Recent post

শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

শিশুর ঘূম কম হলে


শিশুর ঘুম
শিশুর বুদ্ধিবৃত্তি বিকাশ, ভাষা ও বাক্শক্তি অর্জনে ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম একেক বাচ্চার একেক রকম। কেউ বেশি ঘুমায়, আবার কেউ কম। কারো ঘুম গাঢ়,কারো পাতলা। এসব নিয়ে লিখেছেন ডাক্তার আবদুল্লাহ শাহরীয়ার

ঘুম কম হলে
* ঘুমে আচ্ছন্ন ভাব
হক্লান্তি
* ঘন ঘন হাই ওঠা
* মেজাজ বিগড়ানো
* হতাশ ভাব
* মুড পরিবর্তন
* রাগ
* শিরঃপীড়া ও মাংসপেশিতে ব্যথা
* লেখাপড়া ও স্কুলে পিছিয়ে পড়া
* রক্তে শর্করার মান ও অন্যান্য বিপাকীয় সমস্যা।

ঘুম বেশি হলে
* স্থূলতা
* ক্ষুধামান্দ্য

কোন বয়সে কতটুকু ঘুম
শূন্য থেকে দুই মাস :
নবজাতকরা ২৪ ঘণ্টার প্রায় ১০ থেকে ১৯ ঘণ্টা ঘুমাবে।
প্রি-ম্যাচিওর শিশু একটু বেশি ঘুমাবে।
 বুকের দুধ পান করা শিশু একনাগাড়ে এক থেকে তিন ঘণ্টা ঘুমায়। 
অন্যদিকে বোতলে দুধ খাওয়া শিশু দুই থেকে পাঁচ ঘণ্টা টানা ঘুমায়। 
তবে মাঝখানে এক থেকে দুই ঘণ্টা জেগে থাকার বিরতি থাকে। 
প্রথম সপ্তাহ দিন ও রাতে অনেকে ঘুমাবে। আস্তে আস্তে রাতে সাড়ে আট ঘণ্টা এবং দিনে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার মতো ঘুমাবে।

দুই মাস থেকে এক বছর : 
দুই মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত শিশুর মোট ঘুমের পরিমাণ ২৪ ঘণ্টায় ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টার মতো। রাতে ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা এবং দিনে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মতো ঘুমাবে।
এক থেকে তিন বছর : 
এক থেকে তিন বছরের শিশুরা প্রতিদিন ১১ থেকে ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমায়। ১৮ মাস বয়সে দিনের বেলায় দুবারের ঘুমের চাহিদা কমে একবারে পরিণত হয়।

তিন থেকে পাঁচ বছর :
 তিন থেকে পাঁচ বছরের শিশুরা দিনে নাও ঘুমাতে পারে। তবে রাতে ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমাবে।

ছয় থেকে ১২ বছর :
 এই বয়সের শিশুরা ৯ থেকে ১১ ঘণ্টা ঘুমাবে।

১২ বছরের বেশি বয়সে : 
গড় ঘুম প্রতিদিন সাত থেকে ৯ ঘণ্টা।

ঘুমানোর আগে ও ঘুমানোর মধ্যে
* নবজাতক কেবল টানা তিন-চার ঘণ্টার বেশি ঘুমালে পায়ে সুড়সুড়ি দিয়ে জাগিয়ে বুকের দুধ পান করাতে হয়। বুকের দুধ খেয়ে তৃপ্ত থাকলে নবজাতক চার-পাঁচ ঘণ্টাও একনাগাড়ে ঘুমাবে।
* তিন মাস বয়সের শিশুরা কয়েক মিনিটের জন্য কেঁদে উঠতে পারে, আবার ঘুমে ঢলে পড়ে।
* ছয় মাসের কম বয়সী শিশুরা যদি বেশি সময় কান্না করে, তবে খিদে, প্রস্রাব-পায়খানায় ভিজে যাওয়া, ঠাণ্ডা আবহাওয়া বা অসুস্থ কি না খেয়াল রাখতে হবে। তবে রুটিনমাফিক রাতে উঠিয়ে খাওয়ানো বা পোশাক পাল্টানো দ্রুত ও শান্তভাবে করতে হবে।
* রাত ঘুমানো শিশুর সঙ্গে খেলা করা, কথা বলা, লাইট জ্বালানো-নেভানো এসব করা যাবে না।
* ছয় মাস বয়সে শিশুরা ঘুমের মধ্যে জেগে উঠলে, তার সঙ্গে কথা বলে, আদর করে, পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে হবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে ঘুমিয়ে পড়বে।
* ৬ থেকে ১২ মাসের শিশুর মধ্যে বিচ্ছেদভীতি কাজ করে। তাকে ঘুমের মধ্যে একা রেখে মা কোথাও গেলে ভয় পেয়ে জেগে উঠলে কোলে তুলে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
 আলো জ্বালানোরও দরকার নেই। গান করুন, আদুরে গলায় কথা বা ছড়া শুরু করে দিন। খেলুন এক-আধটু, প্রয়োজনে বুকে লাগান, পিঠে বা পেটে হাত বুলিয়ে দিন। ঘুমিয়ে পড়বে।
* ঘুমানোর আগে অনেক শিশু অতিরিক্ত কান্না, অস্থিরতা করে। অনেক নবজাতকের পেট ব্যথায় ঘুম নাও হতে পারে।
* ঘুমে হাত-পা কামড়ানো, মাথা দোলানো ভালো ঘুম না হওয়ার লক্ষণ।
* শিশুকে শক্ত ম্যাট্রেসে ও নরম বিছানায় ঘুম পাড়ানো উচিত নয়। নবজাতকের জন্য বালিশ বা কমফোট ব্যবহারও ঠিক নয়।

কখন ডাক্তার দেখাবেন
* অনবরত কান্না করলে।
* ঘুমিয়ে হাঁটা, ঘুমাতঙ্ক- এসব লক্ষণ দেখা গেলে।
* অনিদ্রা দীর্ঘস্থায়ী হলে।
* প্রতি রাতে পাঁচ-ছয়বার ঘুম থেকে উঠে গেলে।
* ঘুমের মধ্যে শ্বাসরোধ লক্ষণ দেখা দিলে।

কোন মন্তব্য নেই:

Popular Posts