Recent post

সোমবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৬

ঔষধ ছাড়াই দূর করুন মাথা ব্যথা।


  • প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যান। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান।
  • হালকা ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম করলে শরীরের রক্ত চলাচল ভাল হবে, ফলে মাথাব্যথা দূর হবে।
  • চিন্তা মুক্ত থাকুন।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
  • কফি কিংবা চা পান করতে পারেন। চা ও কফিতে বিদ্যমান ক্যাফেইন মাথাব্যথার অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।
  • লবঙ্গ গুঁড়ো করে পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে নিয়ে ঘ্রাণ নিন। এতে মাথাব্যথা কমে যাবে।
  • হালকা গরম পানিতে হাত-পা ভিজিয়ে রাখুন। এতে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। ফলে মাথাব্যথা কমে যাবে।
  • একটানা কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপে কাজ করবেন না। মাঝে মাঝে চোখকে বিশ্রাম দিন।
  • মাথা, কপাল ও ঘাড় ভালোমতো ম্যাসাজ করুন। এতেও মাথাব্যথা দূর হবে।
  • কাঙ্ক্ষিত অনাকাঙ্ক্ষিত সব পরিস্থিতি থেকে আনন্দ খুঁজে নিন, প্রাণ খুলে হাসুন
আপনরা জানেন কি? ব্যথা ও রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত প্রাচীন চীনের চিকিত্সা পদ্ধতি হলো আকুপ্রেশার।  মানবদেহের রোগ নির্ণয়, রোগ নিরাময় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুবই কার্যকর পদ্ধতি হলো আকুপ্রেশার। অনেকে হয়তো বলবেন, শরীরে সুচ দিয়ে যে চিকিৎসা করা হয়, সেটি কি ? বন্ধুরা, সেটি হলো আকুপাংচার। আকুপ্রেশারে সুচ ব্যবহার করা হয় না। তাই হঠাৎ ব্যথার কোনো ভয় নেই। শুধুমাত্র বাম ও ডান হাতের আঙ্গুল দিয়ে বিভিন্ন আকুপয়েন্টে চাপ দিলে এবং বেশ দ্রুত মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এবার আমরা প্রথমেই আপনাদের জানিয়ে দেবো সে আকুপয়েন্টগুলো সম্পর্কে।

থাইইয়াং আকুপয়েন্ট :

কপাল এবং চোখের বাইরের কোণ থেকে এক আঙ্গুল দূরে  খানিকটা নিচু অংশে অবস্থিত এ আকুপেয়েন্ট। এ আকুপেয়েন্টে প্রেশার দিলে মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
পদ্ধতি: দু’হাতের বুড়ো আঙ্গুল বা তর্জনী পৃথকভাবে দু’টি থাইইয়াং আকুপয়েন্টে রাখুন এবং হালকাভাবে আঙ্গুল ঘুরাতে থাকুন। প্রতিবার চল্লিশ সেকেন্ডের মতো হালকা চাপ দিয়ে ওই স্থানে আঙ্গুল ঘুরানো হলে মাথা ব্যথা দূর হয়ে যাবে। যে কেউ এই বিশেষ পয়েন্টটিতে চাপ দিতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে খুব বেশি পরিমাণ চাপ দেয়া ঠিক নয়। চাপ দেয়ার সময় অল্প ব্যথা সৃষ্টি হলে তাই যথেষ্ট। মাথা ব্যথা অনুযায়ী এটা প্রতিদিন করা যেতে পারে।

পাইহুই আকুয়েন্ট:

মাথার উপরিভাগের ঠিক কেন্দ্রে অবস্থিত পাইহুই আকুপয়েন্ট। এ আকুপয়েন্টে প্রেশার দিলে সতেজ অনুভূতি তৈরি হবে।
পদ্ধতি: দুহাতের বুড়ো আঙ্গুল বা তর্জনী দিয়ে একসঙ্গে পাইহুই আকুপয়েন্ট প্রেশার দিন। ধীরে ধীরে চাপ প্রয়োগ করুন, অল্প ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এভাবে প্রতিবার ৩০ সেকেন্ড ধরে চাপ দিতে থাকুন। নির্ধারিত স্থানে হালকাভাবে আঙ্গুল ঘুরান। এভাবে প্রতিদিন ৫ বার করা যেতে পারে।

ফেংছি আকুপয়েন্ট :

মাথার পিছনে ঘাড় সংলগ্ন গর্তের মতো স্থানগুলো হলো ফেংছি আকুপয়েন্ট। এ পয়েন্টে চাপ দিলে মাথাব্যথা কমে যায় এবং মস্তিষ্ক সতেজ হয়ে ওঠে। পাশাপাশি চোখ জ্বালাপোড়া বা ব্যথাও কমে যায়। বিশেষ করে যারা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন, তাদের উচিত এ আকুপয়েন্টে ঘন ঘন হালকা মাসাজ করা।
পদ্ধতি: দেহ সোজা এবং মাথা খানিকটা নিচু করুন। তারপর দু’হাতের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে দু’পাশের ফেংছি আকুপয়েন্টে চাপ দিন। হালকাভাবে আঙ্গুল ঘুরাতে থাকুন। অল্প ব্যথা হতে পারে। এভাবে টানা এক মিনিট পর্যন্ত চাপ দিন। এভাবে ৫ বার করলে উপকার পাবেন।

হকু আকুপয়েন্ট :

হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনীর মাঝামাঝি নরম স্থানটি হলো হকু আকুপেয়েন্ট। মাথাব্যথা, দাঁতব্যথা, গলাব্যথাসহ বিভিন্ন ব্যথা কমিয়ে দিতে এ পয়েন্টে প্রেশার খুবই কার্যকরী।
পদ্ধতি: এক হাতের বুড়ো আঙ্গুল ও তর্জনী দিয়ে অন্য হাতের হকু পয়েন্টে হালকাভাবে চাপ দিন। অল্প ব্যথা হওয়ার আগ পর্যন্ত ৩০ সেকেন্ড ধরে চাপ দিতে থাকুন। এভাবে ৫ বার করা উচিত। হঠাৎ করে যাদের মাথাব্যথা শুরু হয়, তারা এ পয়েন্টে প্রেশার দেয়ার সময় ও পরিমাণ আরেকটু বাড়িয়ে দিন।

কোন মন্তব্য নেই:

Popular Posts