়ে কি লাশের মিছিল ঢাকা যাবে? গেছে কোনো কালে? সারা দুনিয়ার মিডিয়া কি বলছে দেখেন। এমনকি পাশের দেশ ভারতে কি বলা হচ্ছে সেটাও দেখেন।




এখন শুনছি লুঙ্গি খুলে ধর্ম চেক করার মতো ছেলেমেয়েদের মোবাইল চেক করা হচ্ছে রাস্তাঘাটে! রাতের বেলা বাচ্চাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে! এটা কি কোনো অধিকৃত ভূমি? নাকি স্বাধীন দেশ? কয় প্রজন্মের মন বিষিয়ে তুলছেন এটা কি বুঝতে পারছেন? মানুষ কখন টিপিং পয়েন্টে পৌঁছে যায় জানেন তো?



শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪

শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃ্ত্যুর ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে পুলিশ, পুলিশ কী বলছে?

 শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃ্ত্যুর ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে পুলিশ

পুলিশ কী বলছে?

বাংলাদেশে পুলিশের কার্যক্রম মূলতঃ পরিচালিত হয় ‘পুলিশ আইন, ১৮৬১’, ‘ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮’ এবং ‘পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল, ১৯৪৩’ নামের তিনটি আইনের মাধ্যমে।


এই আইনগুলো সবক’টিই ব্রিটিশ শাসনামালে তৈরি।


এসব আইনে বিশেষ কিছু অবস্থায় পুলিশকে শক্তি প্রয়োগ, এমনকী গুলি করারও এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।


কিন্তু সেটি কখন?


“গুরুত্বপূর্ণ সম্পদের নিরাপত্তা বিধান এবং আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানোর এখতিয়ার পুলিশকে আইন দিয়েছে। তবে সেটি প্রপরশনেট লেভেল বা যৌক্তিক মাত্রায় হতে হবে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মুহম্মদ নূরুল হুদা।


মঙ্গলবার দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কি সে ধরনের কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল?


“কোন পরিস্থিতিতে গুলি চালানো হয়েছে এবং এক্ষেত্রে আইনের কোনও ব্যত্যয় ঘটেছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখার জন্য ইতোমধ্যেই আমরা চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি এবং একটি মামলাও করা হয়েছে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান।


আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ ওই কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।


“তদন্তে পুলিশের অভিযুক্ত সদস্যদের কারো দোষ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় শাস্তির পাশাপাশি প্রচলিত আইনেও বিচার করা হবে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন পুলিশ কমিশনার মি. মনিরুজ্জামান।



‘মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে গুলি করে পুলিশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে জানাচ্ছেন অধিকার কর্মীরা।


“দাবি আদায়ে নিজের মত প্রকাশ করা, আন্দোলন করা - এগুলো নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার, যার স্বীকৃতি আমাদের সংবিধানেও রয়েছে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক ফারুক ফয়সাল।


“সেখানে আন্দোলনকারী নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ কীভাবে গুলি চালায়! এই আক্রমণ বরদাস্ত করা যায় না। এটি করে পুলিশ মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন মি. ফয়সাল।


তার মতে, গুলি না চালিয়েও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিবৃত্ত করার সুযোগ পুলিশের ছিল।


“ছেলেটার কাছে যেহেতু প্রাণঘাতী কোনও অস্ত্র ছিল না, কাজেই পুলিশের সহিংস হওয়ার কোনও দরকার ছিল না,” বিবিসি বাংলাকে বলেন মি. ফয়সাল।


এক্ষেত্রে প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়েও তাকে ঘটনাস্থল থেকে সরানো যেত বলে মনে করেন তিনি।


“কিন্তু পুলিশ সেটি না করে গুলি ছুড়লো। নিরীহ মানুষের উপর এমন আক্রমণ মোটেও মেনে নেওয়া যায় না,” বিবিসি বাংলাকে বলেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক মি. ফয়সাল।

শুক্রবারের সহিংসতায় ঢাকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে

 শুক্রবারের সহিংসতায় ঢাকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে

শুক্রবার ঢাকার যেসব এলাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়, তার অন্যতম রামপুরা-বনশ্রী। এখানকার ফরাজী হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ১০ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন হাসপাতালটির ম্যানেজার রুবেল হোসেন।


সবাই গুলিতে মারা গেছে বলে জানান তিনি।


তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


এছাড়া, আহত হয়ে আরো অন্তত তিনশ জন চিকিৎসা নিয়েছেন ফরাজী হাসপাতালে। তাদের বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ ছিলেন বলে জানান মি. হোসেন।


কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের সুপারিনটেন্ডেন্ট মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, জোবায়ের ব্যাপারী নামে একজনকে মৃত অবস্থায়ই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।


মি. মিজান জানান, ৪০ বছর বয়সী জোবায়ের ব্যাপারী পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন বলে জানতে পেরেছেন তারা।


“পথচারী হিসেবে সংঘর্ষের এলাকা অতিক্রম করছিলেন তিনি,” যোগ করেন মি. মিজান।


এছাড়া, অন্তত ৮৯ জন আহতকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে। যাদের মধ্যে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ ছিলেন

কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা কোটা আন্দোলনকারীদের

 কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা কোটা আন্দোলনকারীদের

জনগণের ওপর আরো দমন পীড়নের জন্য সরকার সেনা মোতায়েন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।


“সরকারকে সমর্থন না দিয়ে ছাত্রদের পাশে থাকতে” দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।


কারফিউ জারি অবস্থায় কীভাবে তারা কর্মসূচি পালন করবে জানতে চাইলে বিবিসি বাংলাকে মি. হোসেন বলেন, কারফিউ জারি করার আগেই তারা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তাই জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবে বলে তারা মনে করেন

কারফিউ’র পরিপত্র জারি বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে

 কারফিউ’র পরিপত্র জারি

দেশব্যাপী কারফিউ এবং সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।


এতে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী শান্তি শৃঙ্খলারক্ষা ও জন নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ অনুযায়ী আজ হতে সান্ধ্য আইন কার্যকর করা হলো।


জেলা প্রশাসনের ক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে পুলিশ কমিশনার এই প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দেশ বাস্তবায়ন করবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।


বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েনের জন্যও তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানানো হয়েছে পরিপত্রে।


কারফিউ বা সান্ধ্য আইনের সময়সীমা এবং শর্ত কী হবে তাও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ কমিশনার নির্ধারণ করবেন বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ আহমেদ।

কোটা আন্দোলনে দেশে কারফিউ জারি, দেখা মাত্র গুলি

 

শুট অ্যাট সাইট হবে: ওবায়দুল কাদের

বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কারফিউ প্রসঙ্গে বলেছেন “এটা অবশ্যই কারফিউ। এটা নিয়ম অনুযায়ীই হবে এবং সেটা শুট অ্যাট সাইট হবে”।

অর্থাৎ, দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশের কথা জানিয়েছেন মি. কাদের।

ঢাকায় গণভবনে ১৪ দলের বৈঠকের পর কারফিউ জারি ও সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

তিনি বলেন, “আন্দোলনের নামে বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বিটিভি সম্পূর্ণরুপে পুড়িয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে”।

তিনি জানান, বৈঠকে ১৪ দলের নেতারা দেশের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জনগনের জান-মাল রক্ষায় সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের কথা বলেন।

এছাড়াও এই বৈঠকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল বর্তমান সংকট উত্তরণে দেশবাসির সহযোগিতা চেয়েছেন বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

কোটা আন্দোলনে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৭ জন

 গতকাল ২৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। গতকাল শুধু ঢাকাতেই ১৯ জন নিহত হয়েছেন। বাকি ৮ জন চট্টগ্রাম, নরসিংদী, মাদারীপুর, সিলেট, রংপুর ও ঢাকার সাভারে নিহত হয়েছেন। গতকাল আহত হয়েছেন অন্তত দেড় হাজার।

তথ্য সূত্রঃ প্রথম আলো 

শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪

Kalki 2898 Ad blockbuster hit movie Hindi, Telugu, Tamil

In 3102 BC, following the Kurukshetra War, Ashwatthama attempts to kill Uttarā's unborn child by invoking the Brahmashirastra. For this act, Krishna curses him to roam the earth as an immortal. His divine gem is also taken from his forehead, and his redemption is destined to occur through protecting and guiding Vishnu's last avatar, Kalki, during the Kali Yuga.



By 2898 AD, six thousand years into the Kali Yuga, the desertified city of Kasi stands as the last known city in a post-apocalyptic world dominated by Supreme Yaskin, a totalitarian god-king. Yaskin rules from the "Complex", an inverted-pyramidal-megastructure that hovers above the city, extracting Earth's resources to sustain a gated paradise accessible only to those who can pay 1 million "units". His authority is enforced by Commander Manas, Counsellor Bani and the Raiders, who vigilantly guard against threats, particularly the prophesied arrival of Kalki.

In this dystopian society, fertile female refugees in Kasi are forcibly taken to the Complex for Project K, an experiment aimed at producing a life-extending serum for the 200-year-old Yaskin through artificially inseminated foetuses. However, no woman survives more than 120 days of pregnancy, resulting in their deaths. Raia, a young girl disguised as a boy, narrowly escapes conscription with the help of rebels led by Rumi from the hidden city of Shambhala. Unfortunately, Rumi and Divya, falsely rumoured to be pregnant with Kalki, are captured and executed in public by Manas for not revealing Shambhala's location.

Raia finds refuge in a cave, where she encounters Ashwatthama. She unknowingly brings him his divine gem, Shivamani, from the Shambhala rebels. Together, they set out to find the real mother of Kalki. SUM-80, a Project K subject hiding her 150-day pregnancy, is eventually captured. Manas extracts a drop of serum from her foetus, but the procedure is interrupted by Lilly, a Shambhala rebel posing as a Project K subject. Lilly helps SUM-80 escape, but stays behind to fight off the Raiders. Outside, they are met by other Shambhala rebels: Veeran, Kyra, and Ajju. Kyra renames SUM-80 as "Sumathi". En route to Shambhala, their convoy is ambushed by bounty hunters and Raiders after Manas places a bounty on Sumathi. Though they fend off the attackers, Kyra is killed.

Bhairava, a bounty hunter aiming to secure Sumathi's bounty to enter the Complex, remains in pursuit with his AI supercar, Bujji. Ashwatthama learns through his gem that Sumathi’s unborn child is Kalki. Despite Bhairava's efforts, Ashwatthama subdues him and the group reaches Shambhala, where the tree of life blooms in recognition of Kalki's presence. Bhairava makes a deal with Manas to capture Sumathi in exchange for his entry into the Complex.

Bhairava discovers Shambhala by deceiving a spy, Luke, and disguises himself as Ashwatthama by using his hologram technology. He convinces Sumathi to flee Shambhala, but they are intercepted by the real Ashwatthama. As they fight, Shambhala's leader, Mariam, takes Sumathi away. Bhairava, overpowered by Ashwatthama, transforms Bujji into a humanoid fighter but is again defeated. Manas and the Raiders track Bhairava to Shambhala and breach its defenses with a beam weapon provided by Yaskin. The Raiders overwhelm the Shambhalan army, and Mariam is killed. Manas chains Ashwatthama, but Bhairava, wielding Ashwatthama's walking stick, which is actually revealed to be Karna's bow, Vijaya Dhanush, awakens and attacks the Raiders.

Bhairava, who is revealed to be a reincarnation of Karna,[a] uses the bow's power to rescue Sumathi and kill Manas. Ashwatthama, recognising his old friend, breaks free, but Bhairava, reminded of the bounty by Bujji, reverts to his former self and takes Sumathi away. Back at the Complex, Yaskin, informed of Manas's failure and death by Counsellor Bani, uses the extracted serum drop to transform into a youthful superhuman with multiple arms. He picks up Arjuna's bow, Gandiva, and declares his intention to personally capture Sumathi and her son and reshape the world.

3102 খ্রিস্টপূর্বাব্দে, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পরে, অশ্বত্থামা ব্রহ্মশিরাস্ত্র আহ্বান করে উত্তরার অনাগত সন্তানকে হত্যা করার চেষ্টা করেন।  এই কাজের জন্য, কৃষ্ণ তাকে অমর হিসেবে পৃথিবীতে বিচরণ করার অভিশাপ দেন।  তার কপাল থেকেও তার ঐশ্বরিক রত্নটি নেওয়া হয়েছে, এবং কলিযুগে বিষ্ণুর শেষ অবতার, কল্কি,কে রক্ষা ও নির্দেশনার মাধ্যমে তার মুক্তি ঘটবে।

 2898 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে, কলিযুগের ছয় হাজার বছর আগে, মরুভূমির শহর কাসি একটি সর্বগ্রাসী ঈশ্বর-রাজা সুপ্রিম ইয়াসকিনের আধিপত্যের পোস্ট-অ্যাপোক্যালিপ্টিক বিশ্বের সর্বশেষ পরিচিত শহর হিসাবে দাঁড়িয়েছে।  ইয়াসকিন "কমপ্লেক্স" থেকে নিয়ম করে, একটি উল্টানো-পিরামিডাল-মেগাস্ট্রাকচার যা শহরের উপরে ঘোরাফেরা করে, একটি গেটেড প্যারাডাইসকে টিকিয়ে রাখার জন্য পৃথিবীর সম্পদ বের করে যারা শুধুমাত্র 1 মিলিয়ন "ইউনিট" দিতে পারে তাদের জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য।  তার কর্তৃত্ব কমান্ডার মানস, কাউন্সেলর বাণী এবং রাইডারদের দ্বারা প্রয়োগ করা হয়, যারা সতর্কতার সাথে হুমকির বিরুদ্ধে, বিশেষ করে কল্কির ভবিষ্যদ্বাণীকৃত আগমনের বিরুদ্ধে সতর্কভাবে রক্ষা করে।

 এই ডিস্টোপিয়ান সমাজে, কাসির উর্বর মহিলা উদ্বাস্তুদের জোরপূর্বক প্রজেক্ট কে-এর জন্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়, একটি পরীক্ষা যা 200 বছর বয়সী ইয়াসকিনের জন্য কৃত্রিমভাবে গর্ভধারণ করা ভ্রূণের মাধ্যমে একটি জীবন-বর্ধক সিরাম তৈরি করা।  যাইহোক, কোন মহিলা 120 দিনের বেশি গর্ভাবস্থায় বেঁচে থাকে না, যার ফলে তাদের মৃত্যু হয়।  রাইয়া, একটি ছেলের ছদ্মবেশে একটি অল্পবয়সী মেয়ে, লুকানো শহর শাম্ভলা থেকে রুমির নেতৃত্বে বিদ্রোহীদের সাহায্যে অল্পের জন্য নিয়োগ থেকে পালিয়ে যায়।  দুর্ভাগ্যবশত, রুমি এবং দিব্যা, কল্কির সাথে গর্ভবতী হওয়ার মিথ্যা গুজব, শম্ভালার অবস্থান প্রকাশ না করার জন্য মানস জনসমক্ষে বন্দী এবং মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে।

 রায়া একটি গুহায় আশ্রয় পান, যেখানে তিনি অশ্বত্থামার মুখোমুখি হন।  সে অজান্তেই শম্ভলা বিদ্রোহীদের কাছ থেকে তার ঐশ্বরিক রত্ন, শিবমণি নিয়ে আসে।  একসাথে, তারা কল্কির আসল মাকে খুঁজে বের করতে রওনা হয়।  SUM-80, একটি প্রজেক্ট K বিষয় যা তার 150-দিনের গর্ভাবস্থাকে লুকিয়ে রাখে, অবশেষে ধরা পড়ে।  মানস তার ভ্রূণ থেকে সিরামের একটি ফোঁটা বের করে, কিন্তু প্রক্রিয়াটি লিলি দ্বারা ব্যাহত হয়, একটি শম্ভালা বিদ্রোহী একটি প্রজেক্ট কে বিষয় হিসাবে জাহির করে।  লিলি SUM-80 পালাতে সাহায্য করে, কিন্তু রাইডারদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পিছনে থাকে।  বাইরে, তাদের সাথে অন্যান্য শাম্ভালা বিদ্রোহীদের দেখা হয়: বীরান, কায়রা এবং অজ্জু।  Kyra SUM-80 এর নাম পরিবর্তন করে "Sumathi" রেখেছে।  শাম্ভলা যাওয়ার পথে, মানস সুমাথিকে দান করার পর তাদের কনভয় বাউন্টি শিকারি এবং হানাদারদের দ্বারা অতর্কিত হয়।  যদিও তারা আক্রমণকারীদের প্রতিহত করে, কাইরাকে হত্যা করা হয়।

 কমপ্লেক্সে প্রবেশের জন্য সুমাথির দান সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে ভৈরব, একজন বাউন্টি হান্টার, তার AI সুপারকার, বুজ্জির সাথে তাড়া করে চলেছে।  অশ্বত্থামা তার রত্ন দ্বারা জানতে পারেন যে সুমথির অনাগত সন্তান কল্কি।  ভৈরবের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, অশ্বত্থামা তাকে বশীভূত করেন এবং দলটি শম্ভলায় পৌঁছে, যেখানে কল্কির উপস্থিতির স্বীকৃতিতে জীবনের গাছটি ফুল ফোটে।  ভৈরব কমপ্লেক্সে প্রবেশের বিনিময়ে সুমথিকে বন্দী করার জন্য মানসের সাথে একটি চুক্তি করে।

 ভৈরব একজন গুপ্তচর, লুককে প্রতারণা করে শম্ভলাকে আবিষ্কার করেন এবং তার হলোগ্রাম প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেকে অশ্বত্থামার ছদ্মবেশ ধারণ করেন।  তিনি সুমথিকে শম্ভালা থেকে পালাতে রাজি করেন, কিন্তু প্রকৃত অশ্বত্থামা তাদের বাধা দেয়।  যখন তারা লড়াই করছে, শাম্ভলার নেতা, মরিয়ম, সুমাথিকে নিয়ে যায়।  ভৈরব, অশ্বত্থামা দ্বারা পরাভূত, বুজ্জিকে একজন মানবিক যোদ্ধায় রূপান্তরিত করে কিন্তু আবার পরাজিত হয়।  মানস এবং রাইডাররা ভৈরবকে শম্ভালা পর্যন্ত ট্র্যাক করে এবং ইয়াসকিনের দেওয়া একটি বিম অস্ত্র দিয়ে এর প্রতিরক্ষা লঙ্ঘন করে।  হানাদাররা শাম্ভলান সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করে এবং মরিয়ম নিহত হয়।  মানস অশ্বত্থামাকে শৃঙ্খলিত করে, কিন্তু ভৈরব, অশ্বত্থামার হাঁটার লাঠি, যা আসলে কর্ণের ধনুক, বিজয়া ধনুশ, জেগে ওঠে এবং আক্রমণকারীদের আক্রমণ করে।

 ভৈরব, যিনি কর্ণের পুনর্জন্ম বলে প্রকাশ করেছেন,[a] সুমথিকে উদ্ধার করতে এবং মানসকে হত্যা করতে ধনুকের শক্তি ব্যবহার করেন।  অশ্বত্থামা, তার পুরানো বন্ধুকে চিনতে পেরে, মুক্ত হন, কিন্তু ভৈরব, বুজ্জির অনুগ্রহের কথা মনে করিয়ে দিয়ে, তার আগের স্বরে ফিরে যান এবং সুমথিকে নিয়ে যান।  কমপ্লেক্সে ফিরে, ইয়াসকিন, কাউন্সেলর বানির দ্বারা মানসের ব্যর্থতা এবং মৃত্যুর বিষয়ে অবহিত, বহু অস্ত্র সহ একটি যুবক অতিমানবীয়তে রূপান্তরিত করার জন্য নিষ্কাশিত সিরাম ড্রপ ব্যবহার করে।  তিনি অর্জুনের ধনুক, গান্ডিব তুলে নেন এবং ব্যক্তিগতভাবে সুমতি এবং তার পুত্রকে বন্দী করার এবং বিশ্বকে নতুন আকার দেওয়ার তার অভিপ্রায় ঘোষণা করেন।

Amitabh Bachchan as Ashwatthama[12], the son of sage and warrior Dronacharya and an ally to the Kauravas, who was cursed with immortality for attempting to kill an unborn Parikshit. He has since roamed the Earth for nearly six thousand years.
Kamal Haasan as Supreme Yaskin, the proclaimed god of the Complex[13]
Prabhas in a dual role as:
Bhairava, a bounty hunter[14]
Karna, an ancient sun elemental archer and warrior who was allied with the Kauravas, and a fierce rival to the Pandava Arjuna, his younger maternal half-brother.
Deepika Padukone as SUM-80 alias Sumathi, a pregnant lab subject and the prophesied mother of Kalki[13]
Disha Patani as Roxie[15]
Saswata Chatterjee as Commander Manas[16]
Brahmanandam as Rajan, Bhairava's landlord[17]
Rajendra Prasad as Rumi[18]
Shobhana as Mariam, the leader of Shambhala[19][b]
Pasupathy as Veeran, a rebel from Shambhala
Anna Ben as Kyra, a rebel from Shambhala
Harshith Malgireddy as Luke[22]
Kavya Ramachandran as Lilly, undercover rebel at the Complex[22]
Ayaz Pasha as Ajju, a rebel from Shambhala[22]
Anil George as Counsellor Bani[22]
Keya Nair as Raia[22]
Vinay Kumar as Sirius[22]
Venkata Ramana as Ronnie[22]
Hamish Boyd as Yuri[22]
Sanghwa Shin as Leon[22]
Keerthy Suresh as BU-JZ-1 alias Bujji, Bhairava's companion AI droid/vehicle (voice-over)[17]
Cameo appearances
Krishnakumar as Lord Krishna (voice-over by Arjun Das)[23], an incarnation of Vishnu, who was born during the time of Mahabharata to bring peace by aiding the Pandavas. He serves as Prince Arjuna's charioteer and strategist.
Vijay Deverakonda as Arjuna[24], the third Pandava brother and a powerful archer who engages in combat with his elder maternal half-brother Karna.
Dulquer Salmaan as Captain, Bhairava's guardian[24]
Malvika Nair as Uttarā[25], the princess of Matysa, daughter-in-law of Arjuna and mother of Parikshit, the last living heir of the Kuru Dynasty following the Kurukshetra War. She and her baby were attacked by Ashwatthama's enchanted arrow after the war ended.
Mrunal Thakur as Divya, a lady who was assumed to be Kalki's mother[24]
S. S. Rajamouli as a bounty hunter and Bhairava's rival[24]
Ram Gopal Varma as Chintu, a street food vendor[24]
K. V. Anudeep as a dancer in the Complex[26]
Faria Abdullah as a dancer in the Complex[26]
Santhosh Narayanan as a dancer in the Complex
Srinivas Avasarala as Bhairava's prospective buyer[2

অমিতাভ বচ্চন অশ্বত্থামা[12] হিসেবে, ঋষি ও যোদ্ধা দ্রোণাচার্য এর পুত্র এবং কৌরবদের একজন সহযোগী, যিনি একজন অজাত পরীক্ষিতকে হত্যা করার চেষ্টা করার জন্য অমরত্বে অভিশপ্ত হয়েছিলেন।  এরপর থেকে তিনি প্রায় ছয় হাজার বছর ধরে পৃথিবীতে বিচরণ করেছেন।

 কমল হাসান সুপ্রিম ইয়াসকিন হিসেবে, কমপ্লেক্সের ঘোষিত দেবতা[13]

 দ্বৈত চরিত্রে প্রভাস:

 ভৈরব, একজন দান শিকারী[14]

 কর্ণ, একজন প্রাচীন সূর্যের মৌলিক তীরন্দাজ এবং যোদ্ধা যিনি কৌরবদের সাথে মিত্র ছিলেন, এবং তার ছোট মাতৃভাই অর্জুনের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী।

 SUM-80 ওরফে সুমথি হিসেবে দীপিকা পাড়ুকোন, একটি গর্ভবতী ল্যাব বিষয় এবং কল্কির ভবিষ্যদ্বাণীকৃত মা[13]

 রক্সির চরিত্রে দিশা পাটানি[15]

 শাশ্বত চ্যাটার্জি কমান্ডার মানস হিসেবে[16]

 ব্রহ্মানন্দম রাজন হিসেবে, ভৈরবের জমিদার[17]

 রুমি চরিত্রে রাজেন্দ্র প্রসাদ[18]

 মরিয়ম চরিত্রে শোভনা, শাম্ভলার নেতা[19][b]

 বীরান চরিত্রে পশুপতি, শম্ভালার একজন বিদ্রোহী

 শম্ভালার বিদ্রোহী কাইরা চরিত্রে আনা বেন

 লুক চরিত্রে হরশীথ মালগিরেডি[22]

 লিলি চরিত্রে কাব্য রামচন্দ্রন, কমপ্লেক্সের গোপন বিদ্রোহী[22]

 আজ্জু চরিত্রে আয়াজ পাশা, শম্ভালার একজন বিদ্রোহী[22]

 কাউন্সেলর বাণী হিসেবে অনিল জর্জ[22]

 রাইয়া চরিত্রে কেয়া নায়ার[22]

 সিরিয়াস চরিত্রে বিনয় কুমার[22]

 রনি চরিত্রে ভেঙ্কটা রমনা[22]

 ইউরি চরিত্রে হামিশ বয়েড[22]

 লিওন চরিত্রে সংঘওয়া শিন[22]

 BU-JZ-1 ওরফে বুজ্জি চরিত্রে কীর্তি সুরেশ, ভৈরবের সঙ্গী AI ড্রয়েড/গাড়ি (ভয়েস-ওভার)[17]

 ক্যামিও উপস্থিতি

 ভগবান কৃষ্ণ হিসেবে কৃষ্ণকুমার (অর্জুন দাসের কণ্ঠস্বর)[23], বিষ্ণুর একজন অবতার, যিনি মহাভারতের সময়ে পাণ্ডবদের সাহায্য করে শান্তি আনতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।  তিনি রাজকুমার অর্জুনের সারথি এবং কৌশলবিদ হিসাবে কাজ করেন।

 বিজয় দেবেরকোন্ডা অর্জুনের ভূমিকায়[24], তৃতীয় পান্ডব ভাই এবং একজন শক্তিশালী তীরন্দাজ যিনি তার বড় মামা সৎ ভাই কর্ণের সাথে যুদ্ধে নিযুক্ত হন।

 ভৈরবের অভিভাবক হিসেবে দুলকার সালমান [২৪]

 উত্তরা[25] হিসেবে মালবিকা নায়ার, মাটিসার রাজকুমারী, অর্জুনের পুত্রবধূ এবং পরীক্ষিতের মা, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পরে কুরু রাজবংশের শেষ জীবিত উত্তরাধিকারী।  যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তিনি এবং তার শিশু অশ্বত্থামার মন্ত্রমুগ্ধ তীর দ্বারা আক্রান্ত হন।

 দিব্যা চরিত্রে মৃণাল ঠাকুর, একজন মহিলা যাকে কল্কির মা বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল[24]

 এস.এস. রাজামৌলি একজন বাউন্টি হান্টার এবং ভৈরবের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে[24]

 চিন্টু চরিত্রে রাম গোপাল ভার্মা, একজন রাস্তার খাবার বিক্রেতা[24]

 কে.ভি. অনুদীপ কমপ্লেক্সে একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে[26]

 ফারিয়া আবদুল্লাহ কমপ্লেক্সে একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে[26]

 সন্তোষ নারায়ণন কমপ্লেক্সে একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে

 ভৈরবের সম্ভাব্য ক্রেতা হিসেবে শ্রীনিবাস অবসারলা [2


Popular Posts