কেউ থাই জঙ্গলে বা লিবিয়ার মরুতে মরতে যায় না, যদি দেশে বাঁচা যায়


এ দেশের শ্যামল রং রমণীর সুনাম শুনেছি’,
লিখেছিলেন কবি ওমর আলী।
সেই সুনাম মধ্যপ্রাচ্য পর্যন্ত গেল।
বিস্তর গৃহকর্মী লাগবে তাদের।
তাই ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন ওসব দেশে নারী গৃহকর্মী পাঠানো বন্ধ করলে
আমরা দুয়ার খুলে দিলাম।
দেশ দুটি তাদের নারীদের বাঁচাতে যা করল, 
আমরা তা করতে পারলাম না।
পেটের যুদ্ধ বড় যুদ্ধ।
 সেই যুদ্ধের সীমান্ত আজ মধ্যপ্রাচ্য পর্যন্ত ছড়ানো।
কেউ ঘর ছাড়ে না যদি ঘরটা হয় হাঙরের মুখ।
কেউ সমুদ্রে নাও ভাসায় না,
যদি ডাঙা হয় আরও বিপদের।
কেউ থাই জঙ্গলে বা লিবিয়ার মরুতে মরতে যায় না,
 যদি দেশে বাঁচা যায়।
অনেক দূরদূরান্ত থেকে তাই লাশ আসছে।
যে নাকি ‘শুধু অবাক হয়ে চেয়ে থাকে হরিণীর মতো...
সে চায় ভালোবাসার উপহার সন্তানের মুখ, 
এক হাতে আতুর শিশু, 
অন্য হাতে রান্নার উনুন,
সে তার সংসার খুবই মনেপ্রাণে পছন্দ করেছে;
ঘরের লোকের মন্দ আশঙ্কায় সে বড় করুণ’
 (শ্যামল রং রমণীর সুনাম শুনেছি/ওমর আলী)।
সত্যিই বড় করুণ এ দেশের নারীজীবন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Loading posts...