জ্বর : জ্বর কেন হয়? জ্বর হলে করণীয়


জ্বর : জ্বর কেন হয়? জ্বর হলে করণীয়

জ্বর কোন রোগ নয়, জ্বর একটি সাধারণ উপসর্গ। বিভিন্ন রোগের উপসর্গ হিসেবে জ্বর হতে পারে। জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হচ্ছে ৯৮•৬ ফারেনহাইট। শরীরের তাপমাত্রা এর থেকে বেড়ে গেলে আমরা তাকে জ্বর বলতে পারি। আর দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধির মানেই হল, দেহে পাইরোজেন (Pyrogens) উৎপন্ন হয়েছে। জ্বর হলে কি করণীয় এ সম্পর্কে অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে। জ্বর হলে ঠান্ডা হাওয়া আসার ভয়ে ঘরের দরজা, জানালা অনেকে বন্ধ করে রাখেন অথবা জ্বর হলেই অনেকে রোগীর গায়ে কাঁথা চাপিয়ে দেন। তারা মনে করেন, এতে করে রোগীর ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে যাবে। প্রকৃতপক্ষে এগুলোর কোনটাই জ্বর কমাতে কোন সাহায্য করে না।

সামান্য জ্বর হলেই আমরা ঘাবড়ে যাই। এমন একটি লোকও পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাবে না, যার একবারও জ্বর হয়নি। জ্বর কোনও রোগ নয় বরং এটি বহু অসুখের একটি উপসর্গ মাত্র। শুধু জ্বর বলে কিছু হয় না। এটা যে কোন একটি রোগের বাইরের চেহারা। স্বর্দি-কাশি হলে, ম্যালেরিয়া হলে, টাইফয়েড, টি.বি, আবার পড়ে গিয়ে হাত-পা কেটে গেলেও জ্বর হতে পারে। সবার সাথেই জ্বর আছে উপসর্গ হিসেবে।

স্বাভাবিকভাবে শরীরের তাপমাত্রা হচ্ছে ৩৬.৬সে. থেকে ৩৭.২সে. পর্যন্ত। এর থেকে (১সে. থেকে ৪সে. পর্যন্ত) বেশি হলেই আমরা জ্বর হয়েছে বলে ধরে নেই। এই জ্বর সেন্টিগ্রেড অথবা ফারেনহাইট থার্মোমিটার দিয়ে মাপা যায়।

জ্বর সাধারণত তিন প্রকারের হয়। যেমন-

কন্টিনিউড (Continued)
যখন জ্বর এর মাত্রা ২৪ ঘণ্টায় ১ সে.(১.৫ ফারেনহাইট) পর্যন্ত উঠানামা করে কিন্তু জ্বর কোন সময় স্বাভাবিক অবস্থায় আসে না, তখনই তাকে কন্টিনিউড জ্বর বলে।

রেমিটেন্ট (Remittent)
যখন জ্বর এর মাত্রা ২৪ ঘণ্টায় ২ সে.(৩ ফারেনহাইট) পর্যন্ত উঠানামা করে, তাকে রেমিটেন্ট জ্বর বলে।

ইন্টারমিটেন্ট (Intermittent)
যখন জ্বর শরীরে দৈনিক কয়েক ঘণ্টা উপস্থিত থাকে, তখন তাকে ইন্টারমিটেন্ট জ্বর বলে। এই ইন্টারমিটেন্ট জ্বর যদি প্রতিদিন আসলে, তখন তাকে কোটিডিয়ান জ্বর বলে। একদিন পর পর এলে তাকে টার্শিয়ান এবং দুই দিন পর পর এলে তাকে কোয়ার্টান জ্বর বলে। তবে এখন জ্বর নিরাময়ের ওষুধ এবং অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্যান্য ওষুধ সেবনের ফলে এই জ্বরের শ্রেণীবিন্যাস সব সময় ঠিকমত বোঝা যায় না।

জ্বর কেন হয়?
বিভিন্ন ইনফেকশন, টিস্যু নেক্রোসিস ইত্যাদি কারণে শরীরে জ্বর তৈরিকারী পদার্থ পাইরোজেন নিঃসরণ হয়। নিঃসৃত পাইরোজেন প্রোস্টাগ্লান্ডিন নামক কেমিক্যাল মেডিয়েটর তৈরি করতে উত্তেজক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া ব্যাকটেরিয়াল প্রডাক্ট, যেমন- ব্যাকটেরিয়াল কলাইপোপলিস্যাকারাইড শ্বেতকণিকাকে উত্তেজিত করে এন্ডোজেনাস পাইরোজেন তৈরি করে এবং এগুলো প্রোস্টাগ্লান্ডিন তৈরি করতে সাহায্য করে। ফলে আমাদের মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস নামক অংশ, যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে সেখানকার রক্তনালি ও এর আশপাশের কোষগুলোতে বেশি পরিমাণে প্রোস্টাগ্লান্ডিন উৎপন্ন করতে প্রভাবিত করে। এই সাইক্লিক এ এম পি হাইপোথ্যালামাস শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক এর থেকে বেশি মাত্রায় পুন-নির্ধারণ করে, যার ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং জ্বর অনুভুত হয়।



কি কি কারণে জ্বর হতে পারে?
যে কোনও ভাইরাসজনিত প্রদাহ যেমন সর্দি, কাশি, হুপিংকাশি, ডেঙ্গু ইত্যাদি। আবার পরজীবী ঘটিত রোগ, যেমন- ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া ইত্যাদি।
যে কোনও একুইট ইনফেকশন বিশেষ করে পুঁজ তৈরিকারক ইনফেকশন যেমন- ফোঁড়া, কার্বাংকল, ফুরাংকল।
ক্যান্সার হলে।
কলা বিনষ্টকারী বা টিস্যু নেক্রোসিস যে রোগে হয়, যেমন মায়োকর্ডিয়াল ইনফেকশন, আর্থাইটিস, বাতজ্বর বা রিউমাটিক ফিভার।
দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ বা ক্রনিক ইনফেকশন, যেমন- যক্ষ্মা হলে।
অটোইমিউন রোগ যেমন- ইমুনোলজিক্যাল রিঅ্যাকশন, এসএলই ইত্যাদি।
যে কোনও কোষ কলা অর্গানের প্রদাহজনিত রোগ যেমন মেনিনজাইটিস, একুইট গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস, একুইট অস্টিওমাইলাইটিস, একুইট হেপাটাইটিস ইত্যাদি।
মহিলা ও পুরুষের জননতন্ত্রের প্রদাহ, যেমন- প্রস্রাবে অথবা প্রস্রাবের নালিতে ইনফেকশন, মেয়েদের ক্ষেত্রে অ্যান্ডোমেট্রাইটিস, উফুরাইটিস, সার্ভিসাইটিস, সালফিনজাইটিস এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রস্টেটাইটিস, অরকাইটিস, ইপিডিডাইমাইটিস ইত্যাদি।

জ্বরের কারণ নির্ধারণের জন্য যে সকল পরীক্ষা করা হতে পারে
লক্ষণ ও উপসর্গ দেখে ডাক্তার প্রয়োজনমত রক্তের সাধারণ কিছু পরীক্ষা যেমন- টিসি, ডিসি, ই এস আর, এক্সরে চেস্ট, সিটি স্ক্যান/এমআরআই, রক্তের কিছু বিশেষ পরীক্ষা যেমন Widal, Febrile antigen, বডি ফ্লুয়িড পরীক্ষা যেমন- CSF এবং অন্যান্য বডিফ্লুয়িড, ফাইলেরিয়া, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মার জন্য পিসিআর, কালচার সেনসিটিভিটি, এএফবি, ক্যান্সার রোগ নির্ণয়ের জন্য এফএনএসি সাইটোলজি, লিউকেমিয়া প্যানেল, লিমফোমা ও বায়োপসি ইত্যাদি করতে দিতে পারেন।

জ্বর হলে করণীয়
জ্বর নিজে কোনো রোগ নয়, অন্য কোন রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ। শরীরে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াসহ জীবাণুর আক্রমণ ঠেকাতে শরীরের নিজস্ব প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই জ্বর আসে। সাধারণত মানুষের শরীরের তাপমাত্রা ৯৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তাপমাত্রা ৯৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি থেকে ১০০ দশমিক ৮ ডিগ্রি এর মধ্যে থাকলে, সেটা মাইল্ড ফিভার বা সামান্য জ্বর হিসেবে পরিচিত। ১০৩ ডিগ্রি পর্যন্ত হলে সেটা মডারেট বা মাঝারি জ্বর এবং এর বেশি হলে সেটাকে হাই ফিভার বা উচ্চজ্বর বলে। আবার ১০৫ ডিগ্রির চেয়ে বেশি তাপমাত্রা হলে অবশই দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

জ্বরের সঙ্গে তীব্র মাথা ব্যথা, গলা ফুলে যাওয়া, ঘাড় শক্ত হয়ে আসা, আলোর দিকে তাকালে প্রচণ্ড অস্বস্তি, বিরতিহীন বমি, মেন্টাল কনফিউশন, বুকে ব্যথা, নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা, পেটে ব্যথা ও প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া এই লক্ষণগুলো থাকলে অবশ্যই রোগীকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিতে হবে।

রোগীকে ডাক্তারের কাছে নেয়ার আগে নিচের টিপসগুলো কাজে লাগাতে পারেন।
সম্পূর্ণ শারীরিক ও মানসিকভাবে বিশ্রামে থাকতে হবে।
শরীরে কাঁথা, কম্বল ইত্যাদি দেয়া যাবে না এবং হালকা কাপড় পরতে দিতে হবে।
ঘরের তাপমাত্রা কমিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। ঘরে এসি থাকলে তা সহনীয় তাপমাত্রায় চালিয়ে দিন আর না থাকলে রোগীকে
বাতাস করুন অথবা ফ্যানের নিচে রাখতে হবে।
জ্বর বেশি মনে হলে হালকা গরম পানিতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে তা দিয়ে গা স্পঞ্জ করে বা মুছে দিতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও অন্যান্য তরল খাবার খেতে দিতে হবে।
অন্য কোন ওষুধ নয়, জ্বর কম রাখতে শুধুমাত্র প্যারাসিটামল খান। মনে রাখতে হবে জ্বর ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হলে প্যারাসিটামলও খাওয়া যাবে বা।

শিশুর হঠাৎ জ্বর হলে
জ্বর কোনো রোগ নয় এটি রোগের একটি উপসর্গ। জ্বর সাধারণত নানা ধরনের সংক্রমণের কারনে হয়। শিশুদের সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা, আমাশয়, হাম, বসন্ত এবং আরও জটিল কোনো সংক্রমণ যেমন- নিউমোনিয়া, ম্যালেরিয়া, মেনিনজাইটিস ইত্যাদি রোগের লক্ষণ জ্বর দিয়েই প্রকাশ পায়। তাই জ্বরকে কোনভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়।



শিশুর জ্বর হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো ভালভাবে লক্ষ করুন
মেনিনজাইটিস বা মস্তিষ্কের সংক্রমণের লক্ষণ হচ্ছে ঘাড়ে শক্তভাব, সামনে-পেছনে নড়ায় সমস্যা।
নিউমোনিয়ার লক্ষণ হচ্ছে কাশি ও শ্বাসকষ্ট, ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া, বুকের খাঁচা ভেতরে ঢুকে যাওয়া, বুকে শব্দ হওয়া ইত্যাদি।
হাম, বসন্ত বা ডেঙ্গু হলে শরীরে দানা, দাগ, ফুসকুড়ি ইত্যাদি হতে পারে। কি না, দেখে নিন। আবার ওষুধের প্রতিক্রিয়া বা মারাত্মক অ্যালার্জিতেও ত্বকে এমন দানা হতে পারে।
শিশু জ্বর সত্ত্বেও খাওয়া-দাওয়া ও আচরণ স্বাভাবিক করছে কি না, খেয়াল করতে হবে। শিশু যদি দুর্বল হয়ে পড়ে, অর্ধচেতন দেখায়, শুষ্ক বা পানিশূন্য দেখায়, খিঁচুনি হয় অথবা শ্বাসকষ্ট হয়, তবে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
সাধারণত ভাইরাসজনিত সাধারণ জ্বর কয়েক দিনের মধ্যে সেরে যায়। যদি সাত দিনের বেশি স্থায়ী হয়, তাহলে তা ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, ডেঙ্গু হেমোরেজিক বা মারাত্মক অন্য কোন রোগের জন্য হতে পারে।
গা গরম হলেই কিন্তু জ্বর নয়। শিশুর বগলের নিচে থার্মোমিটার তিন থেকে পাঁচ মিনিট রাখার পর দেহের তাপমাত্রা যদি ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হয়, তবেই জ্বর আছে বলে ধরে নিতে হবে।

শিশুর হঠাৎ জ্বর হলে কি করবেন?
বড়দের ক্ষেত্রে, সাধারণ জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেলেই ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে, জ্বর হলে একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

সাধারণত এটিকে বয়স অনুযায়ী ভাগ করা যায়। যে বাচ্চাটা নতুন হলো তার এক রকম জ্বর, ১ মাস বয়সের বাচ্চার অন্য রকম জ্বর, ৩ থেকে ৪ বছরের বাচ্চার অন্যরকম আবার একটু বড় বাচ্চাদের ভিন্ন রকম। অল্প দিনের জ্বর হলে একে আমরা সাধারণত ভাইরাল জ্বর বলি। একটু ঠান্ডা, কাশির কারনে এমন জ্বর হতে পারে। মাকে মনে রাখতে হবে, এটা ভাইরাল জ্বর। জ্বরটা নিয়মিত বিরতিতে মেপে রাখা ভাল। দীর্ঘমেয়াদি না হলে, ভয়ের কোনো কারণ নেই এটা এমনিতেই কমে যাবে। আবার জ্বর একশ ডিগ্রীর ওপর হলে শিশুকে জ্বর কমানোর ওষুধ খাইয়ে দিতে হবে।

জ্বর, সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল খাওয়ানো যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে যদি শিশুর কাশি বা জ্বর না কমে এবং জ্বর চলাকালীন সময়ে যদি আপনার শিশুর বেশি বেশি বমি বা পাতলা পায়খানা হয়, খিঁচুনি হয়, শরীরে গুটি বা দানা দেখা দেয়, অনবরত কাঁদতে থাকে, তাহলে দেরি না করে অবশ্যই কোন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।

জ্বর হলে প্রাথমিকভাবে স্পঞ্জিং করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে, পুরো শরীর ভেজা নরম কাপড় অথবা তোয়ালে দিয়ে একটানা কয়েকবার আলতো করে মুছে দিলেই শরীরের তাপমাত্রা বেশ কমে যায় এবং আক্রান্ত রোগী ভালো অনুভব করে। এজন্য স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করতে হবে। কোনভাবেই খুব ঠাণ্ডা পানি আবার ব্যবহার করা ঠিক হবে না। শিশুদের ক্ষেত্রে পানিতে শিশুটিকে বসিয়ে স্পঞ্জ করা যেতে পারে।

বাচ্চাকে বেশি করে পানি খাওয়াবেন। বাচ্চার প্রস্রাব হচ্ছে কি না সেটা খেয়াল করতে হবে। বাচ্চা ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করছে কি না, খেয়াল করতে হবে। কারণ, শিশুরা জ্বরের সময় ঠিকমত খেতে চায় না।

ভাইরাল জ্বরে এন্টিবায়োটিক নয়
হঠাৎই আবহাওয়ার পরিবর্তনে, টানা বৃষ্টি হলে ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যায়। আমাদের দেশের বেশিরভাগ যায়গার কন্ডিশন প্রায় একই রকম। হঠাৎ করে আবহাওয়া পরিবর্তন হলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা কমে যায় এবং আশে পাশে অবস্থানরত কম শক্তিশালী কিছু জীবানু দিয়ে আক্রান্ত হয়ে পড়ি। সাধারণত এই জীবানু হয় ভাইরাস। একটি ব্যাপার মনে রাখতে হবে, আমরা যেই এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাই সেটা কখনোই ভাইরাসের উপর কাজ করে না, এটা কাজ করে ব্যাকটেরিয়ার উপর, আবার একেক ধরনের এন্টিবায়োটিক ঔষধ একেক ধরনের ব্যাক্টেরিয়ার উপর কাজ করে। সেজন্য, ভাইরাল জ্বরে এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

ভাইরাল জ্বরের জন্য এন্টিবায়োটিক খেলে নিম্নলিখিত সমস্যাসমুহ হতে পারেঃ
শারীরিক দূর্বলতা স্বাভাবিকের চাইতে অনেক বেশি হতে পারে।
এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স তৈরি করতে পারে।
সুপারএডেড ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যেতে পারে।

কখন বুঝবেন এটা ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন?
৪ থেকে ৫ দিন পরেও জ্বর কমে না আসলে অথবা শরীর কিছুটা ভালো হওয়ার পরিবর্তে আরও খারাপ হয়ে যাবে, এক ধরনের ইনফেকশন এর সাথে নতুন কোন ইনফেকশন দেখা দিলে বুঝতে হবে এটা ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন। এ ক্ষেত্রে ৭ দিনেও জ্বর কমবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

সিঙ্গাপুরে ওয়ার্ক পারমিটধারীদের জন্য নতুন নিয়ম: চাকরির মেয়াদ সীমা বাতিল, সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬৩ বছর
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস
সিঙ্গাপুরে ট্রেইনিং রেকর্ড এবং সার্টিফিকেট চেক করার বিস্তারিত গাইড
some common interview questions and answers for a Safety Coordinator position in Singapore
Bangla date add in your website HTML tips.
Safe work procedure for ferrying workers by lorry in singapore
ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল তিন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
Understanding the New Demerit Point System for Construction and Manufacturing Sectors
সিঙ্গাপুরে নতুন আইন: ১ জুলাই ২০২৫ থেকে ফুটপাথে বাইসাইকেল ও PMD চালানো নিষিদ্ধ, লঙ্ঘনে জরিমানা ও জেল
বসে থাকলেই কোমরে ব্যথা হওয়ার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে
Loading posts...