তাতে দুই মাস বাকি থাকতেই চলতি অর্থবছরের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তার কাছাকাছি পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই অর্থবছরে পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার।
আর চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে রপ্তানি হয়েছে ৪ হাজার ৩৩৪ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫ শতাংশ।
তবে একই সময়ে প্রবাসী আয় কমেছে প্রায় ১৬ শতাংশ। ব্যাংক খাত–সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার মধ্যে সব ধরনের যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ থাকায় সব প্রবাসী আয় বৈধ পথে দেশে এসেছিল।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫ শতাংশ।
তবে একই সময়ে প্রবাসী আয় কমেছে প্রায় ১৬ শতাংশ। ব্যাংক খাত–সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার মধ্যে সব ধরনের যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ থাকায় সব প্রবাসী আয় বৈধ পথে দেশে এসেছিল।
আর এখন ব্যাংকে ও খোলাবাজারে ডলারের দামের পার্থক্য আট টাকা ছাড়িয়েছে, এ জন্য অবৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা আবারও বাড়ছে। আর বৈধ পথে কমছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই-এপ্রিলে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৭৩০ কোটি ডলার। ২০২০–২১ অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ২ হাজার ৬৬ কোটি ডলার।
গত মার্চে রপ্তানি আয় হয় ৪৭৬ কোটি ডলার;
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই-এপ্রিলে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৭৩০ কোটি ডলার। ২০২০–২১ অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ২ হাজার ৬৬ কোটি ডলার।
রিজার্ভে চাপ কেন
গত মার্চে রপ্তানি আয় হয় ৪৭৬ কোটি ডলার; আর প্রবাসী আয় আসে ১৮৬ কোটি ডলার।
রপ্তানি ও প্রবাসী আয় মিলিয়ে মার্চে ৬৬২ কোটি ডলারের আয়ের বিপরীতে আমদানি দায় শোধ করতে হয় ৭১৪ কোটি ডলার।
তাতে ঘাটতি দাঁড়ায় ৫২ কোটি ডলার।
তবে জুলাই-মার্চের হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে ১৩০ কোটি ডলার আয় উদ্বৃত্ত আছে।
আমদানি খরচ বেড়েছে সাম্প্রতিক সময়ে।
এ কারণে সাম্প্রতিক সময়ে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করতে হয়েছে।
এখন পর্যন্ত বিক্রি করেছে ৫২০ কোটি ডলার, এতে রিজার্ভ কমে হয়েছে ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার।
আর ডলারের ওপর চাপ বাড়ায় বাড়ছে দাম।
এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা।
তবে ব্যাংকগুলো আমদানিকারকদের কাছ থেকে প্রতি ডলারের জন্য নিচ্ছে ৯৫ টাকার বেশি।
যার প্রভাব পড়ছে ভোগ্যপণ্যসহ বিভিন্ন আমদানিপণ্যে।
এমন পরিস্থিতিতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক যতটা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, জনগণের ওপর চাপ ততই কমবে বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন,আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন,আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগে আমদানি চাপ কিছুটা কমবে। তবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে দক্ষ হাতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন