Recent post

বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬

কেন অন্যের বেতন জানতে চাওয়া ঠিক নয় ।


কোনো প্রতিষ্ঠানই কর্মীরা ঠিক কত টাকা বেতন পাচ্ছে তা প্রকাশ করতে চায় না। 
এর কারণ হিসেবে উঠে আসে সঠিক বেতনের তথ্য প্রকাশ করতে অস্বস্তি। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফোর্বস।

আমরা অনেকেই আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী এমনকি সহকর্মীদের কাছে সঠিক বেতনের তথ্য প্রকাশ করতে চাই না।
 এটি অনেকের কাছে নিরাপদ থাকার একটি উপায়ও বটে। তবে এর পেছনে অস্বস্তির ঠিক কী কারণ রয়েছে, তা নিয়ে একটি জরিপ চালানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এতে দেখা গেছে, অনেকেরই ধারণা সবাই যদি সবার বেতন জেনে যায় তাহলে তা বিশৃঙ্খলা ডেকে আনবে।

কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি সবাই সবার বেতন জেনে যায় তাহলে তা কী ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনবে?
 এ প্রসঙ্গে কর্মীদের ধারণা, এতে কর্মীরা একে-অন্যের কাজ নিয়ে অভিযোগ করবে এবং অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়বে। এ ছাড়া বহু মানুষই যখন অন্যের বেতন জানতে পারবে তখন তা নিজের সঙ্গে তুলনা করে চাকরি ছেড়ে দেবে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, প্রতিষ্ঠানে অনেকেরই ধারণা থাকে যে, তারা অন্য সহকর্মীদের তুলনায় যোগ্যতার বিচারে কম বেতন পাচ্ছেন। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও তা সঠিক বেতনের তথ্যের অভাবে সেভাবে আলোচিত হয় না। 
কিন্তু যখন বেতনের সঠিক পরিমাণ জানা হয়ে যাবে তখন তা কর্মীদের এ অসন্তোষ বাড়িয়ে দেবে।

বেতন গোপন রাখার এ প্রবণতাকে অর্থনীতিবিদরা বলেন 'তথ্য অসামঞ্জস্য'। এ পরিস্থিতিতে কোনো একটি পক্ষকে অন্যদের তুলনায় বেশি তথ্য পাওয়ার অন্যদের কম তথ্য দেওয়ার সুবিধা পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানগুলো এ তথ্য গোপন রেখে কিছু বাড়তি সুবিধা লাভ করে। এতে কোনো কর্মীকে কম এবং কোনো কর্মীকে বেশি বেতন দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া যায়। আর এতে প্রতিষ্ঠানগুলো বেতন বাবদ প্রচুর অর্থ বাঁচাতে পারে।

যেকোনো প্রতিষ্ঠানেরই উদ্দেশ্য থাকে সাশ্রয়ী মূল্যে কর্মীদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া। প্রত্যেক কর্মীকে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন না দিয়ে কিছুটা লুকোছাপা করে বেতন দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো এ উদ্দেশ্য সাধন করে। অর্থনীতিবিদরা অবশ্য বলেন, এ গোপনীয়তা যদি সম্পূর্ণভাবে চলে যায় তাহলে তা কর্মীদের মাঝে বিশৃঙ্খলাও তৈরি করতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই:

Popular Posts