প্রায় ৪ বছর পর চলতি মাসেই মালয়েশিয়ায় যাচ্ছে বাংলাদেশি শ্রমিক। আজ বৃহস্পতিবার (২ জুন) ঢাকায় মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রীর সঙ্গে জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে এ কথা জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানবিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ। তিনি বলেন, পাঁচ বছর মেয়াদে এ চুক্তিতে বছরে দেশটিতে যাবেন এক লাখ শ্রমিক।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক শ্রমিকের বেতন হবে ১ হাজার ৫০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত। দেশটিতে যাওয়ার খরচ বা অভিবাসন ব্যয় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার কম হবে।
ইমরান আহমদ মনে করেন,মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে আর কোনও বৈঠকের হয়তো প্রয়োজন হবে না। সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী সব শর্ত মেনেই দেশটিতে জনশক্তি পাঠানো হবে। আশা করা হচ্ছে, জুনের মধ্যেই সেখানে শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তিনি জানান, সরকারের ডাটা ব্যাংক থেকে কর্মী পাঠানো হবে। এর আগে সংবাদপত্র ও টিভিতে বিজ্ঞাপন দেয়া হবে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ায় বৈধ-অবৈধ মিলে ৭ থেকে ৮ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করেন। কাছের দেশ ও যাওয়ার খরচ কম হওয়ায় দেশের অভিবাসন প্রত্যাশীদেরও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দেশটি।
নানা কারণে গেল প্রায় ৪ বছর ধরে নিষেধাজ্ঞার খড়গ ঝুলছিল মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি। শেষমেষ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দেশটিতে শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে সমঝোতা হয় বাংলাদেশের।
সে চুক্তির অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান ঢাকায় সফরে এসেছেন। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক তিনি বলেন, শ্রমিক রপ্তানিতে আর কোনও বাঁধা নেই। তবে কতটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে শ্রমিক নেয়া হবে তা জানানো হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন জানান, চলতি জুনেই খুলছে এ বাজার।দেশটিতে শ্রমিক রপ্তানির জন্য গুটি কয়েক রিক্রুটিং এজেন্সি দায়িত্ব পাচ্ছে।
এর আগে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন এম সারাভানান। এসময় প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন, টিকাদানসহ সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েই মালয়েশিয়ার শ্রমিক পাঠানো হবে। দেশটি প্রবাসী শ্রমিকদের নিরাপদ, নিয়মিত, সুশঙ্খল কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে বলে আশা করেন তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন