ইসলামী শরীয়তের বিধানে শবে বারাআত কি?
(পর্ব-2)
“শব” শব্দটা ফার্সি। যার অর্থ হল-রাত। আর বারাআত এটি আরবী শব্দ। মূলত হল- ﺑﺮﺍﺀﺕ যার অর্থ হল “মুক্তি” তথা জাহান্নাম থেকে মুক্তির রাত হল শবে বারাআত। বরাত বলাটা নিতান্ত ভুল। কারণ শবে বরাত ( ﺑﺮﺍﺕ) মানে হল বিয়ের রাত। সুতরাং আমরা বলব-শবে বারাআত( ﺷﺐ ﺑﺮﺍﺀﺕ )
শবে বারাআতকে হাদিসের পরিভাষায় বলা হয়েছে “লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান”( ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ ) তথা শাবানের অর্ধ মাসের রাত। কেউ কেউ “শবে বরাআত” নামে হাদিসে শব্দ না থাকায় এ রাতকে অস্বিকার করার মত বোকামী সূলভ যুক্তি দিয়ে থাকেন। তাদেরকে আমি বলি-আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়া আবশ্যক বলি কুরআন হাদিসে বর্ণিত নির্দেশের কারণে। কিন্তু কুরআন -হাদিসের কোথাও কি নামাযের কথা আছে? নামায শব্দটা কুরআন হাদিসের মাঝে খুঁজতে যাওয়া যেমন বোকামী তেমন শবে বারাআত শব্দটা কুরআন- হাদিসে খুঁজতে যাওয়াও তেমন বোকামী। আমরা যাকে নামায বলি সেই অর্থবোধক কুরআন হাদিসের উদৃত শব্দ “সালাত”ই হল নামায। তেমনি আমরা যাকে “শবে বারাআত” বলি তথা শাবানের পনের তারিখের রাত এই অর্থবোধক শব্দ হাদিসে পাওয়া গেলে তা’ই হবে শবে বারাআত। আর এই অর্থবোধক হাদিসে বর্ণিত শব্দ হল “লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান”। সুতরাং তাই হল শবে বারাআত।
হাদিসের আলোকে শবে বারাআতঃ
পবিত্র কোরআনে শবে বারাআতের কোন উল্লেখ নাই। কুরআনে কেবল “লাইলাতুল কদর” তথা “শবে কদর” এর কথা উল্লেখ আছে। পবিত্র কোরআনে পঁচিশ নাম্বার পাড়ার সূরায়ে দুখানের ২ ও ৩ নং আয়াতে বর্ণিত মোবারক রজনী দ্বারা লাইলাতুল কদর তথা শবে কদর ও শবে বারাআত উদ্দেশ্য এটাই বিশুদ্ধ বলেছেন গ্রহণযোগ্য কতেক মুফাসসিরীনে কেরাম। যার পক্ষে যুক্তিও শক্তিশালী। বিস্তারিত জানতে দেখুন-
১. আদ দুররুল মানসুর-৭/৪০১-৪০৭
২. তাফসীরে কাশশাফ-৪/২৭২
৩. তাফসীরে ইবনে কাসীর-৭/২৪৬
৪. তাফসীরে বাগাভী-৭/২২৭-২২৮
তাছাড়া পাঁচটি বিখ্যাত তাফছির দেখুন- যে গুলোতে সূরা দোখানের 3 নং আয়াতের ব্যাখ্যায়" লাইলাতুল মোবারাকা" দ্বারা শবে কদর ও শবে বারাআত উদ্দেশ্য কেননা যদিও পবিত্র কোরআন নায়িল হয়েছে শবে কদরে কিন্তু বরকত নিহিত রয়েছে উভয় রজনীতে৷
পবিত্র আল কোরআনের আলোকে লাইলাতুল বারাআত বা শবে বারাআতের ফযিলতঃ
মহান আল্লাহ তাআলা সূরা দোখানের 3 নং আয়াতে এরশাদ করেনঃ
ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ
আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।
ইংরেজী অনুবাদঃ
We sent it down during a Blessed Night: for We (ever) wish to warn (against Evil).
উর্দু অনুবাদঃ
ﮨﻢ ﻧﮯ ﺍﺳﮑﻮ ﺍﺗﺎﺭﺍ ﺍﯾﮏ ﺑﺮﮐﺖ ﮐﯽ ﺭﺍﺕ ﻣﯿﮟ ﮨﻢ ﮨﯿﮟ ﮐﮩﮧ ﺳﻨﺎﻧﮯ ﻭﺍﻟﮯ .
ফার্সি অনুবাদَ
( ﺩﺧﺎﻥ - 3 )
ﺑﻪ ﺭﺍﺳﺘﯽ ﻣﺎ ﺁﻥ ﺭﺍ ﺩﺭ ﺷﺒﯽ ﭘﺮﺑﺮﮐﺖ ﻧﺎﺯﻝ ﮐﺮﺩﯾﻢ؛ ﺯﯾﺮﺍ ﮐﻪ ﻫﻤﻮﺍﺭﻩ ﺑﯿﻢ ﺩﻫﻨﺪﻩ ﺑﻮﺩﻩ ﺍﯾﻢ؛
সূরা দোখানের 3 নং আয়াতের বিশ্লেষণে লাইলাতুল মোবারাকাহ বা বরকতময় রজনী বলতে শবে কদর ও শবে বারাআত উভয় রাতকে বুঝানো হয়েছে৷যদি ও শবে কদরের রাত্রে পবিত্র কোরআন মাজিদ নাযিল হয়েছিল৷মোবারাকাহ বা বরকত উভয় রজনীতে নিহিত আছে৷ শবে কদর হচ্ছে বরকত ও ভাগ্য রজনী আর শবে বারাআত হচ্ছে মাগফিরাত ও বরকতের রজনী যা নিম্নের বিখ্যাত পাঁচটি তাফছিরের কিতাব দ্বারা প্রমানিতঃ
একঃ
গাউছে পাক,আউলিয়াকুল শিরোমণী,বড় পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী রহ.প্রণিত"তাফছিরে জিলানীতে"পবিত্র কোরআনের
সূরা কদরের 3 নং আয়াতের
ব্যাখ্যায় লাইলাতুল মোবারাকাহ বা বরকতের রজনী বলতে পবিত্র শবে কদর ও শবে বারাআতকে বুঝানো হয়েছে৷যার আরাবী এবারত গুলো নিম্নে উপস্থাপন করা হলোঃ
{ ﺇِﻧَّﺂ } ﻣﻦ ﻣﻘﺎﻡ ﻋﻈﻴﻢ ﺟﻮﺩﻧﺎ { ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ } ﺃﻱ : ﺍﺑﺘﺪﺃﻧﺎ ﺇﻧﺰﺍﻟﻪ ﺇﻟﻴﻚ ﺗﺄﻳﻴﺪﺍً ﻷﻣﺮﻙ ﻭﺗﻌﻈﻴﻤﺎً ﻟﺸﺄﻧﻚ { ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍ } ﻛﺜﻴﺮﺓ ﺍﻟﺨﻴﺮ ﻭﺍﻟﺒﺮﻛﺔ، ﻫﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ ﺃﻭ ﺍﻟﺒﺮﺍﺀﺓ، ﻭﺇﻧﻤﺎ ﺃﻧﺰﻟﻨﺎﻩ ﻣﺸﺘﻤﻼً ﻋﻠﻰ ﺍﻷﺣﻜﺎﻡ ﻭﺍﻟﻤﻮﺍﻋﻆ ﻭﺍﻟﻌﺒﺮ ﻭﺍﻷﻣﺜﺎﻝ ﻭﺍﻟﻘﺼﺺ ﻭﺍﻟﺘﻮﺍﺭﻳﺦ ﻭﺍﻟﺮﻣﻮﺯ ﻭﺍﻹﺷﺎﺭﺍﺕ ﺍﻟﻤﻨﺒﻬﺔ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻤﻌﺎﺭﻑ ﻭﺍﻟﺤﻘﺎﺋﻖ { ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ } [ ﺍﻟﺪﺧﺎﻥ 3 : ] ﻣﺨﻮﻓﻴﻦ ﺑﺈﻧﺰﺍﻝ ﻣﺎ ﻓﻴﻪ ﻣﻦ ﺍﻷﻭﺍﻣﺮ ﻭﺍﻟﻨﻮﺍﻫﻲ ﺍﻟﻮﻋﻴﺪﺍﺕ ﺍﻟﻬﺎﺋﻠﺔ ﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﺍﻧﺼﺮﻑ ﻋﻦ ﺟﺎﺩﺓ ﺍﻟﻌﺪﺍﻟﺔ ﺍﻹﻟﻬﻴﺔ ﻭﺍﻧﺤﺮﻑ ﻋﻦ ﺍﻟﻄﺮﻳﻖ ﺍﻟﻤﺴﺘﺒﻴﻦ .
দুইঃ
তাফছিরে বাগভীতে সূরা দোখানের 3 নং আয়াতের ব্যাখ্যায় এভাবে বলা হয়েছেঃ
( ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍ ۚ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ )
ﺍﻟﺪﺧﺎﻥ ( 3 )
( ﺇﻧﺎ ﺃﻧﺰﻟﻨﺎﻩ ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﻣﺒﺎﺭﻛﺔ ) ﻗﺎﻝ ﻗﺘﺎﺩﺓ ﻭﺍﺑﻦ ﺯﻳﺪ : ﻫﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ ﺃﻧﺰﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ ﻣﻦ ﺃﻡ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ، ﺛﻢ ﻧﺰﻝ ﺑﻪ ﺟﺒﺮﻳﻞ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﻧﺠﻮﻣﺎ ﻓﻲ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺳﻨﺔ . ﻭﻗﺎﻝ ﺁﺧﺮﻭﻥ : ﻫﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ .
ﺃﺧﺒﺮﻧﺎ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻮﺍﺣﺪ ﺍﻟﻤﻠﻴﺤﻲ ، ﺃﺧﺒﺮﻧﺎ ﺃﺑﻮ ﻣﻨﺼﻮﺭ ﺍﻟﺴﻤﻌﺎﻧﻲ ، ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺃﺑﻮ ﺟﻌﻔﺮ ﺍﻟﺮﻳﺎﻧﻲ ، ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺣﻤﻴﺪ ﺑﻦ ﺯﻧﺠﻮﻳﻪ ، ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺍﻷﺻﺒﻎ ﺑﻦ ﺍﻟﻔﺮﺝ ، ﺃﺧﺒﺮﻧﻲ ﺍﺑﻦ ﻭﻫﺐ ، ﺃﺧﺒﺮﻧﻲ ﻋﻤﺮﻭ ﺑﻦ ﺍﻟﺤﺎﺭﺙ ﺃﻥ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻤﻠﻚ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻤﻠﻚ ﺣﺪﺛﻪ ﺃﻥ ﺍﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺫﺋﺐ ﻭﺍﺳﻤﻪ ﻣﺼﻌﺐ ﺣﺪﺛﻪ ﻋﻦ ﺍﻟﻘﺎﺳﻢ ﺑﻦ ﻣﺤﻤﺪ ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ ﺃﻭ ﻋﻤﻪ ﻋﻦ ﺟﺪﻩ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﻗﺎﻝ : " ﻳﻨﺰﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺟﻞ ﺛﻨﺎﺅﻩ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻓﻴﻐﻔﺮ ﻟﻜﻞ ﻧﻔﺲ ﺇﻻ ﺇﻧﺴﺎﻧﺎ ﻓﻲ ﻗﻠﺒﻪ ﺷﺤﻨﺎﺀ ﺃﻭ ﻣﺸﺮﻛﺎ ﺑﺎﻟﻠﻪ " ( ﺇﻧﺎ ﻛﻨﺎ ﻣﻨﺬﺭﻳﻦ ) .
তিনঃ
তাফছিরে তাবারীতে সূরা দোখানের 3 নং আয়াতের বিশ্লেষনে এভাবে বলা হয়েছেঃ
3- ﺇﻧﺎ ﺃﻧﺰﻟﻨﺎﻩ ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﻣﺒﺎﺭﻛﺔ ﺇﻧﺎ ﻛﻨﺎ ﻣﻨﺬﺭﻳﻦ
ﻭﻗﻮﻟﻪ : { ﺇﻧﺎ ﺃﻧﺰﻟﻨﺎﻩ ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﻣﺒﺎﺭﻛﺔ } ﺃﻗﺴﻢ ﺟﻞ ﺛﻨﺎﺅﻩ ﺑﻬﺬﺍ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ، ﺃﻧﻪ ﺃﻧﺰﻟﻪ ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﻣﺒﺎﺭﻛﺔ . ﻭﺍﺧﺘﻠﻒ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺘﺄﻭﻳﻞ ﻓﻲ ﺗﻠﻚ ﺍﻟﻠﻴﻠﺔ، ﺃﻱ ﻟﻴﻠﺔ ﻣﻦ ﻟﻴﺎﻟﻲ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻫﻲ؟ ﻓﻘﺎﻝ ﺑﻌﻀﻬﻢ : ﻫﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ . ﺫﻛﺮ ﻣﻦ ﻗﺎﻝ ﺫﻟﻚ :23998- ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺑﺸﺮ، ﻗﺎﻝ : ﺛﻨﺎ ﻳﺰﻳﺪ، ﻗﺎﻝ : ﺛﻨﺎ ﺳﻌﻴﺪ، ﻋﻦ ﻗﺘﺎﺩﺓ { ﺇﻧﺎ ﺃﻧﺰﻟﻨﺎﻩ ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﻣﺒﺎﺭﻛﺔ } ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ، ﻭﻧﺰﻟﺖ ﺻﺤﻒ ﺇﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﻓﻲ ﺃﻭﻝ ﻟﻴﻠﺔ ﻣﻦ ﺭﻣﻀﺎﻥ، ﻭﻧﺰﻟﺖ ﺍﻟﺘﻮﺭﺍﺓ ﻟﺴﺖ ﻟﻴﺎﻝ ﻣﻀﺖ ﻣﻦ ﺭﻣﻀﺎﻥ، ﻭﻧﺰﻝ ﺍﻟﺰﺑﻮﺭ ﻟﺴﺖ ﻋﺸﺮﺓ ﻣﻀﺖ ﻣﻦ ﺭﻣﻀﺎﻥ، ﻭﻧﺰﻝ ﺍﻹﻧﺠﻴﻞ ﻟﺜﻤﺎﻥ ﻋﺸﺮﺓ ﻣﻀﺖ ﻣﻦ ﺭﻣﻀﺎﻥ، ﻭﻧﺰﻝ ﺍﻟﻔﺮﻗﺎﻥ ﻷﺭﺑﻊ ﻭﻋﺸﺮﻳﻦ ﻣﻀﺖ ﻣﻦ ﺭﻣﻀﺎﻥ .- ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻷﻋﻠﻰ، ﻗﺎﻝ : ﺛﻨﺎ ﺍﺑﻦ ﺛﻮﺭ، ﻋﻦ ﻣﻌﻤﺮ، ﻋﻦ ﻗﺘﺎﺩﺓ، ﻓﻲ ﻗﻮﻟﻪ : { ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﻣﺒﺎﺭﻛﺔ } ﻗﺎﻝ : ﻫﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ .23999- ﺣﺪﺛﻨﻲ ﻳﻮﻧﺲ، ﻗﺎﻝ : ﺃﺧﺒﺮﻧﺎ ﺍﺑﻦ ﻭﻫﺐ، ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﺯﻳﺪ، ﻓﻲ ﻗﻮﻟﻪ ﻋﺰ ﻭﺟﻞ : { ﺇﻧﺎ ﺃﻧﺰﻟﻨﺎﻩ ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﻣﺒﺎﺭﻛﺔ ﺇﻧﺎ ﻛﻨﺎ ﻣﻨﺬﺭﻳﻦ } ﻗﺎﻝ : ﺗﻠﻚ ﺍﻟﻠﻴﻠﺔ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ، ﺃﻧﺰﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻣﻦ ﺃﻡ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ، ﺛﻢ ﺃﻧﺰﻟﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻷﻧﺒﻴﺎﺀ ﻓﻲ ﺍﻟﻠﻴﺎﻟﻲ ﻭﺍﻷﻳﺎﻡ، ﻭﻓﻲ ﻏﻴﺮ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ . ﻭﻗﺎﻝ ﺁﺧﺮﻭﻥ : ﺑﻞ ﻫﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ . ﻭﺍﻟﺼﻮﺍﺏ ﻣﻦ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﻗﻮﻝ ﻣﻦ ﻗﺎﻝ : ﻋﻨﻲ ﺑﻬﺎ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ، ﻷﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺟﻞ ﺛﻨﺎﺅﻩ ﺃﺧﺒﺮ ﺃﻥ ﺫﻟﻚ ﻛﺬﻟﻚ ﻟﻘﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ : { ﺇﻧﺎ ﻛﻨﺎ ﻣﻨﺬﺭﻳﻦ } ﺧﻠﻘﻨﺎ ﺑﻬﺬﺍ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﺍﻟﺬﻱ ﺃﻧﺰﻟﻨﺎﻩ ﻓﻲ ﺍﻟﻠﻴﻠﺔ ﺍﻟﻤﺒﺎﺭﻛﺔ ﻋﻘﻮﺑﺘﻨﺎ ﺃﻥ ﺗﺤﻞ ﺑﻤﻦ ﻛﻔﺮ ﻣﻨﻬﻢ، ﻓﻠﻢ ﻳﻨﺐ ﺇﻟﻰ ﺗﻮﺣﻴﺪﻧﺎ، ﻭﺇﻓﺮﺍﺩ ﺍﻷﻟﻮﻫﺔ ﻟﻨﺎ .
চারঃ
তাফছিরে কুরতবী শরীফে সূরা দোখানের 3 নং আয়াতের ব্যাখ্যায় এভাবে বলা হয়েছেঃ
ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ
ﺇﻥ ﺟﻌﻠﺖ « ﺣﻢ » ﺟﻮﺍﺏ ﺍﻟﻘﺴﻢ ﺗﻢ ﺍﻟﻜﻼﻡ ﻋﻨﺪ ﻗﻮﻟﻪ : « ﺍﻟﻤﺒﻴﻦ » ﺛﻢ ﺗﺒﺘﺪﺉ « ﺇﻧﺎ ﺃﻧﺰﻟﻨﺎﻩ » . ﻭﺇﻥ ﺟﻌﻠﺖ « ﺇﻧﺎ ﻛﻨﺎ ﻣﻨﺬﺭﻳﻦ » ﺟﻮﺍﺏ ﺍﻟﻘﺴﻢ ﺍﻟﺬﻱ ﻫﻮ « ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ » ﻭﻗﻔﺖ ﻋﻠﻰ « ﻣﻨﺬﺭﻳﻦ » ﻭﺍﺑﺘﺪﺃﺕ « ﻓﻴﻬﺎ ﻳﻔﺮﻕ ﻛﻞ ﺃﻣﺮ ﺣﻜﻴﻢ » . ﻭﻗﻴﻞ : ﺍﻟﺠﻮﺍﺏ « ﺇﻧﺎ ﺃﻧﺰﻟﻨﺎﻩ » ، ﻭﺃﻧﻜﺮﻩ ﺑﻌﺾ ﺍﻟﻨﺤﻮﻳﻴﻦ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﻛﺎﻥ ﺻﻔﺔ ﻟﻠﻤﻘﺴﻢ ﺑﻪ، ﻭﻻ ﺗﻜﻮﻥ ﺻﻔﺔ ﺍﻟﻤﻘﺴﻢ ﺑﻪ ﺟﻮﺍﺑﺎ ﻟﻠﻘﺴﻢ، ﻭﺍﻟﻬﺎﺀ ﻓﻲ « ﺃﻧﺰﻟﻨﺎﻩ » ﻟﻠﻘﺮﺁﻥ . ﻭﻣﻦ ﻗﺎﻝ : ﺃﻗﺴﻢ ﺑﺴﺎﺋﺮ ﺍﻟﻜﺘﺐ ﻓﻘﻮﻟﻪ : « ﺇﻧﺎ ﺃﻧﺰﻟﻨﺎﻩ » ﻛﻨﻰ ﺑﻪ ﻋﻦ ﻏﻴﺮ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ، ﻋﻠﻰ ﻣﺎ ﺗﻘﺪﻡ ﺑﻴﺎﻧﻪ ﻓﻲ ﺃﻭﻝ « ﺍﻟﺰﺧﺮﻑ » ﻭﺍﻟﻠﻴﻠﺔ ﺍﻟﻤﺒﺎﺭﻛﺔ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ . ﻭﻳﻘﺎﻝ : ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ، ﻭﻟﻬﺎ ﺃﺭﺑﻌﺔ ﺃﺳﻤﺎﺀ ﺍﻟﻠﻴﻠﺔ ﺍﻟﻤﺒﺎﺭﻛﺔ، ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺒﺮﺍﺀﺓ، ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺼﻚ، ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ . ﻭﻭﺻﻔﻬﺎ ﺑﺎﻟﺒﺮﻛﺔ ﻟﻤﺎ ﻳﻨﺰﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻴﻬﺎ ﻋﻠﻰ ﻋﺒﺎﺩﻩ ﻣﻦ ﺍﻟﺒﺮﻛﺎﺕ ﻭﺍﻟﺨﻴﺮﺍﺕ ﻭﺍﻟﺜﻮﺍﺏ . ﻭﺭﻭﻯ ﻗﺘﺎﺩﺓ ﻋﻦ ﻭﺍﺛﻠﺔ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : « ﺃﻧﺰﻟﺖ ﺻﺤﻒ ﺇﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﻓﻲ ﺃﻭﻝ ﻟﻴﻠﺔ ﻣﻦ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻭﺃﻧﺰﻟﺖ ﺍﻟﺘﻮﺭﺍﺓ ﻟﺴﺖ ﻣﻀﻴﻦ ﻣﻦ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻭﺃﻧﺰﻟﺖ ﺍﻟﺰﺑﻮﺭ ﻻﺛﻨﺘﻲ ﻋﺸﺮﺓ ﻣﻦ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻭﺃﻧﺰﻝ ﺍﻹﻧﺠﻴﻞ ﻟﺜﻤﺎﻥ ﻋﺸﺮﺓ ﺧﻠﺖ ﻣﻦ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻭﺃﻧﺰﻝ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻷﺭﺑﻊ ﻭﻋﺸﺮﻳﻦ ﻣﻀﺖ ﻣﻦ ﺭﻣﻀﺎﻥ » . ﺛﻢ ﻗﻴﻞ : ﺃﻧﺰﻝ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻛﻠﻪ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻓﻲ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻠﻴﻠﺔ . ﺛﻢ ﺃﻧﺰﻝ ﻧﺠﻤﺎ ﻧﺠﻤﺎ ﻓﻲ ﺳﺎﺋﺮ ﺍﻷﻳﺎﻡ ﻋﻠﻰ ﺣﺴﺐ ﺍﺗﻔﺎﻕ ﺍﻷﺳﺒﺎﺏ . ﻭﻗﻴﻞ : ﻛﺎﻥ ﻳﻨﺰﻝ ﻓﻲ ﻛﻞ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ ﻣﺎ ﻳﻨﺰﻝ ﻓﻲ ﺳﺎﺋﺮ ﺍﻟﺴﻨﺔ . ﻭﻗﻴﻞ : ﻛﺎﻥ ﺍﺑﺘﺪﺍﺀ ﺍﻹﻧﺰﺍﻝ ﻓﻲ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻠﻴﻠﺔ . ﻭﻗﺎﻝ ﻋﻜﺮﻣﺔ : ﺍﻟﻠﻴﻠﺔ ﺍﻟﻤﺒﺎﺭﻛﺔ ﻫﺎ ﻫﻨﺎ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ . ﻭﺍﻷﻭﻝ ﺃﺻﺢ ﻟﻘﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ : « ﺇﻧﺎ ﺃﻧﺰﻟﻨﺎﻩ ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ » « ﺍﻟﻘﺪﺭ 1 : » . ﻗﺎﻝ ﻗﺘﺎﺩﺓ ﻭﺍﺑﻦ ﺯﻳﺪ : ﺃﻧﺰﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻛﻠﻪ ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ ﻣﻦ ﺃﻡ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﺇﻟﻰ ﺑﻴﺖ ﺍﻟﻌﺰﺓ ﻓﻲ ﺳﻤﺎﺀ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ، ﺛﻢ ﺃﻧﺰﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻰ ﻧﺒﻴﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﻲ ﺍﻟﻠﻴﺎﻟﻲ ﻭﺍﻷﻳﺎﻡ ﻓﻲ ﺛﻼﺙ ﻭﻋﺸﺮﻳﻦ ﺳﻨﺔ . ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻤﻌﻨﻰ ﻗﺪ ﻣﻀﻰ ﻓﻲ « ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ » ﻋﻨﺪ ﻗﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ : « ﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺍﻟﺬﻱ ﺃﻧﺰﻝ ﻓﻴﻪ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ » « ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ 185 : » ، ﻭﻳﺄﺗﻲ ﺁﻧﻔﺎ ﺇﻥ ﺷﺎﺀ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ .
পাঁচঃ
জগত বিখ্যাত তাফছির তাফছিরে জালালাইন শরীফে সূরা দোখানের 3 নং আয়াতের ব্যাখ্যায়-লাইলাতুল মোবারাকাহ বলতে শবে কদর ও শবে বারাআতকে বুঝানো হয়েছে যা নিম্নরুপঃ
{3} ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧْﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨْﺬِﺭِﻳﻦَ
" ﺇﻧَّﺎ ﺃَﻧْﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔ ﻣُﺒَﺎﺭَﻛَﺔ " ﻫِﻲَ ﻟَﻴْﻠَﺔ ﺍﻟْﻘَﺪْﺭ ﺃَﻭْ ﻟَﻴْﻠَﺔ ﺍﻟﻨِّﺼْﻒ ﻣِﻦْ ﺷَﻌْﺒَﺎﻥ ﻧَﺰَﻝَ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻣِﻦْ ﺃُﻡّ ﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀ ﺍﻟﺴَّﺎﺑِﻌَﺔ ﺇﻟَﻰ ﺳَﻤَﺎﺀ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ " ﺇﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨْﺬِﺭِﻳﻦَ " ﻣُﺨَﻮِّﻓِﻴﻦَ ﺑِﻪِ .
অতএব উল্লেখিত ইসলামী শরীয়তের দলিল- আদিল্লাহ দ্বারা প্রমানিত যে, লাইলাতুল বারাআত বা পবিত্র শবে বারাআতের ফযিলত ইসলামী শরীয়ত সম্মত রীতি-নীতির সহিহ আমলের মাধ্যমে স্বীকৃত৷যে বা যারা বলে শবে বারাআতের অস্তিত্ব কোরআন- হাদীছের কিতাবে নেই তদগতিতে আমি বলব যে, ওদের মত জাহিল বা মূর্খ ও দুনিয়াতে নেই৷মূর্খরাই না জেনে না বুঝে ফতোয়া দিয়ে সমাজে ফিতনা- ফাসাদ সৃষ্টি করে৷মহান আল্লাহর সৃষ্ট দুনিয়াতে এমন মায়ের সন্তান আছ যে,উপরে উল্লেখিত পবিত্র কোরআনের বিশ্লেষণ সমূহ অস্বীকার করতে পারবে? চ্যালেঞ্জ! চ্যালেঞ্জ কখনো উল্লেখিত দলিল- আদিল্লাহ অস্বীকার করতে পারবেনা৷আসুন! আমরা ইমানদার মুসলমান হিসেবে পবিত্র শবে বারাআত পালন করি ও লা- মাজহাবী আহলে হদস ও আহলে খবিছদেরকে দেশ এবং সমাজ হতে বর্জন করি৷
ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺇِﺳْﻤَﺎﻋِﻴﻞُ ﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻲ ﺃُﻭَﻳْﺲٍ، ﻗَﺎﻝَ ﺣَﺪَّﺛَﻨِﻲ ﻣَﺎﻟِﻚٌ، ﻋَﻦْ ﻫِﺸَﺎﻡِ ﺑْﻦِ ﻋُﺮْﻭَﺓَ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ، ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺍﻟْﻌَﺎﺹِ، ﻗَﺎﻝَ ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳَﻘُﻮﻝُ " ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻻَ ﻳَﻘْﺒِﺾُ ﺍﻟْﻌِﻠْﻢَ ﺍﻧْﺘِﺰَﺍﻋًﺎ، ﻳَﻨْﺘَﺰِﻋُﻪُ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻌِﺒَﺎﺩِ، ﻭَﻟَﻜِﻦْ ﻳَﻘْﺒِﺾُ ﺍﻟْﻌِﻠْﻢَ ﺑِﻘَﺒْﺾِ ﺍﻟْﻌُﻠَﻤَﺎﺀِ، ﺣَﺘَّﻰ ﺇِﺫَﺍ ﻟَﻢْ ﻳُﺒْﻖِ ﻋَﺎﻟِﻤًﺎ، ﺍﺗَّﺨَﺬَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﺭُﺀُﻭﺳًﺎ ﺟُﻬَّﺎﻻً ﻓَﺴُﺌِﻠُﻮﺍ، ﻓَﺄَﻓْﺘَﻮْﺍ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﻋِﻠْﻢٍ، ﻓَﻀَﻠُّﻮﺍ ﻭَﺃَﺿَﻠُّﻮﺍ "
ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟْﻔِﺮَﺑْﺮِﻱُّ ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻋَﺒَّﺎﺱٌ ﻗَﺎﻝَ ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻗُﺘَﻴْﺒَﺔُ ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺟَﺮِﻳﺮٌ ﻋَﻦْ ﻫِﺸَﺎﻡٍ ﻧَﺤْﻮَﻩُ .
This Hadith is Narrated by Hazrat Abdullah bin Amr bin Al-As (bless be upon him) I heard Allah's Messenger (Peace be upon him) saying, "Allah does not take away the knowledge, by taking it away from (the hearts of) the people, but takes it away by the death of the religious learned men till when none of the (religious learned men) remains, people will take as their leaders ignorant persons who when consulted will give their verdict without knowledge. So they will go astray and will lead the people astray."
Sahih Bukhari
(Knowledge)
Reference : Sahih al-Bukhari 100
In-book reference : Book 3, Hadith 42
বিভিন্ন হাদিসে শবে বারাআতের বর্ণনা এসেছে। নিম্নে একটি হাদিস উদ্ধৃত করে এ ব্যাপারে কথিত আহলে হাদিসদের ইমাম শায়েখ নাসীরুদ্দীন আলবানী এর বিখ্যাত গ্রন্থ “আস সিলসিলাতুস সাহিহাহ আল মুজাল্লাদাতুল কামিলাহ” গ্রন্থে ৩ নং খন্ডে ১১৪৪ নং অধ্যায়ে ২১৮ নাম্বার পৃষ্ঠায় শবে বরাআত সম্পর্কে হাদিস এনে যে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন তার বাংলা অনুবাদ তুলে ধরা হল-
হাদিস-“মধ্য শাবানের রাতে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের নিকট আবির্ভূত হন, তারপর সকল সৃষ্টিকে মাফ করে দেন মুশরিক ও ঝগড়াকারী ছাড়া।
আলবানী তার সিলসিলাতুস সাহিহাহর ৩ নং খন্ডের ১৩৫ নং পৃষ্ঠায় বলেন। “এই হাদিসটি সহীহ” এটি সাহাবাদের এক জামাত বর্ণনা করেছেন বিভিন্ন সূত্রে যার একটি অন্যটিকে শক্তিশালী করেছে। তাদের মাঝে রয়েছেন # মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ # আবু সা’লাবা রাঃ # আব্দুল্লাহ বিন আমর রাঃ # আবু মুসা আশয়ারী রাঃ # আবু হুরায়রা রাঃ # আবু বকর সিদ্দীক রাঃ # আউফ বিন মালিক রাঃ # আয়েশা রাঃ প্রমুখ সাহাবাগণ।
উপরে বর্ণিত সবক’টি বর্ণনাকারীর হাদিস তিনি তার কিতাবে আনার মাধ্যমে সুদীর্ঘ আলোচনার পর শেষে তিনি বলেন-
ﻭ ﺟﻤﻠﺔ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺃﻥ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﺑﻤﺠﻤﻮﻉ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻄﺮﻕ ﺻﺤﻴﺢ ﺑﻼ ﺭﻳﺐ ﻭ ﺍﻟﺼﺤﺔ ﺗﺜﺒﺖ ﺑﺄﻗﻞ ﻣﻨﻬﺎ
ﻋﺪﺩﺍ ﻣﺎ ﺩﺍﻣﺖ ﺳﺎﻟﻤﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﻀﻌﻒ ﺍﻟﺸﺪﻳﺪ ﻛﻤﺎ ﻫﻮ ﺍﻟﺸﺄﻥ ﻓﻲ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ، ﻓﻤﺎ ﻧﻘﻠﻪ
ﺍﻟﺸﻴﺦ ﺍﻟﻘﺎﺳﻤﻲ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻓﻲ ” ﺇﺻﻼﺡ ﺍﻟﻤﺴﺎﺟﺪ ” ( ﺹ 107 ) ﻋﻦ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺘﻌﺪﻳﻞ
ﻭ ﺍﻟﺘﺠﺮﻳﺢ ﺃﻧﻪ ﻟﻴﺲ ﻓﻲ ﻓﻀﻞ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ ﺣﺪﻳﺚ ﺻﺤﻴﺢ ، ﻓﻠﻴﺲ ﻣﻤﺎ ﻳﻨﺒﻐﻲ
ﺍﻻﻋﺘﻤﺎﺩ ﻋﻠﻴﻪ ، ﻭ ﻟﺌﻦ ﻛﺎﻥ ﺃﺣﺪ ﻣﻨﻬﻢ ﺃﻃﻠﻖ ﻣﺜﻞ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﻓﺈﻧﻤﺎ ﺃﻭﺗﻲ ﻣﻦ ﻗﺒﻞ
ﺍﻟﺘﺴﺮﻉ ﻭ ﻋﺪﻡ ﻭﺳﻊ ﺍﻟﺠﻬﺪ ﻟﺘﺘﺒﻊ ﺍﻟﻄﺮﻕ ﻋﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﻨﺤﻮ ﺍﻟﺬﻱ ﺑﻴﻦ ﻳﺪﻳﻚ . ﻭ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻫﻮ ﺍﻟﻤﻮﻓﻖ .
অর্থাৎ সারকথা হল এই যে, নিশ্চয় এই হাদিসটি এই সকল সূত্র পরম্পরা দ্বারা সহীহ, এতে কোন সন্দেহ নেই। আর সহীহ হওয়া এর থেকে কম সংখ্যক বর্ণনার দ্বারাও প্রমাণিত হয়ে যায়, যতক্ষণ না মারাত্মক কোন দুর্বলতা থেকে বেঁচে যায়, যেমন এই হাদিসটি হয়েছে। আর যা বর্ণিত শায়েখ কাসেমী থেকে তার প্রণিত “ইসলাহুল মাসাজিদ” গ্রন্থের ১০৭ নং পৃষ্ঠায় জারাহ তা’দীল ইমামদের থেকে যে, “শাবানের অর্ধ মাসের রাতের কোন ফযীলত সম্পর্কে কোন হাদিস নেই মর্মে” সেই বক্তব্যের উপর নির্ভর করা যাবেনা। আর যদি কেউ তা মেনে নেয় সে হবে ঝাঁপিয়ে পড়া(ঘারতেড়া) স্বভাবের, আর তার ব্যাখ্যা- বিশ্লেষণ ও গবেষণা-উদ্ভাবনের কোন যোগ্যতাই নেই তাই আমি মনে করি৷এক মাত্র ঘৃনিত জাহিল এবং মুনাফিকরাই পবিত্র শবে বারাআতের ফযিলত মূলক সহিহ হাদীছ সমূহ অস্বীকার করে থাকে৷আর শবে বারাআতের মহিমাময় পবিত্র রাতকে এনকার করণেওয়ালা কাগা মৌলভীরাই আমাদের দেশ ও সমাজে আহলে হাদীছ,আহলে হদস বা আহলে খবিছ নামে পরিচিত৷আহলে হাদীছের প্রখ্যাত গুরুজী
আল্লামা শায়েখ আলবানী এর বিশ্লেষণ থেকে একথা নির্ধিদ্ধায় আমরা বলতে পারি যে,সহিহ হাদিস দ্বারা শবে বারাআত প্রমাণিত।
খাদেমুল ইফতাঃ
মুফতি শাইখ এস এম নুরুল ইসলাম নকশবন্দী- মুজাদ্দেদী,সদর সিলেট৷
Dated in 17/04/2019 on Wednesday.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন