সুস্থ থাকতে চাইলে, শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মতো এর যত্নও সমানভাবে নিতে হবে। আজকের স্বাস্থ্য ও জীবন অনুষ্ঠানে আমরা যকৃতের যত্নে চিকিত্সকদের দেওয়া ৮ পরামর্শ নিয়ে আলোচনা করবো।
আশা করা যায়, এই পরামর্শগুলো মেনে চলতে আপনার যকৃত সুস্থ থাকবে এবং আপনিও সুস্থ থাকবেন।
সম্প্রতি একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইটে এই ৮টি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইটে এই ৮টি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তবে, সে আলোচনায় যাবার আগে আমি যকৃত সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক তথ্য শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরতে চাই।
যকৃত বা লিভার হচ্ছে দেহের বৃহত্তম গ্রন্থি।
এটি মেরুদণ্ডী ও অন্যান্য কিছু প্রাণীদেহে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
এটি প্রাণীদেহের বিপাকে ও অন্যান্য কিছু শারীরিক কাজে প্রধান ভূমিকা পালন করে।
গ্লাইকোজেনের সঞ্চয়, প্লাজমা প্রোটিন সংশ্লেষণ, ওষুধ বা অন্যান্য রাসায়নিকের বিষক্রিয়া দূর করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে এর ভূমিকা অপরিহার্য।
যকৃত মধ্যচ্ছদার নিচের অংশে অবস্থিত।
যকৃতে পিত্ত উত্পন্ন হয়; পিত্ত একধরনের ক্ষারীয় যৌগ যা পরিপাকে সহায়তা করে, বিশেষত স্নেহজাতীয় খাদ্যের ইমালসিফিকেশনে।
এ ছাড়া, যকৃত দেহের বিভিন্ন জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
যকৃত ২টি খন্ডে বিভক্ত।
লিভারের ওজনের পাঁচ থেকে দশ ভাগের বেশি চর্বি দিয়ে পূরণ হলে যে রোগটি হয় তাকে 'ফ্যাটি লিভার' বলে।
লিভারের ওজনের পাঁচ থেকে দশ ভাগের বেশি চর্বি দিয়ে পূরণ হলে যে রোগটি হয় তাকে 'ফ্যাটি লিভার' বলে।
পশ্চিমা বিশ্বে সাধারণত মদ্যপানের কারণে ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে।
তবে বহুমূত্র ,শর্করা জাতীয় খাদ্যের আধিক্য, রক্তে চর্বির আধিক্য, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা ইত্যাদি কারণেও ফ্যাটি লিভার হয়।
লিভারে জমা চর্বি অনেক সময় স্থানীয় প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং এ প্রদাহ থেকে কিছুসংখ্যক রোগীর লিভার সিরোসিস, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে লিভার ক্যানসারও হতে পারে।
প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগের কোনো উপসর্গ থাকে না, অন্য রোগের পরীক্ষা করার সময় সাধারণত রোগটি ধরা পড়ে।
কখনো কখনো পেটের উপরিভাগের ডানদিকে ব্যাথা, অবসন্নতা, ক্ষুধামান্দ্য ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
আপনি জানেন কি, আমাদের অস্থিসন্ধি, Tendon ও Ligamentইত্যাদির ওপর যকৃতের প্রভাব অনেক বেশি?
আপনি জানেন কি, আমাদের অস্থিসন্ধি, Tendon ও Ligamentইত্যাদির ওপর যকৃতের প্রভাব অনেক বেশি?
দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটার ও টেলিভিশনের সামনে বসে থাকলে অনেকের অস্থিসন্ধি, Tendon ও Ligament-এ স্টিফনেস দেখা দিতে পারে। এটি হয় আমাদের যকৃত ঠিকমতো কাজ না-করলে। তা ছাড়া, দীর্ঘক্ষণ একজায়গায় বসে থাকলে বা খেলাধুলা থেকে বিরত থাকলে দেখবেন আপনার মেজাজ খিটখিটে হয়ে গেছে।
তাই একটানা অনেকক্ষণ বসে থাকবেন না।
এটা আপনার যকৃতের স্বাস্থ্যর জন্য ভালো।
পরামর্শ দুই: অতিরিক্ত সিগারেট ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।
আমরা জানি যে, সিগারেট খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। চিকিত্সকরা বলেন, ধূমপানে পায়ের নখ থেকে শুরু করে মাথার চুল পর্যন্ত এমন কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নেই যা কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। তবে, ধূমপানে সবচে বেশি যে অঙ্গগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় যকৃত সেগুলোর একটি। আর মদের উপাদান 'ইথানল' তো যকৃতের ভয়ঙ্কর শত্রু। সিগারেটের নিকোটিন ও মদের ইথানল মানবদেহে বিভিন্ন রোগ, বিশেষ করে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং, ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন, সুস্থ থাকুন। বিশেষ করে যাদের যকৃতে সমস্যা আছে, তাদের উচিত সিগারেট ও মদ একদম ত্যাগ করা।
পরামর্শ তিন: চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না।
যদি আপনার নিজে নিজে ওষুধ খাওয়ার এই বদভ্যাস থাকে তো, আজই তা ত্যাগ করুন। এ অভ্যাস আমাদের যকৃতের জন্য খুবই খারাপ। চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেলে অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়া হয়ে যেতে পারে এবং সেক্ষেত্রে সেসব ওষুধ শরীরের যকৃতের জন্য বোঝাস্বরূপ হবে। আর যকৃতের সমস্যা ভুগছেন এমন রোগীদের উচিত চিকিত্সকে তার রোগ সম্পর্কে ঠিকমতো অবহিত করা। অন্য রোগের চিকিত্সার জন্য গেলেও, যকৃতের সমস্যার জন্য তিনি কী ওষুধ খাচ্ছেন, তা চিকিত্সককে জানাতে হবে। কারণ, যকৃতের রোগীদের জন্য চিকিত্সকরা ওষুধ প্রেসক্রাইব করার সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করেন।
পরামর্শ চার: তেলেভাজা খাবার বা চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খাবেন না।
তেল হচ্ছে আমাদের নিত্যদিনের খাবারের এক অপরিহার্য উপাদান। চর্বি আমাদের শরীরের এক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। পরিমিত চর্বিযুক্ত খাবার আমাদের শরীরে শক্তি যোগায়। কিন্তু অতিরিক্ত তেলাভাজা খাবার বা চর্বিযুক্ত খাবার কিন্তু ভালো নয়। তেলেভাজা খাবার বা চর্বিযুক্ত খাবার অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। তেলেভাজা বা অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার আমাদের যকৃতের জন্য ভালো নয়।
মাদকদ্রব্য সেবন শরীরের জন্য মারত্মক পরিণতি বয়ে আনে এটা আমরা সবাই জানি। মাদকের প্রভাবে আমাদের শরীর স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে না। যকৃতকে শরীরের এক 'রাসায়নিক কারখানা' বলে অভিহিত করা হয়। শরীরের বিভিন্ন পদার্থের রূপান্তর ও সংশ্লেষের কাজ যকৃতে সম্পন্ন হয়। যকৃত শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। আগেই বলেছি, সিগারেটের নিকোটিন ও মদের ইথানল যকৃতের মারাত্মক ক্ষতি করে। এ থেকে নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পারছেন মাদরের কী ধরনের নেতিবাচক প্রভাব যকৃতের ওপর পরে।
পরামর্শ ৬: প্রক্রিয়াকরণকৃত খাদ্য খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
প্রক্রিয়াকরণকৃত বা প্রসেস্ড খাবার খেতে আপনি পছন্দ করেন কি? এসব খাবারে প্রিজারভেটিভ নামের একধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা আমাদের যকৃতের ক্ষতি করে। এক কথায় বলা যায়, এধরনের খাবার আমাদের শরীরের শুধু ক্ষতিই করতে পারে, লাভ নয়।
পরামর্শ ৭: মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
বাংলাদেশে একটি বহুল প্রচলিত শ্লোগান আছে: রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। আসলে রাগ মাঝে মাঝে প্রয়োজনীয় হলেও, কথায় কথায় রেগে যাওয়া বা অতিরিক্ত রেগে যাওয়া কখনোই ভালো নয়। আপনি যখন প্রচণ্ড রেগে যান বা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন, তখন আপনার শরীরের নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন: পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা, বুকে ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে উচ্চ শর্করা ইত্যাদি। মেয়েদের ক্ষেত্রেও দেখা দিতে পারে বিশেষ কিছু উপসর্গ। আর এসবকিছু আপনার যকৃতের জন্য ভালো নয়। তাই, নিজের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখুন, সুস্থ থাকুন।
পরামর্শ ৮: সঠিক সময়ে এবং পর্যাপ্ত সময় ধরে ঘুমান।
প্রিয় শ্রোতা, ঘুম নিয়ে আমরা আগের অনুষ্ঠানে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
পরামর্শ দুই: অতিরিক্ত সিগারেট ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।
আমরা জানি যে, সিগারেট খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। চিকিত্সকরা বলেন, ধূমপানে পায়ের নখ থেকে শুরু করে মাথার চুল পর্যন্ত এমন কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নেই যা কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। তবে, ধূমপানে সবচে বেশি যে অঙ্গগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় যকৃত সেগুলোর একটি। আর মদের উপাদান 'ইথানল' তো যকৃতের ভয়ঙ্কর শত্রু। সিগারেটের নিকোটিন ও মদের ইথানল মানবদেহে বিভিন্ন রোগ, বিশেষ করে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং, ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন, সুস্থ থাকুন। বিশেষ করে যাদের যকৃতে সমস্যা আছে, তাদের উচিত সিগারেট ও মদ একদম ত্যাগ করা।
পরামর্শ তিন: চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না।
যদি আপনার নিজে নিজে ওষুধ খাওয়ার এই বদভ্যাস থাকে তো, আজই তা ত্যাগ করুন। এ অভ্যাস আমাদের যকৃতের জন্য খুবই খারাপ। চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেলে অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়া হয়ে যেতে পারে এবং সেক্ষেত্রে সেসব ওষুধ শরীরের যকৃতের জন্য বোঝাস্বরূপ হবে। আর যকৃতের সমস্যা ভুগছেন এমন রোগীদের উচিত চিকিত্সকে তার রোগ সম্পর্কে ঠিকমতো অবহিত করা। অন্য রোগের চিকিত্সার জন্য গেলেও, যকৃতের সমস্যার জন্য তিনি কী ওষুধ খাচ্ছেন, তা চিকিত্সককে জানাতে হবে। কারণ, যকৃতের রোগীদের জন্য চিকিত্সকরা ওষুধ প্রেসক্রাইব করার সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করেন।
পরামর্শ চার: তেলেভাজা খাবার বা চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খাবেন না।
তেল হচ্ছে আমাদের নিত্যদিনের খাবারের এক অপরিহার্য উপাদান। চর্বি আমাদের শরীরের এক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। পরিমিত চর্বিযুক্ত খাবার আমাদের শরীরে শক্তি যোগায়। কিন্তু অতিরিক্ত তেলাভাজা খাবার বা চর্বিযুক্ত খাবার কিন্তু ভালো নয়। তেলেভাজা খাবার বা চর্বিযুক্ত খাবার অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। তেলেভাজা বা অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার আমাদের যকৃতের জন্য ভালো নয়।
মাদকদ্রব্য সেবন শরীরের জন্য মারত্মক পরিণতি বয়ে আনে এটা আমরা সবাই জানি। মাদকের প্রভাবে আমাদের শরীর স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে না। যকৃতকে শরীরের এক 'রাসায়নিক কারখানা' বলে অভিহিত করা হয়। শরীরের বিভিন্ন পদার্থের রূপান্তর ও সংশ্লেষের কাজ যকৃতে সম্পন্ন হয়। যকৃত শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। আগেই বলেছি, সিগারেটের নিকোটিন ও মদের ইথানল যকৃতের মারাত্মক ক্ষতি করে। এ থেকে নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পারছেন মাদরের কী ধরনের নেতিবাচক প্রভাব যকৃতের ওপর পরে।
পরামর্শ ৬: প্রক্রিয়াকরণকৃত খাদ্য খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
প্রক্রিয়াকরণকৃত বা প্রসেস্ড খাবার খেতে আপনি পছন্দ করেন কি? এসব খাবারে প্রিজারভেটিভ নামের একধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা আমাদের যকৃতের ক্ষতি করে। এক কথায় বলা যায়, এধরনের খাবার আমাদের শরীরের শুধু ক্ষতিই করতে পারে, লাভ নয়।
পরামর্শ ৭: মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
বাংলাদেশে একটি বহুল প্রচলিত শ্লোগান আছে: রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। আসলে রাগ মাঝে মাঝে প্রয়োজনীয় হলেও, কথায় কথায় রেগে যাওয়া বা অতিরিক্ত রেগে যাওয়া কখনোই ভালো নয়। আপনি যখন প্রচণ্ড রেগে যান বা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন, তখন আপনার শরীরের নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন: পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা, বুকে ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে উচ্চ শর্করা ইত্যাদি। মেয়েদের ক্ষেত্রেও দেখা দিতে পারে বিশেষ কিছু উপসর্গ। আর এসবকিছু আপনার যকৃতের জন্য ভালো নয়। তাই, নিজের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখুন, সুস্থ থাকুন।
পরামর্শ ৮: সঠিক সময়ে এবং পর্যাপ্ত সময় ধরে ঘুমান।
প্রিয় শ্রোতা, ঘুম নিয়ে আমরা আগের অনুষ্ঠানে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
যথেষ্ট ঘুম না-হলে, আমাদের যকৃতে রক্তপ্রবাহ দুর্বল হয়।
আর এভাবে চলতে থাকলে আমাদের রোগ-প্রতিরোধক শক্তিও দিন দিন কমতে থাকে।
অতএব, আমাদের শরীরের জন্য যথেষ্ট ঘুম প্রয়োজন।
সঠিক সময়ে, সঠিক নিয়মে পর্যাপ্ত সময় ধরেন ঘুমান এবং সুস্থ থাকুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন