রাশিয়ার নতুন মানুষবিহীন (ড্রোন) পারমাণবিক সাবমেরিনে ৩০০ ফুট উঁচু সুনামি তৈরি হবে। ফলে সমুদ্র উপকূলবর্তী শহরগুলো মুহূর্তেই পানিতে ডুবে যাবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্টেইটাস-৬ ব্যবস্থা নামে এই ড্রোন সাবমেরিনকে পুতিনস ডুমসডে মেশিন নামেও ডাকা হয়। যার বাংলা করলে দাঁড়ায়- পুতিনের পৃথিবী ধ্বংসে যন্ত্র।
প্রলয়ঙ্করী জলোচ্ছ্বাস তৈরি করে শহরের পর শহর ধ্বংস করে দিতে পারে বলেই এটিকে এই নাম দেয়া হয়েছে। খবর ডেইলি মেইলের।
গত মাসে স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণে পুতিন নিজেই এই সাবমেরিন নির্মাণের কথা স্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পানির নিচে ৫০ মেগাটনের পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ৩২০ ফুটের বেশি উঁচু জলোচ্ছ্বাস তৈরি করতে পারবে এই যন্ত্রটি।
পুতিনের স্টেইটাস-৬ সাবমেরিন ছয় হাজার ২০০ মাইলে দূরে পর্যন্ত হামলা চালাতে পারবে। এর গতি ঘণ্টায় ৫৬ নটিক্যাল মাইল।
পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ডুবোজাহাজ যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালাতেও সক্ষম বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
১ মার্চে দেয়া ভাষণে পুতিন বলেন, উচ্চগতির এই ডুবোজাহাজ আন্তঃমহাদেশীয় হামলা চালাতে সক্ষম। এটি একদিকে যেমন পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে, অন্যদিকে যুদ্ধজাহাজসহ সমুদ্র উপকূলের যে কোনো স্থাপনায় অনায়াসে হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস করে দিতে পারবে।
তিনি বলেন, সমুদ্রের এত গভীর থেকে উচ্চগতিতে হামলা চালাতে সক্ষম যে শত্রুরা এটিকে বাধা দেয়ার সুযোগ পাবে না, এটি সত্যিই অসাধারণ।
পদার্থবিদ ও পারমাণবিক অস্ত্র গবেষক রেক্স রিচার্ডসন বলেন, মানববিহীন এই ডুবোজাহাজ মুহূর্তেই সমুদ্র উপকূলের শহরগুলো ধ্বংস করে দিতে পারবে।
তিনি বলেন, এটি ২০-৫০ মেগাটনের যে পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে, তাতে ২০১১ সালের জাপানের সুনামি কিংবা তার চেয়েও আরও ধ্বংসাত্মক সুনামি তৈরিতে সক্ষম হবে। জাপানের সুনামিতে ১৬ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল।
রিচার্ডসন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সমুদ্র উপকূলে এই ডুবোজাহাজের পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করে তেজস্ক্রিয় বৃষ্টির মাধ্যমে লস অ্যাঞ্জেলেস ও সান দিয়াগোর মতো শহরে ব্যাপক বিপর্যয় তৈরি করা সম্ভব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন